বাকৃবিতে পাঁচ হলের মিলনস্থলে দৃষ্টিনন্দন ঘাট ‘ভ্রাতৃত্বের মোহনা’র উদ্বোধন

- আপডেট সময় : ০৪:০৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছেলেদের ৫টি আবাসিক হলের মিলনস্থলে অবস্থিত লেকে দৃষ্টিনন্দন ঘাট ‘ভ্রাতৃত্বের মোহনা’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া ওই ঘাটটির উদ্বোধন করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঞাসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা।
বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘ঘাটটির জন্য অবশ্যই শিক্ষার্থীরা সুফলভোগী হবে। ঘাটটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এবং শিক্ষার্থীরা এখন সহজেই এখানে সাঁতার কাটতে পারবে। তাছাড়া পানিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজনও ভবিষ্যতে করা হবে। পুকুরের পানি দূষণমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই, যাতে শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় এখানে সাঁতার কাটতে পারে।’
এ বিষয়ে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি যখন শহীদ শামসুল হক হলের শিক্ষার্থী ছিলাম তখন এই পুকুরে গোসল করতে নামতাম। তখন এখানে ঘাট ছিলো না ফলে পুকুরে নামতে অনেক বেগ পেতে হতো, অনেক চিন্তা ভাবনা করে নামতে হতো। এসব বিবেচনা রেখে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঘাটটি করা হয়েছে।’
ঘাটটির নামকরণ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ঘাটে বসে অবসর সময় কাটাতে পারবে, সাঁতার কাটতে সহজেই পুকুরে নামতে পারবে, বলতে গেলে ঘাটটি হবে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্মেলনস্থল। যেহেতু ঘাটটি হবে এক ভ্রাতৃত্বের মিলনস্থল, সেজন্য ঘাটটির নাম আমরা দিয়েছি ‘ভ্রাতৃত্বের মোহনা’।’
এ সময় আশরাফুল হক হলের শিক্ষার্থী মিরাজ বলেন, ‘ঘাটটি আমাদের জন্য সত্যিই দারুণ এক সংযোজন। আগে লেকে নামতে বেশ কষ্ট হতো, অনেক সময় পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকতো। এখন ঘাট থাকায় সহজেই সাঁতার কাটতে পারা যাবে। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।