ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জের ছাতকে কানাডা প্রবাসীর স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলা ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ভাড়া বাড়ি থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া কলেজে প্রথম বর্ষের ক্লাস উদ্বোধন বাংলাদেশে আসছেন হানিয়া আমির রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার ১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন সাবেক ভিপি নুর কুতুবদিয়ায় জলদস্যু,মাদক ও সন্ত্রাস দমনে থানা, কোস্ট গার্ড এবং মৎস্য অফিসের যৌথ সচেতনতামূলক সভা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত

শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রবাসীর পাঠানো অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে,নবম তম সালীশেও উদ্ধার হলো না

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-গত ১৮ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা পশ্চিম জেলা শাখা যশোরের প্রধান কার্যালয় বাগআচড়াতে মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগকারী শফিকুল ইসলাম বলেন আমি শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরীর কাছে মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় আমার উপার্জিত অর্থ বাঁকড়া বাজারে অবস্থিত ফ্যাক্স ব্যবসায়ী খোকন ও কালামের মাধ্যমে দিতেন।দেশে এসে টাকা ফেরত চাহিলে এক লক্ষ টাকা আমাকে ফেরত দেন এবং বাকি সাড়ে সাত লক্ষ টাকা তার কাছে থেকে যায়। তিনি বলেন শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী আমার ওস্তাদ ছিলেন আমি ছোটবেলা থেকে তার প্রতিষ্ঠানে থেকে টেইলারের কাজ শিখেছি তিনি আমাকে সন্তানের মত দেখতেন এবং আমি তাকে আমার পিতার স্থানে জায়গা দিয়েছিলাম সেই বিশ্বাসে তার কাছে টাকা পাঠাইতাম গত সাত বছর যাবত আমার টাকা তার হস্তগত হয়ে আছে। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী এমপি ও নেতাদের ছাত্রছায় থেকে এবং সে হিন্দু ধর্মের হওয়ায় হিন্দু পরিষদের দাপট দেখিয়ে প্রতিটি শালিসে তার কাছে আমার টাকা পাও না হলেও সে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করিতে থাকে এবং বলে সব টাকা অন্যকে দিয়ে খাওয়াবো কিন্তু শফিকুলকে দিব না। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা পশ্চিম জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য বাঁকড়া ইউনিয়নের স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের কয়েকজনের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে এবং দুই পক্ষকে নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি শোনা-বোঝা করার জন্য একত্রে বসার আহ্বান করিলে শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী বসতে রাজি নাহলে অত্র সংস্থার আইন অনুযায়ী অভিযোগ পত্রটি সি,আই,টি-র মহাপরিচালক জনাব মঈনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে পাঠালে তিনার হস্তক্ষেপে উক্ত অভিযোগ পত্রটি সচিবালয়, ডিআইজি,পুলিশ সুপার এবং ঝিকুরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ হয়ে বাঁকড়া আইসিতে এসে পৌঁছালে ১৮/০৫/২০২৫ই: তারিখে দুই পক্ষকে নিয়ে বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রে অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে বসে তাদের বক্তব্য শোনা-বোঝা করা হয়। শুরুতে বাঁকড়া আইসি ইনচার্জ মামুনুর রশিদ বলেন এই সালিশটি পূর্বে আটবার বসা হয়েছে আজ নবমতম সালিশ।বাদির বক্তব্য শেষে বিবাদী শুরুতেই বলে শফিকুল মালয়েশিয়ায় থেকে আমার কাছে কোন টাকা পাঠায় নাই কোন লেনদেন হয় নাই আমার সাথে অথচ সালিশের মাঝে এবং শেষে সাক্ষ্য মেলে যে শফিকুল আনন্দ দর্জির কাছে টাকা পাঠিয়েছে একপর্যায়ে শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী 2 লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয় কিন্তু শফিকুল বলেন আমার পাওনা টাকা পুরোটাই দিতে হবে-সাথে সাথে তড়িৎ গতিতে আনন্দ দর্জি ও তার লোকজন তদন্ত কেন্দ্র ত্যাগ করেন। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম মানবাধিকার,গণমাধ্যম ও এলাকাবাসীর সহ প্রশাসনের কাছে আকুতি করে বলেন-আমি আমার টাকা ফেরত পাইতে আপনাদের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন বলে আমি অনুভব করছি আমি খুবই অসহায় আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমি আরো বেশি অসহায় হয়ে যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রবাসীর পাঠানো অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে,নবম তম সালীশেও উদ্ধার হলো না

