একজন ৬০ বছরের বৃদ্ধ মহিলার করুন আর্তনাদ

- আপডেট সময় : ০৭:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,পিরোজপুর:গরীব অসহায় মানুষের তৃপ্তি অল্প কিছু পেলেই।আর তা যদি গুরে বালি।তাহলে কার কাছে বলবে তার দুঃখের কথা।একমাত্র সৃষ্টি কর্তা ছাড়া চোখের পানি ফেলানোর জায়গা আছে কি?
গটনাটির মূল কাহিনি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলার ৯ নং সাপলেজা ইইনিয়নের ৬ নং তাফাল বাড়ীয়া গ্রামের ছালেহা বেগম বয়স ৬০ বছর।স্বামী রুহুল আমীন।তার একমাত্র একটি পূত্র ০সন্তান দ্বার দেনা করে বিদেশ পাঠালেও আছে মহা বিপদে।কথায় আছে ভাঙ্গা পাও খাদলে পরে।এই বৃদ্ধার একই রাহুর দশা।
ঘড়ের বুয়া হিসাবে সাপলেজা গৃস্হলির কাজ করে মাহবুব পঞ্চাইত,শাহাআলমের বাসায়।২/৩ টি ঘড়ের ফ্লোর,মুছে যাহা পায় তা দিয়েই পুত্র কন্যা পূত্র বধু নাতি নিয়ে সংসার চালায়।স্বামী রুহুল আমীন প্রতিবন্ধি অচল।অনেক অনুনয় বিনয়,অনুরোধ তদবির করে পেয়েছিল একটি ন্যায্য মূল্যের কার্ড।কিছ দিন পুর্বে মিজানুর রহমান ডিলার ৯ নং সাপলেজা ইউনিয়ন তাকে ফোনে জানালেন তিনি চাল পাবেন।আশায় বুক ভরে গিয়েছিল নদীর তীরপর মত নুতন চড়জাগার এক স্বপ্নের মুর্ছনায়।কয়েক মিনিটের ব্যাবদানে পচা চাল তার স্বপ্ন স্বাধ ধুলায় পরিনত করে দিল।এক মাসের খাবার চলবে। সঠিক মূল্য দিয়ে যাতায়াতের টাকা খরচ করে চাল নিয়ে বাড়ী গেল।বস্তা খুলতেই বের হল পচা চাল।পাক করা আর হলনা অন্যের কাছ থেকে চাল এনে পাক করল।তার মনের কষ্ট মনেই থেকে গেল।কার কাছে বলবে এই কষ্টের কথা।কেউ কি নিবে তার খবর?এখন টাকা দিয়ে কৃরয় করা চাল মুরগী,হাস,গরুর খাবারের অনুপযোগী।হাতের শেষ সম্বল টাকা কয়টা খরচ করে গাড়ী ভাড়া,ন্যায্য মুল্য দিয়ে নিঃস্ব ছালেহা।
এই কাহীনি বলতে না বলতেই হাউ মাউ করে কেদে উঠল।একটি ড্রামের আশা করেছিল তিনি। একটি ড্রাম পাবে।বৃষ্টির পানি ধরে খাবে।নেই কোন পানির সুব্যাবস্হা। ৫০০০৳ টাকা দিতে না পারায় ৪/৫ বছর ধরে কোন ড্রাম পান নাই তিনি।দালালদের হাতের নাগালে থাকা লোকজন ই ধনী টাকাওয়াল লোক দেখে ড্রাম বিতরন।একটা ড্রাম ও গরীবরা পান নাই।দালালরা অসহায় লোকদের ড্রাম,সরকারী সকল কিছু সিন্ডিকেট করে বিতরন করেন।
বাকী কথা গুলো ছালেহার ভিডিও চিত্রে দেখুন