ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শৈলকুপার প্রসূতিদের আর্তনাদ: সরকারি হাসপাতালে সিজার বন্ধ! মা ও নবজাতক মৃত্যুর ঝুঁকিতে, বাড়ছে খরচের বোঝা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন। সরকারি হাসপাতালের এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় গর্ভবতী নারীরা। সময় মতো চিকিৎসা না পেয়ে তাদের ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে, যেখানে একদিকে আকাশছোঁয়া খরচ, অন্যদিকে মা ও শিশুর জীবন চরম ঝুঁকির মুখে!

কেন এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি?
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ এবং গাইনি চিকিৎসকের মারাত্মক অভাবই এই সংকটের মূল কারণ। অথচ হাসপাতালের অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় সেগুলো শুধু শোভাবর্ধন করে পড়ে আছে।
রোগীদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “সরকারি হাসপাতালেই যদি আমরা চিকিৎসা না পাই, তাহলে গরীব মানুষ যাবে কোথায়? ডাক্তার না থাকলে আমাদের মতো

সাধারণ মানুষের জীবন আরও বিপদে পড়বে।”
দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলায় রোগীদের বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসকের অপ্রতুলতা এবং উচ্চ চিকিৎসা খরচ তাদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। এই অবহেলার কারণে যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যার দায় কে নেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশ্ন: এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও এই সংকটের দ্রুত সমাধান চাইছে। তারা আশা করছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে শৈলকুপার প্রসূতিদের জন্য জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শৈলকুপার প্রসূতিদের আর্তনাদ: সরকারি হাসপাতালে সিজার বন্ধ! মা ও নবজাতক মৃত্যুর ঝুঁকিতে, বাড়ছে খরচের বোঝা

আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন। সরকারি হাসপাতালের এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় গর্ভবতী নারীরা। সময় মতো চিকিৎসা না পেয়ে তাদের ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে, যেখানে একদিকে আকাশছোঁয়া খরচ, অন্যদিকে মা ও শিশুর জীবন চরম ঝুঁকির মুখে!

কেন এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি?
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ এবং গাইনি চিকিৎসকের মারাত্মক অভাবই এই সংকটের মূল কারণ। অথচ হাসপাতালের অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় সেগুলো শুধু শোভাবর্ধন করে পড়ে আছে।
রোগীদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “সরকারি হাসপাতালেই যদি আমরা চিকিৎসা না পাই, তাহলে গরীব মানুষ যাবে কোথায়? ডাক্তার না থাকলে আমাদের মতো

সাধারণ মানুষের জীবন আরও বিপদে পড়বে।”
দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলায় রোগীদের বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসকের অপ্রতুলতা এবং উচ্চ চিকিৎসা খরচ তাদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। এই অবহেলার কারণে যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যার দায় কে নেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশ্ন: এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও এই সংকটের দ্রুত সমাধান চাইছে। তারা আশা করছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে শৈলকুপার প্রসূতিদের জন্য জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।