ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‎খেলাধুলায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গর্বিত- পবিপ্রবি উপাচার্য ‎ চুয়াডাঙ্গায় মাদকসহ যুবক গ্রেফতার, ১৫ দিনের কারাদণ্ড কুতুবদিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার কালিগঞ্জে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় প্রাথমিকের ২ শিক্ষক বিভাগীয় জবাবদিহির মুখে বহমান বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য শিক্ষাবিদ মো. জিয়াউর রহমান’র ওফাতে গভীর শোক প্রকাশ সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে এবি পার্টির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি ঔষধের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাপলেজা বাজার বা হাট ভুমি দস্যুদের হিংস্র থাবায় স্হাপনা তৈরী করে বেহাল দশা ঐতিহ্য বাহী জমিদার বাড়ী আজ ময়লা আবর্জনায় পরিত্যাক্ত পরিবেশ দুষনের হুমকি

৬ কোটি টাকার চুক্তিতে ঝিনাইদহে দুই’শ কোটি টাকার নিষিদ্ধ গাইড বিক্রির টার্গেট

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের হাতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড বই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বহু আগেই এসব বইয়ের ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা করলেও প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাবে ঝিনাইদহের বিভিন্ন বইয়ের দোকান, ফুটপাতের হকার এমনকি অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও পাওয়া যাচ্ছে লেকচার, ব্যাতিক্রম, পাঞ্জেরী ও অ্যাডভান্সের নিষিদ্ধ গাইড বই।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের মাথা গুনে নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন ঝিনাইদহের স্কুল কলেজের প্রধানরা। শিক্ষার্থী প্রতি তিন’শ থেকে পাঁচ’শ টাকায় নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে চুক্তি করা হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের লেকচার, ব্যাতিক্রম, পাঞ্জেরী ও অ্যাডভান্স পাবলিকেশনের নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে হচ্ছে।

অভিভাবকরা বলছেন, এসব গাইড বই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাশক্তি ও লেখার দক্ষতা নষ্ট করছে। অনেক ভালো শিক্ষকও শিক্ষার্থীদের এসব বই পড়তে নিরুৎসাহিত করছেন। তবে পরীক্ষার ফল ভালো করার লোভ দেখিয়ে নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্কুল কলেজের কতিপয় শিক্ষকরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের গাইড বই কিনতে চাপ দিচ্ছেন বলে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সরকার নিষিদ্ধ করা গাইড বা নোট বই। স্কুল-কলেজের প্রধানদের সরাসরি যোগসাজসে ঝিনাইদহের আনাচে কানাচে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের বাজার এখন রমরমা। ফলে লেকচার, ব্যাতিক্রম, পাঞ্জেরী ও অ্যাডভান্স পাবলিকেশনের অবৈধ গাইড বইয়ের মজুদ গড়ে উঠেছে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার উদয়ন লাইব্রেরী, পাগলাকানই ব্যতিক্রম ভবন ও উপশহর পাড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে।

উদয়ন লাইব্রেরীর মালিক রাকিবুল ইসলাম রণি একাই ১২টি নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানীর স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২৬ সালে শতাধীক কোচিং সেন্টারের কাছে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি করার চুক্তি করেছেন বলে অভেযোগ। এছাড়া লেকচার পাবলিকেশনের মঞ্জুরুল ইসলাম, সম্রাট কুমার, পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের আলী হোসেন, সাদিক হোসেন ও অ্যাডভান্স পাবলিকেশনের মিজানুর রহমান গাইড বিক্রির বিশষে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বড় অঙ্কের আর্থিক চুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজ লেকচার কোম্পানীর প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে কয়েক’শ শিক্ষার্থীকে গাইড কিনতে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

এছাড়া ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বালিকা বিদ্যালয় ২ লাখ, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭০ হাজার, জামিলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় ৯০ হাজার, হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩ লাখ ৭০ হাজার, গোয়ালপাড়া মোশারফ হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯০ হাজার, আল-হেরা ইসলামিক ইনস্টিটিউট ১ লাখ ৩০ হাজার, শিকদার মতলবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯০ হাজার, উত্তর নারানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ লাখ ৫০ হাজার, হলিধানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৩০ হাজার, চোরকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক লাখ ৬০ হাজার, বাজার গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজ ১ লাখ ৬০ হাজার, কে এম এইচ জিয়ানগর ১ লাখ ৪০ হাজার, বিষয়খালী মোস্তফা কামাল স্কুল এন্ড কলেজ ২ লাখ টাকা, এম কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৪০ হাজার, সুরাট বারেক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯০ হাজার, আনোয়ার জাহিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮০ হাজার, ফজের আলী স্কুল এন্ড কলেজ ১ লাখ ৭০ হাজার, ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ১ লাখ ৩০ হাজার ও হরিশংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৪২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডোনেশন নিয়ে ২০২৬ সালে নিষিদ্ধ গাইড বই চালানোর চুক্তি করেছেন বলে অভিযোগ।

এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন সারা উপজেলায় নিষিদ্ধ গাইড বই চালানোর জন্য লেকচার গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

কামরুজ্জামান ও হুসাইন নামে দুই অভিভাবক অভিযোগ করেন, “বই না কিনলে ছেলে-মেয়েকে ক্লাসেই ঢুকতে দেওয়া হয় না। অভিভাবকরা বলছেন, দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ ধরনের চাপ সহ্য করা সম্ভব নয়”। অভিভাবক কামরুজ্জামান জানান, তার ছেলে দশম শ্রেনীতে পড়ে। তার জন্য নিষিদ্ধ গাইড ও টেষ্ট পেপার কিনতে ৮ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

বিক্রয় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের অবাধ বিক্রির বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, এই বই বিক্রি করা সম্পুর্ন অনৈতিক ও অবৈধ বানিজ্য। এই গাইড বিক্রি বন্ধে প্রশাসনিক অভিযান চালানো যেতে পারে। তিনি কারা কারা এই নিষিদ্ধ বানিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা চান সাংবাদিকদের কাছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা ও আইসিটির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম. খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, তথ্য প্রমান পেলে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। তিনি এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ জানিয়ে বলেন, নিষিদ্ধ গাইড বই শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননশীলতা বিকাশে অন্তরায়। ফলে ঝিনাইদহ জেলায় এই নিষিদ্ধ গাইড বই যাতে না চলে সে বিষয়ে দ্রতই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

৬ কোটি টাকার চুক্তিতে ঝিনাইদহে দুই’শ কোটি টাকার নিষিদ্ধ গাইড বিক্রির টার্গেট

আপডেট সময় : ০৩:০৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাসেল হোসেন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের হাতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড বই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বহু আগেই এসব বইয়ের ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা করলেও প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাবে ঝিনাইদহের বিভিন্ন বইয়ের দোকান, ফুটপাতের হকার এমনকি অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও পাওয়া যাচ্ছে লেকচার, ব্যাতিক্রম, পাঞ্জেরী ও অ্যাডভান্সের নিষিদ্ধ গাইড বই।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের মাথা গুনে নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন ঝিনাইদহের স্কুল কলেজের প্রধানরা। শিক্ষার্থী প্রতি তিন’শ থেকে পাঁচ’শ টাকায় নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে চুক্তি করা হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের লেকচার, ব্যাতিক্রম, পাঞ্জেরী ও অ্যাডভান্স পাবলিকেশনের নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে হচ্ছে।

অভিভাবকরা বলছেন, এসব গাইড বই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাশক্তি ও লেখার দক্ষতা নষ্ট করছে। অনেক ভালো শিক্ষকও শিক্ষার্থীদের এসব বই পড়তে নিরুৎসাহিত করছেন। তবে পরীক্ষার ফল ভালো করার লোভ দেখিয়ে নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্কুল কলেজের কতিপয় শিক্ষকরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের গাইড বই কিনতে চাপ দিচ্ছেন বলে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সরকার নিষিদ্ধ করা গাইড বা নোট বই। স্কুল-কলেজের প্রধানদের সরাসরি যোগসাজসে ঝিনাইদহের আনাচে কানাচে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের বাজার এখন রমরমা। ফলে লেকচার, ব্যাতিক্রম, পাঞ্জেরী ও অ্যাডভান্স পাবলিকেশনের অবৈধ গাইড বইয়ের মজুদ গড়ে উঠেছে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার উদয়ন লাইব্রেরী, পাগলাকানই ব্যতিক্রম ভবন ও উপশহর পাড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে।

