ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশে আসছেন হানিয়া আমির রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার ১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন সাবেক ভিপি নুর কুতুবদিয়ায় জলদস্যু,মাদক ও সন্ত্রাস দমনে থানা, কোস্ট গার্ড এবং মৎস্য অফিসের যৌথ সচেতনতামূলক সভা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত জামালপুরের বকশীগঞ্জে দশানি নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল চায়না জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পবিপ্রবির তাপসী রাবেয়া হলে নবীনবরণ উৎসব ঠাকুরগায়ের হরিপুরে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরনে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

হাওড়-বাওড়ের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় পর্যায়ে সংহতি প্রয়োজন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের হাওড় বাওড়ের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় পর্যায়ে সংহতি প্রয়োজন। ছাত্রদেরও আন্দোলনের অংশ হওয়া উচিত এই বাওড়ের ‘জল যার জলা তার’ দাবিটা নিয়ে। তিনি বলেন আমি যেটা খুব অবাক হই, আমার নিজের মন্ত্রণালয় হিসেবে আমাদের খুব অসহায় লাগে আপনাদের মতই। আমরা জেলেদের মন্ত্রণালয়। আমাদের জেলেদের জীবন-জীবিকা যেখানে চলে সেই হাওড়-বাওড় ভুমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা হাওড় বাওড় ইজারা দেয় আর আমরা তখন কাতর হয়ে বলি এটা আমাদের দেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় ও বাওড় মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় হাওড় বাওড় সমস্যা নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জল যার জলা তার, এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই প্রজন্মই সমাজের সকল বৈষম্য দূর করবে। তাদেরও আন্দোলনের অংশ হওয়া উচিত এই বাওড়ের ‘জল যার জলা তার’ দাবিটা নিয়ে। মৎস্যজীবীদের নামে অন্যরা নিয়ে নিচ্ছে এই সিস্টেমটা পরিস্কার করতে হবে। তরুণ প্রজন্ম আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে। তাহলে কেন আমরা পারবো না।

প্রকৃত মৎসজীবীদের মাঝে বাওড়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয় সহ সরকারের সকল দপ্তরের কথা বলব। বাওড়পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে বাওড়ের প্রকৃত মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল পক্ষকে এ বিষয়ে সংহত হতে হবে।

এর আগে সকালে উপজেলার বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। সেসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, ক্ষেত মজুর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ মৎস্য কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

হাওড়-বাওড়ের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় পর্যায়ে সংহতি প্রয়োজন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের হাওড় বাওড়ের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় পর্যায়ে সংহতি প্রয়োজন। ছাত্রদেরও আন্দোলনের অংশ হওয়া উচিত এই বাওড়ের ‘জল যার জলা তার’ দাবিটা নিয়ে। তিনি বলেন আমি যেটা খুব অবাক হই, আমার নিজের মন্ত্রণালয় হিসেবে আমাদের খুব অসহায় লাগে আপনাদের মতই। আমরা জেলেদের মন্ত্রণালয়। আমাদের জেলেদের জীবন-জীবিকা যেখানে চলে সেই হাওড়-বাওড় ভুমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা হাওড় বাওড় ইজারা দেয় আর আমরা তখন কাতর হয়ে বলি এটা আমাদের দেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় ও বাওড় মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় হাওড় বাওড় সমস্যা নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জল যার জলা তার, এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই প্রজন্মই সমাজের সকল বৈষম্য দূর করবে। তাদেরও আন্দোলনের অংশ হওয়া উচিত এই বাওড়ের ‘জল যার জলা তার’ দাবিটা নিয়ে। মৎস্যজীবীদের নামে অন্যরা নিয়ে নিচ্ছে এই সিস্টেমটা পরিস্কার করতে হবে। তরুণ প্রজন্ম আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে। তাহলে কেন আমরা পারবো না।

প্রকৃত মৎসজীবীদের মাঝে বাওড়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয় সহ সরকারের সকল দপ্তরের কথা বলব। বাওড়পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে বাওড়ের প্রকৃত মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল পক্ষকে এ বিষয়ে সংহত হতে হবে।

এর আগে সকালে উপজেলার বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। সেসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, ক্ষেত মজুর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ মৎস্য কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।