ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোয়াপাড়া পথেরহাট থেকে মাওলা আলী জামে মসজিদ সড়ক সংস্কারের আহ্বান এলাকাবাসীর শ্যামনগর জলবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ৩১ দফা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে প্রশংসিত হলো বাকৃবি ছাত্রদল আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী দুমকিতে গণছুটির কারণে বিদ্যুৎ অফিস অচল, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ কবর জিয়ারত ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত পরিবারের খোঁজখবর নিলেন দুমকি  উপজেলা বিএনপি ১২ই রবিউল আউয়াল আসলে আশেকদের মন উৎফুল্লতায় ভরে উঠে- মাওলানা মনসুর পটুয়াখালীতে জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঝিনাইদহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কু পি য়ে জ-খ-ম চট্টগ্রামে ‘উত্তম বাবুর্চি ক্যাটারিং সার্ভিস’ মানসম্মত খাবার পরিবেশের অঙ্গীকার

নবাবপুরে বিএনপি’র চেয়ারম্যান গ্রুফ বনাম সাধারন সম্পাদক গ্রুফ প্রশাসনের সামনেই হাতাহাতি ও মারামারিতে লিপ্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:০১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ, ফেনী জেলা স্টাফ রিপোর্টার:ফেনীর সোনাগাজীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মাঝে হট্টগোলো ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের বন্দর মার্কেট এলাকায় ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব সুলতানপু গ্রামের কালিদাস পাহালিয়া নদীর নবাবপুর ব্রীজের তলদেশ থেকে নদী ভাঙ্গন রোধে বালু ভরাটের কথা বলে বাণিজ্যিক ভাবে ১৫দিন ধরে তোলা হচ্ছে বালু। এতে হুমকিতে পড়েছে নবাবপুর সেতু ও তার তলদেশ এবং আশেপাশের রাস্তা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

এসময় উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
অভিযোগ উঠেছে নদীর গতিপথ পরিবর্তন প্রকল্পের আওতায় ড্রেজিংয়ে ও বালু উত্তোলনে অনিয়ম করে আশেপাশের বিভিন্ন ব্যাক্তির জমি,পুকুর, জলাশয় ভরাট করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্চু ও নবাবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির।

এ বিষয়ে নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) রোমেন শর্মা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর আহসান ও সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এসময় তাদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর্থিত বিএনপির নেতাকর্মী ও অভিযোগকারীদের পক্ষের বিএনপি নেতাকর্মীরা একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডায় ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
এসময় তারা একে অপরকে উদ্দেশ্যে করে তারা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন এবং ঠিকাদারি বাদ দিয়ে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নবাবপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ব্রীজের তলদেশে বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে, নদী ভাঙনের ফলে আশেপাশের রাস্তা ও বিলীন হয়ে গেছে।

এ ভাঙ্গন রোধে বাঁকা নদী সোজা-করণের লক্ষ্যে নদীর পাশে চর কেটে গতিপথ পরিবর্তন করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

এতে অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের অভিযোগে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা। এছাড়াও উত্তোলিত বালু দিয়ে আশেপাশের বিভিন্ন বাড়িঘর, পুকুর ও বিভিন্ন জমি ভরাট করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে এসব জমি, পুকুর টাকার বিনিময়ে ভরাট করা হয়েছে।

অভিযোগকারী সূত্রে জানা গেছে, সালা উদ্দিনের বাড়ির পুকুর ভরাট ১০লাখ ৪৭হাজার টাকার, শিরিন আক্তারের পিতার ২৫০শতক জমি বালু ভরাট, মো. এমরান হোসেন প্রকাশ রোমের পুকুর ভরাট করা হয়েছে।
এছাড়াও ৩০শতকের ১৫ফুট গভীর পুকুর ভরাট, প্রায় ৮০শতক জমি ভরাট করে তৈরি করা হয়েছ বালু মহাল।