উদয়ন লাইব্রেরীর মালিক রাকিবুল ইসলাম রণি একাই ১২টি নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানীর স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২৬ সালে শতাধীক কোচিং সেন্টারের কাছে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি করার চুক্তি করেছেন বলে অভেযোগ। এছাড়া লেকচার পাবলিকেশনের মঞ্জুরুল ইসলাম, সম্রাট কুমার, পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের আলী হোসেন, সাদিক হোসেন ও অ্যাডভান্স পাবলিকেশনের মিজানুর রহমান গাইড বিক্রির বিশষে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বড় অঙ্কের আর্থিক চুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজ লেকচার কোম্পানীর প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে কয়েক’শ শিক্ষার্থীকে গাইড কিনতে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

এছাড়া ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বালিকা বিদ্যালয় ২ লাখ, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭০ হাজার, জামিলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় ৯০ হাজার, হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩ লাখ ৭০ হাজার, গোয়ালপাড়া মোশারফ হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯০ হাজার, আল-হেরা ইসলামিক ইনস্টিটিউট ১ লাখ ৩০ হাজার, শিকদার মতলবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯০ হাজার, উত্তর নারানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ লাখ ৫০ হাজার, হলিধানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৩০ হাজার, চোরকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক লাখ ৬০ হাজার, বাজার গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজ ১ লাখ ৬০ হাজার, কে এম এইচ জিয়ানগর ১ লাখ ৪০ হাজার, বিষয়খালী মোস্তফা কামাল স্কুল এন্ড কলেজ ২ লাখ টাকা, এম কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৪০ হাজার, সুরাট বারেক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯০ হাজার, আনোয়ার জাহিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮০ হাজার, ফজের আলী স্কুল এন্ড কলেজ ১ লাখ ৭০ হাজার, ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ১ লাখ ৩০ হাজার ও হরিশংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৪২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডোনেশন নিয়ে ২০২৬ সালে নিষিদ্ধ গাইড বই চালানোর চুক্তি করেছেন বলে অভিযোগ।

এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন সারা উপজেলায় নিষিদ্ধ গাইড বই চালানোর জন্য লেকচার গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

কামরুজ্জামান ও হুসাইন নামে দুই অভিভাবক অভিযোগ করেন, “বই না কিনলে ছেলে-মেয়েকে ক্লাসেই ঢুকতে দেওয়া হয় না। অভিভাবকরা বলছেন, দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ ধরনের চাপ সহ্য করা সম্ভব নয়”। অভিভাবক কামরুজ্জামান জানান, তার ছেলে দশম শ্রেনীতে পড়ে। তার জন্য নিষিদ্ধ গাইড ও টেষ্ট পেপার কিনতে ৮ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

বিক্রয় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের অবাধ বিক্রির বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, এই বই বিক্রি করা সম্পুর্ন অনৈতিক ও অবৈধ বানিজ্য। এই গাইড বিক্রি বন্ধে প্রশাসনিক অভিযান চালানো যেতে পারে। তিনি কারা কারা এই নিষিদ্ধ বানিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা চান সাংবাদিকদের কাছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা ও আইসিটির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম. খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, তথ্য প্রমান পেলে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। তিনি এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ জানিয়ে বলেন, নিষিদ্ধ গাইড বই শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননশীলতা বিকাশে অন্তরায়। ফলে ঝিনাইদহ জেলায় এই নিষিদ্ধ গাইড বই যাতে না চলে সে বিষয়ে দ্রতই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।