ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‎খেলাধুলায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গর্বিত- পবিপ্রবি উপাচার্য ‎ চুয়াডাঙ্গায় মাদকসহ যুবক গ্রেফতার, ১৫ দিনের কারাদণ্ড কুতুবদিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার কালিগঞ্জে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় প্রাথমিকের ২ শিক্ষক বিভাগীয় জবাবদিহির মুখে বহমান বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য শিক্ষাবিদ মো. জিয়াউর রহমান’র ওফাতে গভীর শোক প্রকাশ সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে এবি পার্টির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি ঔষধের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাপলেজা বাজার বা হাট ভুমি দস্যুদের হিংস্র থাবায় স্হাপনা তৈরী করে বেহাল দশা ঐতিহ্য বাহী জমিদার বাড়ী আজ ময়লা আবর্জনায় পরিত্যাক্ত পরিবেশ দুষনের হুমকি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে শুরু হয় রদবদল। প্রথম ধাপে গভর্নর, দুই ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান ও গভর্নরের নীতি উপদেষ্টাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তারা সবাই ছিলেন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা। এবারই প্রথম একজন নিয়মিত কর্মকর্তার পদত্যাগ ঘটল।

মেজবাউল হক দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যেমন- পেমেন্ট সিস্টেম, আইটি এবং অফসাইট সুপারভিশনের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পান।

তবে তার দায়িত্ব পালনের সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তার নাম উঠে আসে কিছু সংবাদমাধ্যমে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার পর তিনি বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের আইটি রুমে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন, যা তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলে তার প্রভাব ছিল বলেও অনেকে মনে করেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। তাকে ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়।

ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিন দশকের বেশি সময় পার করা মেজবাউল হক ১৯৯৩ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল হকের পদত্যাগ

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে শুরু হয় রদবদল। প্রথম ধাপে গভর্নর, দুই ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান ও গভর্নরের নীতি উপদেষ্টাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তারা সবাই ছিলেন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা। এবারই প্রথম একজন নিয়মিত কর্মকর্তার পদত্যাগ ঘটল।

মেজবাউল হক দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যেমন- পেমেন্ট সিস্টেম, আইটি এবং অফসাইট সুপারভিশনের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পান।

তবে তার দায়িত্ব পালনের সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তার নাম উঠে আসে কিছু সংবাদমাধ্যমে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার পর তিনি বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের আইটি রুমে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন, যা তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলে তার প্রভাব ছিল বলেও অনেকে মনে করেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। তাকে ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়।

ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিন দশকের বেশি সময় পার করা মেজবাউল হক ১৯৯৩ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।