আপডেট সময় : ০১:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:-গত ১৮ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা পশ্চিম জেলা শাখা যশোরের প্রধান কার্যালয় বাগআচড়াতে মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগকারী শফিকুল ইসলাম বলেন আমি শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরীর কাছে মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় আমার উপার্জিত অর্থ বাঁকড়া বাজারে অবস্থিত ফ্যাক্স ব্যবসায়ী খোকন ও কালামের মাধ্যমে দিতেন।দেশে এসে টাকা ফেরত চাহিলে এক লক্ষ টাকা আমাকে ফেরত দেন এবং বাকি সাড়ে সাত লক্ষ টাকা তার কাছে থেকে যায়। তিনি বলেন শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী আমার ওস্তাদ ছিলেন আমি ছোটবেলা থেকে তার প্রতিষ্ঠানে থেকে টেইলারের কাজ শিখেছি তিনি আমাকে সন্তানের মত দেখতেন এবং আমি তাকে আমার পিতার স্থানে জায়গা দিয়েছিলাম সেই বিশ্বাসে তার কাছে টাকা পাঠাইতাম গত সাত বছর যাবত আমার টাকা তার হস্তগত হয়ে আছে। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী এমপি ও নেতাদের ছাত্রছায় থেকে এবং সে হিন্দু ধর্মের হওয়ায় হিন্দু পরিষদের দাপট দেখিয়ে প্রতিটি শালিসে তার কাছে আমার টাকা পাও না হলেও সে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করিতে থাকে এবং বলে সব টাকা অন্যকে দিয়ে খাওয়াবো কিন্তু শফিকুলকে দিব না। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা পশ্চিম জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য বাঁকড়া ইউনিয়নের স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের কয়েকজনের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে এবং দুই পক্ষকে নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি শোনা-বোঝা করার জন্য একত্রে বসার আহ্বান করিলে শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী বসতে রাজি নাহলে অত্র সংস্থার আইন অনুযায়ী অভিযোগ পত্রটি সি,আই,টি-র মহাপরিচালক জনাব মঈনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে পাঠালে তিনার হস্তক্ষেপে উক্ত অভিযোগ পত্রটি সচিবালয়, ডিআইজি,পুলিশ সুপার এবং ঝিকুরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ হয়ে বাঁকড়া আইসিতে এসে পৌঁছালে ১৮/০৫/২০২৫ই: তারিখে দুই পক্ষকে নিয়ে বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রে অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে বসে তাদের বক্তব্য শোনা-বোঝা করা হয়। শুরুতে বাঁকড়া আইসি ইনচার্জ মামুনুর রশিদ বলেন এই সালিশটি পূর্বে আটবার বসা হয়েছে আজ নবমতম সালিশ।বাদির বক্তব্য শেষে বিবাদী শুরুতেই বলে শফিকুল মালয়েশিয়ায় থেকে আমার কাছে কোন টাকা পাঠায় নাই কোন লেনদেন হয় নাই আমার সাথে অথচ সালিশের মাঝে এবং শেষে সাক্ষ্য মেলে যে শফিকুল আনন্দ দর্জির কাছে টাকা পাঠিয়েছে একপর্যায়ে শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী 2 লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয় কিন্তু শফিকুল বলেন আমার পাওনা টাকা পুরোটাই দিতে হবে-সাথে সাথে তড়িৎ গতিতে আনন্দ দর্জি ও তার লোকজন তদন্ত কেন্দ্র ত্যাগ করেন। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম মানবাধিকার,গণমাধ্যম ও এলাকাবাসীর সহ প্রশাসনের কাছে আকুতি করে বলেন-আমি আমার টাকা ফেরত পাইতে আপনাদের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন বলে আমি অনুভব করছি আমি খুবই অসহায় আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমি আরো বেশি অসহায় হয়ে যাব।