ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেনী ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নোয়াপাড়া পথেরহাট থেকে মাওলা আলী জামে মসজিদ সড়ক সংস্কারের আহ্বান এলাকাবাসীর শ্যামনগর জলবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ৩১ দফা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে প্রশংসিত হলো বাকৃবি ছাত্রদল আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী দুমকিতে গণছুটির কারণে বিদ্যুৎ অফিস অচল, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ কবর জিয়ারত ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত পরিবারের খোঁজখবর নিলেন দুমকি  উপজেলা বিএনপি ১২ই রবিউল আউয়াল আসলে আশেকদের মন উৎফুল্লতায় ভরে উঠে- মাওলানা মনসুর পটুয়াখালীতে জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঝিনাইদহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কু পি য়ে জ-খ-ম

শ্যামনগর আশাশুনি আসন একীভূতকরনের প্রতিবাদে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলাকে একীভূত করে একটি সংসদীয় আসন গঠনের প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। স্বারকলিপিতে বলা হয়, শ্যামনগর ভৌগোলিকভাবে বিস্তীর্ণ, জনবহুল ও জলবায়ুগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ একটি উপজেলা। এখানকার মানুষের স্বার্থ রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরেই স্বতন্ত্র সংসদীয় আসনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক আসন পুনর্বিন্যাসে শ্যামনগরকে আশাশুনির সঙ্গে একীভূত করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা স্থানীয় জনগণের মতামতের পরিপন্থী। এর ফলে জনদুর্ভোগ বাড়বে এবং প্রশাসনিক সেবা প্রদানে জটিলতা তৈরি হবে। স্বারকলিপি প্রদানের পর মাওলানা আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “স্বাধীনতার পর ১৯৭১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৯ বছর শ্যামনগর একটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাতক্ষীরার পাঁচটি আসন ভেঙে চারটি আসন করে, যাতে পরবর্তী সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন আবারও শ্যামনগর ও আশাশুনিকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যা জনস্বার্থ বিরোধী। আমরা চাই শ্যামনগরকে পুনরায় স্বতন্ত্র আসন বা সাতক্ষীরা-৫ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে অন্তত পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আসন বহাল রাখা জরুরি।”স্থানীয় জনগণও আসন একীভূতকরণের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা, নদী-বিধৌত এলাকা এবং দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শ্যামনগর ও আশাশুনি একই আসনে অন্তর্ভুক্ত হলে মানুষের চলাচল, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এতে এলাকার সার্বিক অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলাম, উৎসর্গ সোসাইটির চেয়ারম্যান গাজী আব্দুর রউফ, ছাত্র প্রতিনিধি মাছুম বিল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শ্যামনগর আশাশুনি আসন একীভূতকরনের প্রতিবাদে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় : ১০:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলাকে একীভূত করে একটি সংসদীয় আসন গঠনের প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। স্বারকলিপিতে বলা হয়, শ্যামনগর ভৌগোলিকভাবে বিস্তীর্ণ, জনবহুল ও জলবায়ুগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ একটি উপজেলা। এখানকার মানুষের স্বার্থ রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরেই স্বতন্ত্র সংসদীয় আসনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক আসন পুনর্বিন্যাসে শ্যামনগরকে আশাশুনির সঙ্গে একীভূত করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা স্থানীয় জনগণের মতামতের পরিপন্থী। এর ফলে জনদুর্ভোগ বাড়বে এবং প্রশাসনিক সেবা প্রদানে জটিলতা তৈরি হবে। স্বারকলিপি প্রদানের পর মাওলানা আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “স্বাধীনতার পর ১৯৭১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৯ বছর শ্যামনগর একটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাতক্ষীরার পাঁচটি আসন ভেঙে চারটি আসন করে, যাতে পরবর্তী সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন আবারও শ্যামনগর ও আশাশুনিকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যা জনস্বার্থ বিরোধী। আমরা চাই শ্যামনগরকে পুনরায় স্বতন্ত্র আসন বা সাতক্ষীরা-৫ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে অন্তত পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আসন বহাল রাখা জরুরি।”স্থানীয় জনগণও আসন একীভূতকরণের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা, নদী-বিধৌত এলাকা এবং দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শ্যামনগর ও আশাশুনি একই আসনে অন্তর্ভুক্ত হলে মানুষের চলাচল, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এতে এলাকার সার্বিক অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলাম, উৎসর্গ সোসাইটির চেয়ারম্যান গাজী আব্দুর রউফ, ছাত্র প্রতিনিধি মাছুম বিল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।