আব্দুল হাই নামে স্থানীয় ভুক্তভোগী বলেন, আমার ২১ ডিসিম জায়গা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
আমি এটির প্রতিকার চাই। আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি, বলেনি। না বলেই জায়গা ভরাট করে ফেলেছে। যেখান থেকে বালু নেওয়ার কথা সেখান থেকে কাটছেনা। আমার মত এমন অনেকের জমি নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযোগ দায়েরকারী জহির উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, আমি ইউনিয়নের সর্বসাধারণের পক্ষে অভিযোগ করেছি।
বালু উত্তোলনে ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী বাঁকাকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে, চর কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কিন্তু ফরহাদনগরের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চু ও নবাবপুরের চেয়ারম্যান জহিরের যৌথ তত্ত্বাবধানে বালু উত্তোলন করছে। চর না কেটে তারা নদীর মাঝখান থেকে বালু উত্তোলন করে টাকার বিনিময়ে আশেপাশে জমি পুকুর ভরাট করছে।
আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সরাসরি টেন্ডারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে দিয়ে কাজ করানো হোক, এতে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল হক জহির। তিনি বলেন, সরকার ৩৪ হাজার গণফুট ড্রেজিং করার অনুমতি দিয়েছে।

ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ জায়গাটি সরেজমিনে দেখে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য। অবৈধভাবে কোন বালু উত্তোলন করা হয়নি, কেও প্রমাণ করতে পারলে আমি সেটির দায় নেব।
বালু গুলো উত্তোলন করে জমা রাখা হচ্ছে, তাই আশেপাশের জায়গা ভরাট হচ্ছে। আমাদের আরও জায়গা প্রয়োজন কারণ আরও অন্তত ২৫ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হবে। আমরা পাইপ দিয়ে বালু নিয়ে যাচ্ছি, বালু মহালের আশেপাশে পানির স্রোতের কারণে অন্যান্য জায়গা ভরাট হচ্ছে।

এ জায়গাগুলো ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আমি শুধুমাত্র তদারকি করছি, আমার কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই।


অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্চু বলেন, এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই। এখানে উত্তোলনের কাজে যে বোটগুলো ব্যবহার হচ্ছে সরঞ্জাম গুলো ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো আমি ভাড়া দিয়েছি।
সেটি আমি তদারকি করছি। সরকার বাঁকা নদী সোজা করার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, সে বালুগুলো উত্তোলন করে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে।

সে বালু সরকার কি করবে তারাই জানে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) রোমেন শর্মা বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি বালু উত্তোলন করে অন্য জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। সেজন্য আমরা সরেজমিনে দেখেছি পরবর্তীতে আরও অভিজ্ঞরা আসবে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা, পরবর্তীতে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে আমরা প্রতিবেদন দেব।

তিনি বলেন, এখানে নদী ভাঙন রোধে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য চর কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এখানে অন্যকোনো স্বার্থ আছে কিনা, সরকারি টাকায় অন্যকেও লাভবান হচ্ছে কিনা।পাশাপাশি যারা অভিযোগ করেছে তাদের স্বার্থ আছে কিনা সেটিও আমরা দেখব। যদি কোন অনিয়ম পাই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নবাবপুরে বিএনপি’র চেয়ারম্যান গ্রুফ বনাম সাধারন সম্পাদক গ্রুফ প্রশাসনের সামনেই হাতাহাতি ও মারামারিতে লিপ্ত

আপডেট সময় : ০২:০১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

মোহাম্মদ হানিফ, ফেনী জেলা স্টাফ রিপোর্টার:ফেনীর সোনাগাজীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মাঝে হট্টগোলো ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের বন্দর মার্কেট এলাকায় ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব সুলতানপু গ্রামের কালিদাস পাহালিয়া নদীর নবাবপুর ব্রীজের তলদেশ থেকে নদী ভাঙ্গন রোধে বালু ভরাটের কথা বলে বাণিজ্যিক ভাবে ১৫দিন ধরে তোলা হচ্ছে বালু। এতে হুমকিতে পড়েছে নবাবপুর সেতু ও তার তলদেশ এবং আশেপাশের রাস্তা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

এসময় উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
অভিযোগ উঠেছে নদীর গতিপথ পরিবর্তন প্রকল্পের আওতায় ড্রেজিংয়ে ও বালু উত্তোলনে অনিয়ম করে আশেপাশের বিভিন্ন ব্যাক্তির জমি,পুকুর, জলাশয় ভরাট করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্চু ও নবাবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির।

এ বিষয়ে নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) রোমেন শর্মা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর আহসান ও সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এসময় তাদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর্থিত বিএনপির নেতাকর্মী ও অভিযোগকারীদের পক্ষের বিএনপি নেতাকর্মীরা একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডায় ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
এসময় তারা একে অপরকে উদ্দেশ্যে করে তারা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন এবং ঠিকাদারি বাদ দিয়ে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নবাবপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ব্রীজের তলদেশে বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে, নদী ভাঙনের ফলে আশেপাশের রাস্তা ও বিলীন হয়ে গেছে।

