ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

টাকার বিনিময়ে বঞ্চিত হতদরিদ্ররা ভিজিডি-টিসিবি-বয়স্ক ভাতায় দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ ৭০ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:-

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারের বরাদ্দকৃত ভিজিডি চাল, টিসিবি কার্ড, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, এবং মাসিক ৩০ কেজি বিনামূল্যের চালসহ নানা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির প্রকৃত সুবিধাভোগীরা দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এসব সুবিধা সরকার প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগণের জন্য বরাদ্দ দিলেও তা সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পুরুষ ও মহিলা ইউপি সদস্যরা এসব সরকারি কার্ড বা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে তা বিত্তবান, প্রভাবশালী কিংবা নিজেদের অনুসারীদের মধ্যে বিতরণ করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই মোটা অঙ্কের ঘুষ বা অর্থের বিনিময়ে এইসব সুবিধা তুলে দেওয়া হয়, যার ফলে প্রকৃত দরিদ্র ও অসহায় মানুষ বারবার আবেদন করেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছে।

ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চাঁপাকোনা গ্রামে এমনই এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—একজন সৎ, ভালো এবং সুস্থ মহিলা, যিনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সক্ষম, তাকেও ‘পঙ্গু ভাতা’ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে। অথচ তার কোনো শারীরিক অক্ষমতা নেই। এ ধরনের অনৈতিক সুবিধা বিতরণের কারণে প্রকৃত প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না।

একাধিক হতদরিদ্র পরিবার জানান—“আমরা দিনমজুর মানুষ, পরিবার নিয়ে অভাবে দিন কাটে, কিন্তু ভিজিডি হোক আর টিসিবি কার্ড, কিছুই পাই না। যারা টাকা দেয়, তারাই সব পায়। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা মুখে মানবতার কথা বলেন, কিন্তু কাজ করেন টাকার বিনিময়ে।

সচেতন মহলের দাবি, এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মহিলা সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে সরকারি সহায়তা প্রকৃত মানুষের কাছে পৌঁছাবে না এবং সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

টাকার বিনিময়ে বঞ্চিত হতদরিদ্ররা ভিজিডি-টিসিবি-বয়স্ক ভাতায় দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:-

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারের বরাদ্দকৃত ভিজিডি চাল, টিসিবি কার্ড, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, এবং মাসিক ৩০ কেজি বিনামূল্যের চালসহ নানা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির প্রকৃত সুবিধাভোগীরা দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এসব সুবিধা সরকার প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগণের জন্য বরাদ্দ দিলেও তা সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পুরুষ ও মহিলা ইউপি সদস্যরা এসব সরকারি কার্ড বা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে তা বিত্তবান, প্রভাবশালী কিংবা নিজেদের অনুসারীদের মধ্যে বিতরণ করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই মোটা অঙ্কের ঘুষ বা অর্থের বিনিময়ে এইসব সুবিধা তুলে দেওয়া হয়, যার ফলে প্রকৃত দরিদ্র ও অসহায় মানুষ বারবার আবেদন করেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছে।

ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চাঁপাকোনা গ্রামে এমনই এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—একজন সৎ, ভালো এবং সুস্থ মহিলা, যিনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সক্ষম, তাকেও ‘পঙ্গু ভাতা’ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে। অথচ তার কোনো শারীরিক অক্ষমতা নেই। এ ধরনের অনৈতিক সুবিধা বিতরণের কারণে প্রকৃত প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না।

একাধিক হতদরিদ্র পরিবার জানান—“আমরা দিনমজুর মানুষ, পরিবার নিয়ে অভাবে দিন কাটে, কিন্তু ভিজিডি হোক আর টিসিবি কার্ড, কিছুই পাই না। যারা টাকা দেয়, তারাই সব পায়। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা মুখে মানবতার কথা বলেন, কিন্তু কাজ করেন টাকার বিনিময়ে।

সচেতন মহলের দাবি, এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মহিলা সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে সরকারি সহায়তা প্রকৃত মানুষের কাছে পৌঁছাবে না এবং সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হবে।