যশোরে ড্রোন প্রযুক্তি মাদকবিরোধী অভিযানে এএসআই শহীদুলের নতুন ধারা

- আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুরঃ যশোরের মনিরামপুর থানায় মাদকবিরোধী অভিযানে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শহীদুল ইসলাম। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে এসে তিনি প্রথমবারের মতো ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরতে শুরু করেছেন। তার এই উদ্যোগে ইতিমধ্যেই এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক সাড়া।
ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তার এলাকাকে মাদকমুক্ত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অপরাধীর পরিচয় নয়, অপরাধই তার কাছে মুখ্য—এই মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন নিরলসভাবে।
এএসআই শহীদুল ইসলাম বলেন,
আমি যতদিন ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি ততদিন কোনো মাদক ব্যবসায়ী বা অপরাধীর ঠাঁই হবে না। প্রয়োজন হলে আরও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করবো। ঢাকুরিয়ায় অপরাধ করতে চাইলে তার আগে আমাকে পার হতে হবে।
ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে তিনি ঢাকুরিয়া এলাকার বিভিন্ন সন্দেহভাজন স্থানে নজরদারি করছেন। অজানা গলিপথ, ফাঁকা মাঠ, বাগান ও জনবিরল স্থানে মাদক সেবন ও বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করছেন সরাসরি আকাশপথে। এই প্রযুক্তিগত তৎপরতার ফলে মাদক সেবন ও বিক্রির মতো অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা এখন আতঙ্কে আছে।
তিনি মনিরামপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই একের পর এক মাদকবিরোধী অভিযানে সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক মাদক কারবারি ধরা পড়েছে এবং একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে। তার নেতৃত্বে ঢাকুরিয়ায় মাদক নির্মূলে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।
সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় সমাজকর্মীরা বলছেন, শহীদুল ইসলামের মতো অফিসারদের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হচ্ছে, তেমনি সমাজেও ফিরছে স্বস্তি। একজন অফিসার যখন সাহস, নিষ্ঠা ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মাঠে নামেন—তখন সমাজ সত্যিকার অর্থেই লাভবান হয়।
ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন
আগে মাদক নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কেউ সাহস করে আর মাদক নিয়ে ঘোরেনা। শহীদুল স্যারের মতো অফিসার থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটা নিরাপদ সমাজ পাবে।
এএসআই শহীদুল ইসলামের এই কর্মকাণ্ড এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে। প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।