ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোয়াপাড়া পথেরহাট থেকে মাওলা আলী জামে মসজিদ সড়ক সংস্কারের আহ্বান এলাকাবাসীর শ্যামনগর জলবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ৩১ দফা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে প্রশংসিত হলো বাকৃবি ছাত্রদল আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী দুমকিতে গণছুটির কারণে বিদ্যুৎ অফিস অচল, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ কবর জিয়ারত ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত পরিবারের খোঁজখবর নিলেন দুমকি  উপজেলা বিএনপি ১২ই রবিউল আউয়াল আসলে আশেকদের মন উৎফুল্লতায় ভরে উঠে- মাওলানা মনসুর পটুয়াখালীতে জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঝিনাইদহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কু পি য়ে জ-খ-ম চট্টগ্রামে ‘উত্তম বাবুর্চি ক্যাটারিং সার্ভিস’ মানসম্মত খাবার পরিবেশের অঙ্গীকার

কুপ্রস্তাব কুরুচিপূর্ণ আচরণ প্রশাসন জুলুমের শিকার নারী সাংবাদিক হাজতে: ন্যায়ের বদলে নিপীড়ন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ:কুমিল্লা কোর্টের পেশকার কর্তৃক এক নারীর সাংবাদিককে কুরুচিপূর্ণ আচরণে প্রশাসন জুলুমের শিকারে নারী সাংবাদিক হাজতে। ন্যায়ের বদলে ব্যক্তিগত পারিবারিক মান সম্মানহানি প্রশাসনিক নিপীড়ন! যা সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আলোচিত সমালোচিত হয়েছে সাংবাদিক মহল জনমনে।

একজন নারী সাংবাদিককে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন আচরণের শিকার হতে হয়েছে। আর এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েই উল্টো তাকেই পেতে হয়েছে জেল হাজতের মুখোমুখি। বিষয়টি কেবল দুঃখজনকই নয়, এটি আমাদের প্রশাসনিক কাঠামো ও সামাজিক মূল্যবোধের উপর এক গভীর প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।

সূত্র অনুযায়ী, কুমিল্লা আদালতের একজন পেশকার কর্তৃক নারী সাংবাদিকের প্রতি হীন ও অশোভন আচরণের একটি ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলেও অভিযোগের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে। বরং সেই নারী সাংবাদিককেই করা হয়েছে মামলার আসামি এবং পাঠানো হয়েছে হাজতে।

এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, প্রতিবাদ করছেন এবং ঐ সাংবাদিকের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বিষয়টি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—নারীদের নিরাপত্তা, সম্মান এবং ন্যায়ের দাবিতে আমরা এখনও কতটা পিছিয়ে।

নারী নির্যাতন বা হয়রানির ঘটনায় যিনি প্রতিবাদ করেন, তারই যদি শেষ ঠিকানা হয় কারাগার, তাহলে এ সমাজে ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে আমাদেরই।

সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কেবল প্রতিবাদ নয়, অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই হতে পারে ভবিষ্যতের নিরাপদ পথ। নারী সাংবাদিক কিংবা যেকোনো নারীর প্রতি অশালীন আচরণ কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই অবিলম্বে তদন্ত হোক, অপরাধী শাস্তি পাক এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিক মুক্তি ও ন্যায়বিচার লাভ করুক।

এখন সময় নিরবতা ভাঙার। আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা একসাথে আওয়াজ তুলি। হোক জাগ্রত তীব্র নিন্দা প্রতিবাদে দেশজুড়ে সাংবাদিক সুরক্ষায় প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কুপ্রস্তাব কুরুচিপূর্ণ আচরণ প্রশাসন জুলুমের শিকার নারী সাংবাদিক হাজতে: ন্যায়ের বদলে নিপীড়ন

আপডেট সময় : ০২:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

মোহাম্মদ মাসুদ:কুমিল্লা কোর্টের পেশকার কর্তৃক এক নারীর সাংবাদিককে কুরুচিপূর্ণ আচরণে প্রশাসন জুলুমের শিকারে নারী সাংবাদিক হাজতে। ন্যায়ের বদলে ব্যক্তিগত পারিবারিক মান সম্মানহানি প্রশাসনিক নিপীড়ন! যা সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আলোচিত সমালোচিত হয়েছে সাংবাদিক মহল জনমনে।

একজন নারী সাংবাদিককে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন আচরণের শিকার হতে হয়েছে। আর এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েই উল্টো তাকেই পেতে হয়েছে জেল হাজতের মুখোমুখি। বিষয়টি কেবল দুঃখজনকই নয়, এটি আমাদের প্রশাসনিক কাঠামো ও সামাজিক মূল্যবোধের উপর এক গভীর প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।

সূত্র অনুযায়ী, কুমিল্লা আদালতের একজন পেশকার কর্তৃক নারী সাংবাদিকের প্রতি হীন ও অশোভন আচরণের একটি ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলেও অভিযোগের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে। বরং সেই নারী সাংবাদিককেই করা হয়েছে মামলার আসামি এবং পাঠানো হয়েছে হাজতে।

এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, প্রতিবাদ করছেন এবং ঐ সাংবাদিকের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বিষয়টি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—নারীদের নিরাপত্তা, সম্মান এবং ন্যায়ের দাবিতে আমরা এখনও কতটা পিছিয়ে।

নারী নির্যাতন বা হয়রানির ঘটনায় যিনি প্রতিবাদ করেন, তারই যদি শেষ ঠিকানা হয় কারাগার, তাহলে এ সমাজে ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে আমাদেরই।

সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কেবল প্রতিবাদ নয়, অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই হতে পারে ভবিষ্যতের নিরাপদ পথ। নারী সাংবাদিক কিংবা যেকোনো নারীর প্রতি অশালীন আচরণ কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই অবিলম্বে তদন্ত হোক, অপরাধী শাস্তি পাক এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিক মুক্তি ও ন্যায়বিচার লাভ করুক।

এখন সময় নিরবতা ভাঙার। আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা একসাথে আওয়াজ তুলি। হোক জাগ্রত তীব্র নিন্দা প্রতিবাদে দেশজুড়ে সাংবাদিক সুরক্ষায় প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলন।