ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময় বিদায়ের সুরে শ্যামনগরের পূজা মণ্ডপগুলো

র‍্যাবে কর্মরত এএসপি পলাশ সাহা গুলিবিদ্ধ লোমহর্ষক মৃত্যু

মোহাম্মদ মাসুদ, নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে র‍্যাবে কর্মরত এএসপি পলাশ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু। মরদেহ উদ্ধার। চান্দগাঁও থানাধীন র‍্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে কর্মরত স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা অফিস কক্ষে নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে। র‍্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাক্রমে জানা যায়, সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহা একটি অপারেশনে অংশ নেওয়ার জন্য ক্যাম্পের অস্ত্রাগার থেকে নিয়ম অনুযায়ী পিস্তল সংগ্রহ করেন পরে তিনি নিজ অফিসকক্ষে ফিরে যান। কিছুক্ষণ পর, আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি নিজের মাথায় গুলি চালান। গুলির শব্দ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তৌহিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় তার অফিস কক্ষে একটি চিরকুট পাওয়া যায় তাতে পলাশ সাহা লিখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ি না। আমিই দায়ি। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের উপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।

সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহা খুবই দায়িত্বশীল এবং পেশাদার কর্মকর্তা ছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। কী কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। র‍্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান উক্ত বিষয়ে এসব কথা বলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

র‍্যাবে কর্মরত এএসপি পলাশ সাহা গুলিবিদ্ধ লোমহর্ষক মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

চট্টগ্রামে র‍্যাবে কর্মরত এএসপি পলাশ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু। মরদেহ উদ্ধার। চান্দগাঁও থানাধীন র‍্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে কর্মরত স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা অফিস কক্ষে নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে। র‍্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাক্রমে জানা যায়, সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহা একটি অপারেশনে অংশ নেওয়ার জন্য ক্যাম্পের অস্ত্রাগার থেকে নিয়ম অনুযায়ী পিস্তল সংগ্রহ করেন পরে তিনি নিজ অফিসকক্ষে ফিরে যান। কিছুক্ষণ পর, আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি নিজের মাথায় গুলি চালান। গুলির শব্দ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তৌহিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় তার অফিস কক্ষে একটি চিরকুট পাওয়া যায় তাতে পলাশ সাহা লিখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ি না। আমিই দায়ি। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের উপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।

সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহা খুবই দায়িত্বশীল এবং পেশাদার কর্মকর্তা ছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। কী কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। র‍্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান উক্ত বিষয়ে এসব কথা বলেন।