খাগড়াছড়ির রামগড়ে মা মেয়েকে গলা কেটে হত্যা আটক ১

- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

এম.এ.জলিল,খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি;খাগড়াছড়ির রামগড়ে ঘরের ভেতর থেকে মা-মেয়ের গ*লাকাটা ম*রদেহ উদ্ধারের ৬ দিন পর হ*ত্যাকাণ্ডে জড়িত সাইফুলকে গ্রে*প্তার করেছে পুলিশ। জমিজমার সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এ জোড়া খু*নের ঘটনা ঘটেছে বলে ভাষ্য পুলিশের।
পুলিশ বলছে, সাইফুলকে আরও আগে শনাক্ত করা গেলেও গ্রে*প্তার এড়াতে বার বার স্থান পরিবর্তন করছিলেন তিনি। তাই তাকে গ্রে*প্তারে বেগ পেতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রে*প্তার সাইফুল হ*ত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে বলছে, দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে ভবঘুরে অবস্থায় অস্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করছিল। স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য জায়গা ও টাকা পয়সা চাইলে তার দাদি ও ফুফু তাকে অকথ্য গালিগালাজ করে। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে ২১ আগস্ট রাত ১২টার দিকে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় দাদি আমেনা বেগম (৯৫) ও ফুফু (৪২) রাহেনা আক্তারকে ধারালো দা দিয়ে গ*লাকেটে হ*ত্যার পর পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় রাহেনার মোবাইল ফোনটিও সে নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, সাইফুল ফুফুর মোবাইল ফোনটি চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানাধীন দাতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর বাজারের নূরুল আলম নামে এক দোকানির কাছে ৪০০ টাকায় বিক্রি করে। পুলিশ বিশেষ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোনটি নূরুল আলমের কাছ থেকে উদ্ধার করে। এ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসামি শনাক্তের পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল গণমাধ্যমকে জানান, আসামি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তাকে গ্রে*প্তারে পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালায়। কিন্তু সে বার বার স্থান বদলে ফেলছিল। এ কারণে তাকে গ্রে*প্তারে বেগ পেতে হয়। সবশেষ বুধবার রাতে ছাগলনাইয়ার ঘোপাল এলাকা থেকে সাইফুলকে গ্রে*প্তার করা হয়। আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাগানটিলা এলাকায় ঘরের শয়নকক্ষ থেকে আমেনা বেগম নামের এক বৃদ্ধা ও তার মেয়ে রাহেনা বেগমের গ*লাকাটা ম*রদেহ উদ্ধার হয়। আমেনা বেগম ওই এলাকার মৃত মীর হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আমেনা বেগমের পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে দুজন প্রবাসী। কর্মসূত্রে একজন ফেনীর ছাগলনাইয়া ও একজন ঢাকায় থাকেন। এলাকায় আলাদা ঘরে থাকেন আবুল বশর নামের এক ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করেন। আমেনার মেয়েদের মধ্যে রাহেনা বেগম মায়ের সঙ্গে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। রাহেনার স্বামী ওমান প্রবাসী। জমিজমা নিয়ে আমেনা বেগমের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিসও হয়েছে।