কালীগঞ্জে শিশু গনধর্ষণে কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক

- আপডেট সময় : ১১:০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মহাসিন, খুলনা বিভাগীয়, প্রতিনিধি:খাবারের লোভ দেখিয়ে পাকা নির্জন বাড়িতে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে হাত-মুখ চেপে ধরে কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য মিলে ৫ বছরের ১ শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী মতির ইটভাঁটা থেকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ২ টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে ভূমিহীন পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। ঐ সময় বাবা সোহেল রানা রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তাররা অপারগতা প্রকাশ করলে দ্রুত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও ডাক্তাররা অপারগতা প্রকাশ করলে শেষে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলো পিরোজপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের পুত্র নাঈম (১৪), তার ভাই সিয়াম (১২) এবং একই গ্রামের আবু সাঈদের পুত্র ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম(১৫)। উক্ত ঘটনায় শুক্রবার ভুক্তভোগী শিশুটির মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। শুক্রবার সকালে সরে জমিনে ঘটনাস্থলে গেলে শিশুটির মামী মৌসুমী খাতুন ,ভাই আবির হোসেন, প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী, তৌফিক ,আজমির , মহিউদ্দিন ,রামপ্রসাদ এ প্রতিনিধিকে জানান বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশে রাস্তার উপর শিশুটি খেলা করছিল। ঐ সময় নাঈম ,সিয়াম এবং শফিকুল শিশুটির খাওয়ার দেওয়ার জন্য ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে খাটের উপর ফেলে ৩ জনে মিলে মুখ, হাত-পা চেপে ধরে জোরপূর্বক পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। তবে নাঈমের বাবা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যাওয়ায় তার মা জেসমিন বেগম স্থানীয় মানবসম্পদ এনজিও অফিসে রান্নার কাজ করে দুই ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতো। ঐ সময় তার মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফাঁকা বাসায় এ ঘটনা ঘটায়। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বাবা সোহেল রানা ঐ ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গোঙানির শব্দে ঘরে ঢুকলে তাকে লাথি দিয়ে ৩ ধর্ষক পিছনে দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিকাল ৫ টার দিকে পার্শবর্তী মতির ইটভাঁটা থেকে জনগণ ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে ধর্ষক নাঈম, সিয়ামের মা জেসমিন খাতুন এ প্রতিনিধিকে বলেন আমি বাড়িতে ছিলাম না। এখানে কি হয়েছে আমি বলতে পারিনা এসে শুনি আমার ছেলেকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান সাংবাদিদের সাথে ব্রিফিং করে ধর্ষণ মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানান।