ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন সাবেক ভিপি নুর কুতুবদিয়ায় জলদস্যু,মাদক ও সন্ত্রাস দমনে থানা, কোস্ট গার্ড এবং মৎস্য অফিসের যৌথ সচেতনতামূলক সভা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত জামালপুরের বকশীগঞ্জে দশানি নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল চায়না জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পবিপ্রবির তাপসী রাবেয়া হলে নবীনবরণ উৎসব ঠাকুরগায়ের হরিপুরে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরনে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত শাল্লায় বিএনপির নাছির চৌধুরী’র জনসভা ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুদক অভিযানে চালিয়ে ব‍্যপক অনিয়ম খুঁজে পেলেন

আগৈলঝাড়ায় হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং আওয়াজেই ব্যস্ত সময় পার করছে কামারশিল্পীরা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল ক্রাইম রিপোর্টার: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামারশিল্পীরা। বরিশালের আগৈলঝাড়ার উপজেলার কামারশিল্পীরা পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দা, বঁটি, ছুরি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের দোকানগুলো থেকে আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং আওয়াজ দিনরাত শোনা যাচ্ছে। উপজেলার বাজারগুলো ও কামারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, কামারের দোকানগুলোয় লাল আগুনের মধ্যে রাখা লোহাতে অনবরত পিটুনি দেওয়া হচ্ছে। অধিক পরিশ্রম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সময়ে বাড়তি রোজগারের আশায় পথ চেয়ে থাকেন কামারপাড়ার শিল্পীরা। তবে কামারপাড়ার দোকানিরা বলছেন, এ বছর লোহা আর কয়লার দাম বেশি হলেও সেই তুলনায় বেশি মজুরি নিতে পারছেন না তাঁরা। তাই এ বছর বেশি লাভের আশা করছেন না তাঁরা। বর্তমানে ভালো মানের প্রতিটি দা তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, বড় ছুরি তৈরিতে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং বঁটি তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির অপরিহার্য এসব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রাজিহার গ্রামের কামারশিল্পী অশোক সরকার, শুভাস রায়, বাসুদেব দাস। বাসুদেব দাস সরকার জানান, এখন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। কামারদের কেউ ব্যস্ত নতুন দা-বঁটি তৈরিতে, আবার কেউ ব্যস্ত পুরোনো দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতিতে শাণ দিতে। তবে নতুন কাজের চেয়ে গৃহস্থদের কাছে পশু জবাইয়ের জন্য পুরোনো ছুরি, চাপাতিগুলোতে শাণ দিতে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে আগে থেকেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লোক রেখেছেন তাঁরা। আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজার, রাজিহার, গৈলা বাজার, গুপ্তেরহাট বাজার, সাহেবেরহাট, বাশাইল, পয়সারহাট, ছয়গ্রামসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন কামারেরা। শাণ দেওয়া নতুন দা, বঁটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে।প্রতিদিনেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ব্যস্ততা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আগৈলঝাড়ায় হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং আওয়াজেই ব্যস্ত সময় পার করছে কামারশিল্পীরা

আপডেট সময় : ০৫:২৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

বরিশাল ক্রাইম রিপোর্টার: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামারশিল্পীরা। বরিশালের আগৈলঝাড়ার উপজেলার কামারশিল্পীরা পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দা, বঁটি, ছুরি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের দোকানগুলো থেকে আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং আওয়াজ দিনরাত শোনা যাচ্ছে। উপজেলার বাজারগুলো ও কামারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, কামারের দোকানগুলোয় লাল আগুনের মধ্যে রাখা লোহাতে অনবরত পিটুনি দেওয়া হচ্ছে। অধিক পরিশ্রম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সময়ে বাড়তি রোজগারের আশায় পথ চেয়ে থাকেন কামারপাড়ার শিল্পীরা। তবে কামারপাড়ার দোকানিরা বলছেন, এ বছর লোহা আর কয়লার দাম বেশি হলেও সেই তুলনায় বেশি মজুরি নিতে পারছেন না তাঁরা। তাই এ বছর বেশি লাভের আশা করছেন না তাঁরা। বর্তমানে ভালো মানের প্রতিটি দা তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, বড় ছুরি তৈরিতে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং বঁটি তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির অপরিহার্য এসব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রাজিহার গ্রামের কামারশিল্পী অশোক সরকার, শুভাস রায়, বাসুদেব দাস। বাসুদেব দাস সরকার জানান, এখন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। কামারদের কেউ ব্যস্ত নতুন দা-বঁটি তৈরিতে, আবার কেউ ব্যস্ত পুরোনো দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতিতে শাণ দিতে। তবে নতুন কাজের চেয়ে গৃহস্থদের কাছে পশু জবাইয়ের জন্য পুরোনো ছুরি, চাপাতিগুলোতে শাণ দিতে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে আগে থেকেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লোক রেখেছেন তাঁরা। আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজার, রাজিহার, গৈলা বাজার, গুপ্তেরহাট বাজার, সাহেবেরহাট, বাশাইল, পয়সারহাট, ছয়গ্রামসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন কামারেরা। শাণ দেওয়া নতুন দা, বঁটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে।প্রতিদিনেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ব্যস্ততা।