ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরকার উৎখাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলকারী গ্রেপ্তার-৮ আনসার-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গাজা,নগদ অর্থ উদ্ধার, আটক-১ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১১ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফেনী ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নোয়াপাড়া পথেরহাট থেকে মাওলা আলী জামে মসজিদ সড়ক সংস্কারের আহ্বান এলাকাবাসীর শ্যামনগর জলবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ৩১ দফা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে প্রশংসিত হলো বাকৃবি ছাত্রদল আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী দুমকিতে গণছুটির কারণে বিদ্যুৎ অফিস অচল, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ

খাগড়াছড়ি ২৯৮ আসনে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী “ওয়াদুদ ভূইঁয়া” বসে নেই জামায়াত সহ অন্যান্য প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে

এম.এ.জলিল,খাগড়াছড়ি জেলা প্রথিনীধি;খাগড়াছড়িতে একটিই সংসদীয় আসন, ৯ উপজেলা, ৩ পৌরসভা আর ৩৮ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। আওয়ামী দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনে জয় পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। বসে নেই জামায়াতও।

তবে বিএনপি-জামায়াতের জন্য এই আসনে চ্যালেঞ্জ হতে পারে আঞ্চলিক দলগুলো। দীর্ঘদিন ক্ষমতার স্বাদ না পাওয়া তিন আঞ্চলিক দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে পারে এমন ইঙ্গিত মিলছে। এতে এই আসনে ভোটের সব হিসাব-নিকাশ উল্টে যাবে এমন ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৪ জন। বরাবরই এখানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কেউ না কেউ নানা রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তবে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার বিএনপি প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বিজয়ী হন। এছাড়া বাকি নির্বাচনে আসনটি দখলে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। দলটির পতনের পর পরিবর্তিত বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখছে বিভিন্ন দল। তবে এ আসনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে ব্যবধান গড়ে দেবেন পাহাড়ি ভোটাররা এমনটাই অভিমত রাজনীতিবিদদের।

বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, দলের সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও জেলার সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়াই হচ্ছেন প্রার্থী। তিনি দুবার নির্বাচিত হয়েছেন এর আগে। তিন পার্বত্য জেলায় উন্নয়নে ভূমিকা রেখে ব্যাপক প্রশংসিত হন এই নেতা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আফছার বলেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়াই হচ্ছেন দলের একমাত্র প্রার্থী। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বিএনপি এখন খাগড়াছড়িতে জনপ্রিয় ও সুসংগঠিত। সমীরণ দেওয়ান ও শহীদুল ইসলামকে দলের কেউ প্রার্থী হিসেবে মেনে নেবে না।

জামায়াত অনেকটাই নির্ভার। কারণ দলটি এই আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে গত ৭ ফেব্রুয়ারি। তিনি হলেন জেলা জামায়াত নেতা, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী।

বিএনপি জামায়াত যখন ঘর গোছাচ্ছে, ঠিক তখনই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই আসনের জন্য প্রার্থী বাছাই করেছে ইসলামী আন্দোলনও। নির্বাচনে লড়বেন দলের নেতা মাওলানা কাউছার আজিজী। তিনি বলেন, প্রচলিত নিয়মে ভোট বা পিআর পদ্ধতিতে, যেভাবেই হোক— আমাদের সে প্রস্তুতি রয়েছে। একক না জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেব সেটি কেন্দ্র ঠিক করে দেবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি দলীয়ভাবে খাগড়াছড়িতে কাউকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না দিলেও আলোচনায় আছেন দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) ও জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

খাগড়াছড়ি ২৯৮ আসনে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী “ওয়াদুদ ভূইঁয়া” বসে নেই জামায়াত সহ অন্যান্য প্রার্থী

আপডেট সময় : ০৫:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

এম.এ.জলিল,খাগড়াছড়ি জেলা প্রথিনীধি;খাগড়াছড়িতে একটিই সংসদীয় আসন, ৯ উপজেলা, ৩ পৌরসভা আর ৩৮ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। আওয়ামী দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনে জয় পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। বসে নেই জামায়াতও।

তবে বিএনপি-জামায়াতের জন্য এই আসনে চ্যালেঞ্জ হতে পারে আঞ্চলিক দলগুলো। দীর্ঘদিন ক্ষমতার স্বাদ না পাওয়া তিন আঞ্চলিক দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে পারে এমন ইঙ্গিত মিলছে। এতে এই আসনে ভোটের সব হিসাব-নিকাশ উল্টে যাবে এমন ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৪ জন। বরাবরই এখানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কেউ না কেউ নানা রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তবে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার বিএনপি প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বিজয়ী হন। এছাড়া বাকি নির্বাচনে আসনটি দখলে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। দলটির পতনের পর পরিবর্তিত বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখছে বিভিন্ন দল। তবে এ আসনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে ব্যবধান গড়ে দেবেন পাহাড়ি ভোটাররা এমনটাই অভিমত রাজনীতিবিদদের।

বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, দলের সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও জেলার সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়াই হচ্ছেন প্রার্থী। তিনি দুবার নির্বাচিত হয়েছেন এর আগে। তিন পার্বত্য জেলায় উন্নয়নে ভূমিকা রেখে ব্যাপক প্রশংসিত হন এই নেতা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আফছার বলেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়াই হচ্ছেন দলের একমাত্র প্রার্থী। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বিএনপি এখন খাগড়াছড়িতে জনপ্রিয় ও সুসংগঠিত। সমীরণ দেওয়ান ও শহীদুল ইসলামকে দলের কেউ প্রার্থী হিসেবে মেনে নেবে না।

জামায়াত অনেকটাই নির্ভার। কারণ দলটি এই আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে গত ৭ ফেব্রুয়ারি। তিনি হলেন জেলা জামায়াত নেতা, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী।

বিএনপি জামায়াত যখন ঘর গোছাচ্ছে, ঠিক তখনই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই আসনের জন্য প্রার্থী বাছাই করেছে ইসলামী আন্দোলনও। নির্বাচনে লড়বেন দলের নেতা মাওলানা কাউছার আজিজী। তিনি বলেন, প্রচলিত নিয়মে ভোট বা পিআর পদ্ধতিতে, যেভাবেই হোক— আমাদের সে প্রস্তুতি রয়েছে। একক না জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেব সেটি কেন্দ্র ঠিক করে দেবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি দলীয়ভাবে খাগড়াছড়িতে কাউকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না দিলেও আলোচনায় আছেন দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) ও জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা।