সোনাগাজীতে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী
- আপডেট সময় : ১০:৩১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ,স্টাফ রিপোর্টার ফেনী:চুলার মাটির মতো ভাঙা ইট ব্যবহারের অভিযোগ—মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ৫ নং চরদরবেশ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম চরসাহাভিকারী শাহীপুর থেকে মুসলিমপুর হয়ে ১০ নং স্লুইজ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি—সড়কে যে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে তার গুণগত মান চুলার মাটির মতো নরম ও ঝুরঝুরে, যা দিয়ে স্থায়ী সড়ক নির্মাণ অসম্ভব।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিকল্পিতভাবে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে, যা ভবিষ্যতে সড়কটি কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে তারা মনে করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে ঘটনাস্থলে জড়ো হন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সেলিম রেজা। তাঁরা现场 পরিদর্শন করে কাজের গুণগত মান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন,
“সরকার জনগণের সুবিধার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে উন্নয়নমূলক কাজ করছে। কিন্তু কিছু অসাধু ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজের কারণে সেই প্রকল্পের সুফল মানুষ পাচ্ছে না। এ ধরনের কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
জিসাস নেতা সেলিম রেজা বলেন,
“এটি জনগণের রক্ত-ঘাম ঝরানো ট্যাক্সের টাকা। চুলার মাটির মতো ইট দিয়ে সড়ক হয় না। প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সড়কটি স্থানীয়দের দৈনন্দিন চলাচল, কৃষিপণ্য পরিবহন এবং এলাকার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই নিম্নমানের কাজের কারণে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সড়কটির জন্য তাঁরা বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার পরই তারা বুঝতে পারছেন, খোয়া এমন নরম যে হাতে নিলেই গুঁড়িয়ে যায়। মানুষের ভাষায়—“চুলার মাটির মতো।”
স্থানীয়দের দাবি—এই নিম্নমানের কাজ বন্ধ করে দ্রুত মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি—যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে সরকারি অর্থের অপচয় এবং জনগণের ভোগান্তি দুটোই এড়ানো যায়।



