এ ভাঙ্গন রোধে বাঁকা নদী সোজা-করণের লক্ষ্যে নদীর পাশে চর কেটে গতিপথ পরিবর্তন করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

এতে অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের অভিযোগে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা। এছাড়াও উত্তোলিত বালু দিয়ে আশেপাশের বিভিন্ন বাড়িঘর, পুকুর ও বিভিন্ন জমি ভরাট করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে এসব জমি, পুকুর টাকার বিনিময়ে ভরাট করা হয়েছে।

অভিযোগকারী সূত্রে জানা গেছে, সালা উদ্দিনের বাড়ির পুকুর ভরাট ১০লাখ ৪৭হাজার টাকার, শিরিন আক্তারের পিতার ২৫০শতক জমি বালু ভরাট, মো. এমরান হোসেন প্রকাশ রোমের পুকুর ভরাট করা হয়েছে।
এছাড়াও ৩০শতকের ১৫ফুট গভীর পুকুর ভরাট, প্রায় ৮০শতক জমি ভরাট করে তৈরি করা হয়েছ বালু মহাল।

আব্দুল হাই নামে স্থানীয় ভুক্তভোগী বলেন, আমার ২১ ডিসিম জায়গা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
আমি এটির প্রতিকার চাই। আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি, বলেনি। না বলেই জায়গা ভরাট করে ফেলেছে। যেখান থেকে বালু নেওয়ার কথা সেখান থেকে কাটছেনা। আমার মত এমন অনেকের জমি নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযোগ দায়েরকারী জহির উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, আমি ইউনিয়নের সর্বসাধারণের পক্ষে অভিযোগ করেছি।
বালু উত্তোলনে ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী বাঁকাকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে, চর কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কিন্তু ফরহাদনগরের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চু ও নবাবপুরের চেয়ারম্যান জহিরের যৌথ তত্ত্বাবধানে বালু উত্তোলন করছে। চর না কেটে তারা নদীর মাঝখান থেকে বালু উত্তোলন করে টাকার বিনিময়ে আশেপাশে জমি পুকুর ভরাট করছে।
আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সরাসরি টেন্ডারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে দিয়ে কাজ করানো হোক, এতে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল হক জহির। তিনি বলেন, সরকার ৩৪ হাজার গণফুট ড্রেজিং করার অনুমতি দিয়েছে।

ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ জায়গাটি সরেজমিনে দেখে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য। অবৈধভাবে কোন বালু উত্তোলন করা হয়নি, কেও প্রমাণ করতে পারলে আমি সেটির দায় নেব।
বালু গুলো উত্তোলন করে জমা রাখা হচ্ছে, তাই আশেপাশের জায়গা ভরাট হচ্ছে। আমাদের আরও জায়গা প্রয়োজন কারণ আরও অন্তত ২৫ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হবে। আমরা পাইপ দিয়ে বালু নিয়ে যাচ্ছি, বালু মহালের আশেপাশে পানির স্রোতের কারণে অন্যান্য জায়গা ভরাট হচ্ছে।

এ জায়গাগুলো ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আমি শুধুমাত্র তদারকি করছি, আমার কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই।


অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্চু বলেন, এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই। এখানে উত্তোলনের কাজে যে বোটগুলো ব্যবহার হচ্ছে সরঞ্জাম গুলো ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো আমি ভাড়া দিয়েছি।
সেটি আমি তদারকি করছি। সরকার বাঁকা নদী সোজা করার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, সে বালুগুলো উত্তোলন করে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে।

সে বালু সরকার কি করবে তারাই জানে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) রোমেন শর্মা বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি বালু উত্তোলন করে অন্য জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। সেজন্য আমরা সরেজমিনে দেখেছি পরবর্তীতে আরও অভিজ্ঞরা আসবে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা, পরবর্তীতে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে আমরা প্রতিবেদন দেব।

তিনি বলেন, এখানে নদী ভাঙন রোধে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য চর কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এখানে অন্যকোনো স্বার্থ আছে কিনা, সরকারি টাকায় অন্যকেও লাভবান হচ্ছে কিনা।পাশাপাশি যারা অভিযোগ করেছে তাদের স্বার্থ আছে কিনা সেটিও আমরা দেখব। যদি কোন অনিয়ম পাই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।