ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই সনদ থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটা শুরু করেছি তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে। আমি হয়তো গায়ের জোরে বলছি কিন্তু কথাটা ফেলে দেওয়ার উপায় নেই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের নবযাত্রার সুযোগ দিয়েছে। এর একমাত্র সমাধান সমঝোতার পথে গিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা।

তিনি বলেন, নানান যুক্তি থাকতে পারে কিন্তু সমাধানের পথে থাকতে হবে। অনেকের মনে কষ্ট হতে পারে, কিন্তু পরে শান্তি আসবে, দেশ শান্তি পাবে। দেশের শান্তিই বড় শান্তি। বিতর্কের মধ্যে থেকে গেলে সেটি যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় ধাপের সংলাপের দ্বিতীয় দিনে তিনি এসব কথা বলেন।

কালশিতে মাদক কারবারিদের গুলিতে ভাই গুলিবিদ্ধ, বোন ছুরিকাঘাতে আহত
দোহায় আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলন যোগ দিচ্ছেন তৌ‌হিদ হো‌সেন
আলেম ও ইমামদের টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি প্রচারের আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনীতিবিদদের দেওয়া বক্তব্য তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখেছেন।

এ সময় তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর সময়ের কথা স্মৃতিচারণ করেন।

তিনি বলেন, প্রথমে আমি নিশ্চিত ছিলাম না এ প্রক্রিয়া থেকে কী পাওয়া যাবে। ভাবছিলাম কথা শুরুর পর সেটি কলাপস করে যাবে। কিন্তু দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর আমি অভিভূত হয়েছি এটা দেখে যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কাজ বিশ্বব্যাপী নজির হয়ে থাকবে। এটি যেন খুঁত ওয়ালা নজির না হয়, এটা আমার আবেদন। এমন নজির যা সারাবিশ্ব দেখবে এবং অনুসরণ করার চেষ্টা করবে। আপনারা মূল কাজটি সম্পন্ন করেছেন; এখন সামান্য পথ বাকি। সবকিছু নির্ভর করছে শেষ অংশটুকুর ওপর।

প্রধান উপদেষ্টা রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। বাকি রাস্তাটুকু যাতে সুন্দরভাবে সমাপ্ত করে পৃথিবীর জন্য নজির সৃষ্টি করতে পারেন। যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে সেটা শুধু আমাদের দেশের নয়; দুই দিন আগে নেপালেও একই ধরনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন সমস্যার সম্মুখীন হবে আরও অনেক দেশ। তাই আমাদের সমাধানের পথ সবাই মনোযোগ সহকারে দেখবে।

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে সেটিকে তিনি সম্ভাব্য ‘মহোৎসবের নির্বাচন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন যদি আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে তা একটি মহোৎসব হবে এবং এর মাধ্যমে জাতির সত্যিকারের নবজন্ম হবে। এত ত্যাগ ও আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে।

ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আলাদিনের চেরাগের দৈত্য তৈরি করে দিয়েছে মন্তব্য করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা তার কাছে কী চাইব? আমরা কি তার কাছে এককাপ চা চাইব? না দুনিয়া পাল্টে ফেলতে চাইব। এটি হল আমাদের হাতে। কোনো বিষয় ছোট আকারে না রেখে, এই জাতিকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তৈরি করে দিয়ে যাব। এ সুযোগটা এসছে। সেখানে ছোটখাট বিষয়ের মধ্যে আটকে গিয়ে আমরা যেন মূল বড় জিনিস হারিয়ে না ফেলি। বড় জিনিসের জন্য যাই, যে এই জাতিকে আমরা ভালোভাবে চালু করে দিলাম, এটা খালি উপর দিকে উঠবে, ডানে-বায়ে দরকার নেই। ওই অংশটা করেন।

সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচার আসার সব পথঘাট বন্ধ করা দরকার, যাতে কোনো দিক দিয়ে স্বৈরাচার আসতে না পারে। বাকিটা আমরা জানি। স্বৈরাচার বন্ধ করতে হলে সবাইকে একমত হয়ে কাজ করতে হবে। দ্বিমতের জায়গা নেই। দ্বিমত করলে সমাপ্ত করতে পারব না।

