ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা থেকে ৩ টি নৌকাসহ ২ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিষ্ট সন্ত্রাস আজ গনঅধিকার পরিষদের কান্ডারী স্ত্রী মেয়ের জন্য দিশেহারা স্বামী দিপংকর এলজিইডির নতুন প্রধান প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বকশীগঞ্জে নিয়োগে জালিয়াতি: প্রধান শিক্ষক ও তার শ্যালিকার বেতন বন্ধ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন একই পরিবারের তিন সদস্য দুমকিতে গৃহবধুর আত্মহত্যা নির্মল বায়ু সবার অধিকার’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা বকশীগঞ্জে চার দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৭২ কর্মকর্তা- কর্মচারী গণছুটিতে ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ জিয়া আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

বকশীগঞ্জে নিয়োগে জালিয়াতি: প্রধান শিক্ষক ও তার শ্যালিকার বেতন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

বকশিগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি;জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং তার শ্যালিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের মাসিক বেতন-ভাতা (এমপিও) বন্ধ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

গত ২৮ আগস্ট মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পৃথক তদন্তে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

তদন্তে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ টানা ১৬ বছর ধরে তার শ্বশুরকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে রেখেছিলেন। যে কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, সেটির মেয়াদ ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যায়। তবে নিয়োগ দেখানো হয় কমিটির মেয়াদ শেষের মাত্র কয়েক দিন আগে, ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে।

বিদ্যালয়ের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, “সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ল্যাব সহকারীকে নিয়োগ দেওয়ার আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারিনি।”

সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের হাজিরা খাতা থেকে জালিয়াতির আরও প্রমাণ পাওয়া যায়। তার নিয়োগের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দেখানো হলেও তিনি ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক হিসেবেই স্বাক্ষর করেছেন। শুধু তাই নয়, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে তিনি এমপিওভুক্ত হয়েছেন নিয়োগের প্রায় ১৭ মাস পর।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের স্কুলে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকও ফোন ধরেননি।

বিদ্যালয়ের বর্তমান অ্যাডহক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন খাঁন বলেন, “আমাকে কয়েক মাস থেকে সভাপতি করা হয়েছে। এই নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”

বকশীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ আজাদুর রহমান ভূইয়া জানান, প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে ছুটি নেওয়ার বিষয়ে তাদের কোনো লিখিত বা মৌখিক অনুমতি নেননি।

এদিকে, ল্যাব সহকারী মোঃ মহসিন আল সিফাতের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মাউশির শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, তার বিষয়ে গত ৩ আগস্ট শুনানি হয়েছে এবং খুব দ্রুতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বকশীগঞ্জে নিয়োগে জালিয়াতি: প্রধান শিক্ষক ও তার শ্যালিকার বেতন বন্ধ

আপডেট সময় : ০৭:২৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বকশিগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি;জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং তার শ্যালিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের মাসিক বেতন-ভাতা (এমপিও) বন্ধ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

গত ২৮ আগস্ট মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পৃথক তদন্তে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

তদন্তে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ টানা ১৬ বছর ধরে তার শ্বশুরকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে রেখেছিলেন। যে কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, সেটির মেয়াদ ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যায়। তবে নিয়োগ দেখানো হয় কমিটির মেয়াদ শেষের মাত্র কয়েক দিন আগে, ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে।

বিদ্যালয়ের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, “সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ল্যাব সহকারীকে নিয়োগ দেওয়ার আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারিনি।”

সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের হাজিরা খাতা থেকে জালিয়াতির আরও প্রমাণ পাওয়া যায়। তার নিয়োগের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দেখানো হলেও তিনি ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক হিসেবেই স্বাক্ষর করেছেন। শুধু তাই নয়, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে তিনি এমপিওভুক্ত হয়েছেন নিয়োগের প্রায় ১৭ মাস পর।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের স্কুলে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকও ফোন ধরেননি।

বিদ্যালয়ের বর্তমান অ্যাডহক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন খাঁন বলেন, “আমাকে কয়েক মাস থেকে সভাপতি করা হয়েছে। এই নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”

বকশীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ আজাদুর রহমান ভূইয়া জানান, প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে ছুটি নেওয়ার বিষয়ে তাদের কোনো লিখিত বা মৌখিক অনুমতি নেননি।

এদিকে, ল্যাব সহকারী মোঃ মহসিন আল সিফাতের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মাউশির শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, তার বিষয়ে গত ৩ আগস্ট শুনানি হয়েছে এবং খুব দ্রুতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।