স্কুলে ঢুকে সহকারী শিক্ষককে,বিএনপি’র সভাপতি – ছাত্রদল নেতারা মারধর

- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫ ৬২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন, সাতক্ষীরা: স্কুলে ঢুকে সহকারি শিক্ষককে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির
সভাপতি ও ছাত্রদল নেতার মারধর করেছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লি মুজিবুর রহমান স্কুলের ভেতরে ঢুকে সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির বিএনপি’র সভাপতি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীর নামে।
রবিবার ( ১৭ আগস্ট ) সকাল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লি মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার হয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম স্কুলে ঢুকে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও ছাত্রদল নেতার মারধর করে তার ভিডিও সামাজিকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানায় একটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের মতো সকাল ০৮দিকে স্কুলের বিভিন্ন শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদেরকে স্কুলের কক্ষে অতিরিক্ত ক্লাস শেষে অফিস কক্ষে আসি। এরপর বেলা ১০.০০ দিকে
বল্লী গ্রামের লিয়াকত আলী ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান সবুজ,রেজাউল বিশ্বাস ছেলে শাহিনুর রহমান,হাজীপুর গ্রামের মৃত কওছার গাজী ছেলে রবিউল ইসলাম, বল্লী গ্রামের মৃত আনারুল ইসলাম ছেলে সেলিম আক্তার মন্টু, মুকুন্দপুর গ্রামের আব্দুল গফুর ছেলে আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, মৃত আব্দুল ছেলে ইসলাম কবিরাজ, আজিবুর রহমান ছেলে মোঃ রাশেদুজ্জামান সবাই হাতে লোহার রড, হাতুড়ী, জিআই পাইপ, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি সহকারে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ ভাবে উক্ত স্কুলে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করিয়া অফিস কক্ষে ঢুকে আমার জামার কলার ধরে মারপিট শুরু করে এবংকিছু মানুষ দিয়ে ছবি ভিডিও করতে থাকে। একপর্যায়ে তাহারা আমাকে ধরে জনসম্মুখে টেনে হিছড়ে নিয়ে যায়। তারপরেও পাশে ১২নং বল্লী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে নিয়ে আটকাইয়া বেদম মারপিট করে।বিষয়টা স্কুলের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরা জানতে পেরে তাহারা আমাকে পরিষদ থেকে উদ্ধার করে। তারপরে স্কুলে এসে আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে যে, আমি পুনরায় এই স্কুলে আসিলে আমার হাত পা ভেঙ্গে দিবে, আমাকে খুন জখম করবে বলে হুমকি দিয়েছে।
বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সবুজ মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেনি।
এই বিষয়ে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন, এই বিষয়ে না না কিছু বলবো না।
বল্লী মুজিবুর রহমান স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলে, আমি স্কুলে প্রবেশ করি পনি দশটায় এসে দেখি বিএনপি’র কিছু নেতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সেক্রেটারি সহ আমার অফিস পক্ষে বসে আছে, সালাম দিয়ে বললাম কি খবর আপনার শফিক স্যার কালকে উপরে একটা মেয়েকে প্রাইভেট পড়া হয়েছে ৩৭ মিনিট আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন মাঠে কিছু ছেলেপেলে খেলা করছিল তারাই অভিযোগ দিয়েছে, আমার কাছে তো কোন অভিযোগ আসেনি, খেলার মাঠে কারা কি বলল তাই শুনে আপনারা এসেছেন, আমি তো কাল সকাল দশটায় স্কুলে এসেছিলাম, আমার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা কিছু স্কুলে ছিল তারা ঝাড়ু দিচ্ছিল তারাও তো বলল না, আমি যেটা বুঝছি এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত,কথা বলার এক পর্যায়ে কামরুজ্জামান সবুজ বিএনপির কোন পোস্টে আছে জানিনা শফিক স্যার কে মারতে যাচ্ছে অন্যায় করলে আমি শাস্তি দেব তারপরে সবুজ তাকে লাথি দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেয় তারপরে ১০-১২ জন ধরে টেনে হিজড়ে হাটু মাজারে বলে কেল ঘুসি যেভাবে পারে মারছে বিএনপির সব মারতে মারতে এখান থেকে নিয়ে গেল বাজার ঘুরাইছে পরে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কে বন্ধ করে রাখছে, আমরা গিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি, আমি ইউনি স্যার কে ফোন করেছিলাম উনি আমাদের স্কুলের সভাপতি, থানায়ও ফোন করেছি, সেনাবাহিনী ক্যাম্পে ফোন করেছি, থানা থেকে পুলিশ এসে স্বাভাবিক করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো:শামিনুল হক বলেন,আমাদের এখানে অভিযোগ প্রাপ্তি হলে আইনগত ব্যবস্থা আমরা নিব।