ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুলিয়ায় এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর সমাপনী ও সনদ বিতরণ শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পন্ন দুমকীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি দুমকীতে মুক্তিযোদ্ধা আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির পাহাড়,অস্বচ্ছলকে দেখানো হচ্ছে স্বচ্ছল বানিয়ে রাউজানে হাকিম হত্যার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা রাণীশংকৈলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত আগৈলঝাড়া উপজেলায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত সোনাগাজী পৌরসভার IUGIP প্রকল্পের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে তারেক রহমানের বিবিসি সাক্ষাৎকারের উন্মুক্ত গণ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

দেবহাটার পুষ্পকাটিতে কোরআন অবমাননা করায় গণধোলার পর থানায়

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

জি এম আব্বাস,উদ্দীন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ-দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি গ্রামে মঞ্জুরুলের ছেলে সালাউদ্দিন (সোহাগ) (২৫) নামের এক যুবক পবিত্র কুরআন অপমাননা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটার্স দেওয়ায় গণপিটুনি,ধর্ম অপমাননার জন্য আটক করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ৬ অক্টোবর জোহরের নামাজের পরে পুষ্পকাটি পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন তার বাড়িতে। সোহাগ তার ফেইসবুকে লিখেছেন, আল্লাহ বলে কিছু আছে আমি মনে করি নাই, আমি ইসলাম ধর্মের এক ছেলে, আজ আমি নিজ পায়ে কোরআনকে পায়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছি এবং আমার নিশ্চয় কোরআনকে পায়ের নিচে ফেলেছি। কারণ আমার মতো ছেলের কাছে কোরআন ফালতু। আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে চাই এবং তার পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, ইসলাম ব্যতীত আর ধর্ম আমি মনে করি সেটাই সঠিক। কারণ কোরআন মানুষের আলোর পথ দেখা দেয় না। কারণ আমি মনে করি কোরআন একটা ফালতু। এই স্ট্যাটার্স ফেইসবুকে দেখে এলাকার আলেম ওলামাসহ এলাকাবাসীরা সোহাগের বাড়িতে যেয়ে তাকে এলাকার ছেলে হিসাবে অনুরোধ করে বলে তুমি কোরআনকে অপমাননা করেছো তার জন্য তোমাকে ক্ষমা চাইতে হবে নইলে তোমার বিপদ হবে। এই কথা বলার পর সোহাগ আলেম ওলামাদের বাজে গালিগালাজ করতে থাকে এবং তাদেরকে মারধর করতে উদ্ধত হয়। এই ঘটনার পর আলেমদের মধ্যে একজন সোহাগের উশৃংখল আচরণ ফেইসবুকে দেওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। তারপরেই দুপুর ২ টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ সোহাগের বাড়িতে এসে ভীড় জমাতে থাকে এবং তাকে গণপিটুনি শুরু করতে থাকে। গণপিটুনিতে যে কোন মুহুর্তে তার জীবন সংশয় হতে পারে এই আশংকায় দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসানকে জানানো হলে তিনি তৎক্ষনাৎ পুলিশ পাঠাইয়া তাকে আটক করে দেবহাটা থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত সোহাগের নামে ধর্ম অপমাননার মামলার প্রস্তুতি চলছে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দেবহাটার পুষ্পকাটিতে কোরআন অবমাননা করায় গণধোলার পর থানায়

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

জি এম আব্বাস,উদ্দীন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ-দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি গ্রামে মঞ্জুরুলের ছেলে সালাউদ্দিন (সোহাগ) (২৫) নামের এক যুবক পবিত্র কুরআন অপমাননা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটার্স দেওয়ায় গণপিটুনি,ধর্ম অপমাননার জন্য আটক করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ৬ অক্টোবর জোহরের নামাজের পরে পুষ্পকাটি পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন তার বাড়িতে। সোহাগ তার ফেইসবুকে লিখেছেন, আল্লাহ বলে কিছু আছে আমি মনে করি নাই, আমি ইসলাম ধর্মের এক ছেলে, আজ আমি নিজ পায়ে কোরআনকে পায়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছি এবং আমার নিশ্চয় কোরআনকে পায়ের নিচে ফেলেছি। কারণ আমার মতো ছেলের কাছে কোরআন ফালতু। আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে চাই এবং তার পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, ইসলাম ব্যতীত আর ধর্ম আমি মনে করি সেটাই সঠিক। কারণ কোরআন মানুষের আলোর পথ দেখা দেয় না। কারণ আমি মনে করি কোরআন একটা ফালতু। এই স্ট্যাটার্স ফেইসবুকে দেখে এলাকার আলেম ওলামাসহ এলাকাবাসীরা সোহাগের বাড়িতে যেয়ে তাকে এলাকার ছেলে হিসাবে অনুরোধ করে বলে তুমি কোরআনকে অপমাননা করেছো তার জন্য তোমাকে ক্ষমা চাইতে হবে নইলে তোমার বিপদ হবে। এই কথা বলার পর সোহাগ আলেম ওলামাদের বাজে গালিগালাজ করতে থাকে এবং তাদেরকে মারধর করতে উদ্ধত হয়। এই ঘটনার পর আলেমদের মধ্যে একজন সোহাগের উশৃংখল আচরণ ফেইসবুকে দেওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। তারপরেই দুপুর ২ টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ সোহাগের বাড়িতে এসে ভীড় জমাতে থাকে এবং তাকে গণপিটুনি শুরু করতে থাকে। গণপিটুনিতে যে কোন মুহুর্তে তার জীবন সংশয় হতে পারে এই আশংকায় দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসানকে জানানো হলে তিনি তৎক্ষনাৎ পুলিশ পাঠাইয়া তাকে আটক করে দেবহাটা থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত সোহাগের নামে ধর্ম অপমাননার মামলার প্রস্তুতি চলছে