সবাইকে একমত হয়ে সনদ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, তাহলেই নির্বাচন সার্থক হবে।

যতই আমরা নোক্তা দিয়ে যাই, আমাদের কিন্তু মহান ঐক্য দরকার। কী চাই সেটা ঠিক করলেই কীভাবে করবে তা দৈত্য ঠিক করবে। কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা বিশেষজ্ঞদের বলব, এটা করে দাও। সে পথে অগ্রসর হতে পারব।

তিনি বলেন, ওই দৈত্যকে আমরা বড় কাজটা দেব। যেটা আর কোনোদিন চাইবারও সুযোগ পাবে না। এ দৈত্য একবারই পাচ্ছি আমরা। আমাদের মনের সমস্ত আশা পূরণের দায়িত্ব তার ঘাড়ে দিয়ে দেব। সেদিকে আমরা যেতে চাই।

তিনি বলেন, ভেতরে কোনো রকমের দুশ্চিন্তা রেখে আমাদের যেন নির্বাচনে ঢুকতে না হয়। উৎসব এখন থেকে শুরু হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথামার্ধেই হবে। এটাই হল পথ। আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি। এ পথেই যাব। আমাদের আবেদন সব পথঘাট বন্ধ করতে হবে, যাতে কোন জায়গা দিয়ে ঢুকতে (স্বৈরাচার) না পারে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজটা করে ফেলতে পারলে আমাদের দেশ নিশ্চিন্ত হবে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আমাদের থেকে শিখতে আসবে।

ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম ভালোভাবে শেষ করার অনুরোধ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ কাজ যেন নিখুঁত ও নির্দোষ হয়। এমনভাবে করব যাতে তা হতে নতুন জাতি জন্মগ্রহণ করবে। আপনারা নতুন জাতির সূতিকাগার তৈরি করে দিলেন।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রমুখ।

এএইচআর/এমএসএ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:০২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই সনদ থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটা শুরু করেছি তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে। আমি হয়তো গায়ের জোরে বলছি কিন্তু কথাটা ফেলে দেওয়ার উপায় নেই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের নবযাত্রার সুযোগ দিয়েছে। এর একমাত্র সমাধান সমঝোতার পথে গিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা।

তিনি বলেন, নানান যুক্তি থাকতে পারে কিন্তু সমাধানের পথে থাকতে হবে। অনেকের মনে কষ্ট হতে পারে, কিন্তু পরে শান্তি আসবে, দেশ শান্তি পাবে। দেশের শান্তিই বড় শান্তি। বিতর্কের মধ্যে থেকে গেলে সেটি যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় ধাপের সংলাপের দ্বিতীয় দিনে তিনি এসব কথা বলেন।

কালশিতে মাদক কারবারিদের গুলিতে ভাই গুলিবিদ্ধ, বোন ছুরিকাঘাতে আহত
দোহায় আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলন যোগ দিচ্ছেন তৌ‌হিদ হো‌সেন
আলেম ও ইমামদের টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি প্রচারের আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনীতিবিদদের দেওয়া বক্তব্য তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখেছেন।

এ সময় তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর সময়ের কথা স্মৃতিচারণ করেন।

তিনি বলেন, প্রথমে আমি নিশ্চিত ছিলাম না এ প্রক্রিয়া থেকে কী পাওয়া যাবে। ভাবছিলাম কথা শুরুর পর সেটি কলাপস করে যাবে। কিন্তু দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর আমি অভিভূত হয়েছি এটা দেখে যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কাজ বিশ্বব্যাপী নজির হয়ে থাকবে। এটি যেন খুঁত ওয়ালা নজির না হয়, এটা আমার আবেদন। এমন নজির যা সারাবিশ্ব দেখবে এবং অনুসরণ করার চেষ্টা করবে। আপনারা মূল কাজটি সম্পন্ন করেছেন; এখন সামান্য পথ বাকি। সবকিছু নির্ভর করছে শেষ অংশটুকুর ওপর।

