ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাউজানে সনাতনী সমাজে আলোচিত ব্যক্তিত্ব – সুমন দাশ গুপ্ত গাজীপুর জেলা জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া বিএনপির সমাবেশ সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে এলাকায় অবৈধভাবে মাছ শিকারকালে আটক ৮ রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে নদী ভাঙন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বস্তা ডাম্পিং কাজ শুরু শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ সভা মায়ের অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়া দুই ভাইবোনের সংগ্রামের গল্প বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরে ড্যাবের বর্ণাঢ্য র‍্যালী নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে আজিজ আহম্মেদ কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সোনাগাজীতে রাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলের প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া

দাগনভূঞায় গৃহবধু ফারহানা আক্তারের মাথায় লোহার পাত দিয়ে আগাত করে গুরুতর আহত করে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ,ফেনী জেলা স্টাফ রিপোর্টার:ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, তবে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, মোঃ ইব্রাহিম সবুজের স্ত্রী বিলকিস আক্তার মুন্নির ৬ বছরের ছোট মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। একই মাদ্রাসায় একই ক্লাসে পড়ে প্রতিবেশী মঞ্জুরা বেগমের মেয়েও। সম্প্রতি ওই মাদ্রাসায় খাতা ছেঁড়া নিয়ে শিশুদের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরেই গত ১৫ আগস্ট সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে মঞ্জুরা বেগম ও তার মেয়ে ফারহানা আক্তার মুন্নির বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু করে।

এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মঞ্জুরা বেগম হাতে থাকা লোহার পাত দিয়ে মুন্নির মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মাথায় তিনটি সেলাই দেন ও ব্যান্ডেজ করেন। পাশাপাশি মারধরের ফলে তার চোখে সমস্যা দেখা দেওয়ায় চিকিৎসকেরা বিশেষজ্ঞ চোখের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন।

এ ঘটনায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং মঞ্জুরা বেগমের স্বামী আমির হোসেনকে বোঝাতে চান। তবে তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। বরং তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি–ধমকি দেন। অভিযোগ রয়েছে, আমির হোসেন ফেনী ডিসি অফিসে পিয়ন পদে চাকরি করেন এবং সেই পরিচয়কে ব্যবহার করে তিনি এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন।

বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং তারা দাগনভূঞা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দাগনভূঞায় গৃহবধু ফারহানা আক্তারের মাথায় লোহার পাত দিয়ে আগাত করে গুরুতর আহত করে

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

মোহাম্মদ হানিফ,ফেনী জেলা স্টাফ রিপোর্টার:ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, তবে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, মোঃ ইব্রাহিম সবুজের স্ত্রী বিলকিস আক্তার মুন্নির ৬ বছরের ছোট মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। একই মাদ্রাসায় একই ক্লাসে পড়ে প্রতিবেশী মঞ্জুরা বেগমের মেয়েও। সম্প্রতি ওই মাদ্রাসায় খাতা ছেঁড়া নিয়ে শিশুদের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরেই গত ১৫ আগস্ট সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে মঞ্জুরা বেগম ও তার মেয়ে ফারহানা আক্তার মুন্নির বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু করে।

এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মঞ্জুরা বেগম হাতে থাকা লোহার পাত দিয়ে মুন্নির মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মাথায় তিনটি সেলাই দেন ও ব্যান্ডেজ করেন। পাশাপাশি মারধরের ফলে তার চোখে সমস্যা দেখা দেওয়ায় চিকিৎসকেরা বিশেষজ্ঞ চোখের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন।

এ ঘটনায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং মঞ্জুরা বেগমের স্বামী আমির হোসেনকে বোঝাতে চান। তবে তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। বরং তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি–ধমকি দেন। অভিযোগ রয়েছে, আমির হোসেন ফেনী ডিসি অফিসে পিয়ন পদে চাকরি করেন এবং সেই পরিচয়কে ব্যবহার করে তিনি এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন।

বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং তারা দাগনভূঞা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়নি।