প্রধান উপদেষ্টা রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। বাকি রাস্তাটুকু যাতে সুন্দরভাবে সমাপ্ত করে পৃথিবীর জন্য নজির সৃষ্টি করতে পারেন। যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে সেটা শুধু আমাদের দেশের নয়; দুই দিন আগে নেপালেও একই ধরনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন সমস্যার সম্মুখীন হবে আরও অনেক দেশ। তাই আমাদের সমাধানের পথ সবাই মনোযোগ সহকারে দেখবে।

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে সেটিকে তিনি সম্ভাব্য ‘মহোৎসবের নির্বাচন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন যদি আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে তা একটি মহোৎসব হবে এবং এর মাধ্যমে জাতির সত্যিকারের নবজন্ম হবে। এত ত্যাগ ও আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে।

ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আলাদিনের চেরাগের দৈত্য তৈরি করে দিয়েছে মন্তব্য করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা তার কাছে কী চাইব? আমরা কি তার কাছে এককাপ চা চাইব? না দুনিয়া পাল্টে ফেলতে চাইব। এটি হল আমাদের হাতে। কোনো বিষয় ছোট আকারে না রেখে, এই জাতিকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তৈরি করে দিয়ে যাব। এ সুযোগটা এসছে। সেখানে ছোটখাট বিষয়ের মধ্যে আটকে গিয়ে আমরা যেন মূল বড় জিনিস হারিয়ে না ফেলি। বড় জিনিসের জন্য যাই, যে এই জাতিকে আমরা ভালোভাবে চালু করে দিলাম, এটা খালি উপর দিকে উঠবে, ডানে-বায়ে দরকার নেই। ওই অংশটা করেন।

সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচার আসার সব পথঘাট বন্ধ করা দরকার, যাতে কোনো দিক দিয়ে স্বৈরাচার আসতে না পারে। বাকিটা আমরা জানি। স্বৈরাচার বন্ধ করতে হলে সবাইকে একমত হয়ে কাজ করতে হবে। দ্বিমতের জায়গা নেই। দ্বিমত করলে সমাপ্ত করতে পারব না।

সবাইকে একমত হয়ে সনদ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, তাহলেই নির্বাচন সার্থক হবে।

যতই আমরা নোক্তা দিয়ে যাই, আমাদের কিন্তু মহান ঐক্য দরকার। কী চাই সেটা ঠিক করলেই কীভাবে করবে তা দৈত্য ঠিক করবে। কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা বিশেষজ্ঞদের বলব, এটা করে দাও। সে পথে অগ্রসর হতে পারব।

তিনি বলেন, ওই দৈত্যকে আমরা বড় কাজটা দেব। যেটা আর কোনোদিন চাইবারও সুযোগ পাবে না। এ দৈত্য একবারই পাচ্ছি আমরা। আমাদের মনের সমস্ত আশা পূরণের দায়িত্ব তার ঘাড়ে দিয়ে দেব। সেদিকে আমরা যেতে চাই।

তিনি বলেন, ভেতরে কোনো রকমের দুশ্চিন্তা রেখে আমাদের যেন নির্বাচনে ঢুকতে না হয়। উৎসব এখন থেকে শুরু হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথামার্ধেই হবে। এটাই হল পথ। আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি। এ পথেই যাব। আমাদের আবেদন সব পথঘাট বন্ধ করতে হবে, যাতে কোন জায়গা দিয়ে ঢুকতে (স্বৈরাচার) না পারে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজটা করে ফেলতে পারলে আমাদের দেশ নিশ্চিন্ত হবে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আমাদের থেকে শিখতে আসবে।

ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম ভালোভাবে শেষ করার অনুরোধ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ কাজ যেন নিখুঁত ও নির্দোষ হয়। এমনভাবে করব যাতে তা হতে নতুন জাতি জন্মগ্রহণ করবে। আপনারা নতুন জাতির সূতিকাগার তৈরি করে দিলেন।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রমুখ।

এএইচআর/এমএসএ