ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (মামলা নম্বর: পিটিশন-২০৬/২৫) নারীটি আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে একটি পিটিশন দাখিল করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মোছা. মাফরোজা পারভিন এটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন এবং সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের গণপতি গ্রামের ফজর আলীর ছেলে কথিত বি এনপি নেতা রিপনুজ্জামান রিপন, যিনি নিজেকে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ‘জিয়া পরিষদ’-এর কালিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে গণপতি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শহীদুল ইসলাম, কালিগঞ্জ বাসটার্মিনাল এলাকার জিয়াদ আলীর ছেলে হাবিবুল্লাহ এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোড়দিয়া গ্রামের রাশেদ আলীর ছেলে শেখ মেহেদী হাসান সহ আরও অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে।

বাদিনী তার অভিযোগে বলেন, ১ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে রিপনুজ্জামান রিপনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি কাটিয়া সরকারপাড়ার আশরাফ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া শহীদুলের বাসায় যান। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত সকল আসামি পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে, শহীদুল তার কাপড়চোপড় খুলে ফেলে এবং হাবিবুল্লাহ ও মেহেদী তার দুই হাত চেপে ধরে। এরপর রিপন তাকে ধর্ষণ করে এবং বাকি তিনজন ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে আসামিরা সুকৌশলে পালিয়ে যায়।

পরে বাদিনী ও সাক্ষীদের কাছ থেকে সকল আসামীরা ১০০ টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (নং: গক-৯১৯৫৮৮৬, গক-৯১৯৫৮৮৭ ও গক-৯১৯৫৮৮৮) জোরপূর্বক বাবলুর রহমান ফজর আলী ও কাউয়ুমকে স্ট্যাম্পে সাক্ষর করে নেয়।

বাদিনীর আইনজীবী, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন জানান, আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা

আপডেট সময় : ০৬:০১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (মামলা নম্বর: পিটিশন-২০৬/২৫) নারীটি আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে একটি পিটিশন দাখিল করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মোছা. মাফরোজা পারভিন এটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন এবং সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের গণপতি গ্রামের ফজর আলীর ছেলে কথিত বি এনপি নেতা রিপনুজ্জামান রিপন, যিনি নিজেকে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ‘জিয়া পরিষদ’-এর কালিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে গণপতি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শহীদুল ইসলাম, কালিগঞ্জ বাসটার্মিনাল এলাকার জিয়াদ আলীর ছেলে হাবিবুল্লাহ এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোড়দিয়া গ্রামের রাশেদ আলীর ছেলে শেখ মেহেদী হাসান সহ আরও অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে।

বাদিনী তার অভিযোগে বলেন, ১ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে রিপনুজ্জামান রিপনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি কাটিয়া সরকারপাড়ার আশরাফ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া শহীদুলের বাসায় যান। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত সকল আসামি পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে, শহীদুল তার কাপড়চোপড় খুলে ফেলে এবং হাবিবুল্লাহ ও মেহেদী তার দুই হাত চেপে ধরে। এরপর রিপন তাকে ধর্ষণ করে এবং বাকি তিনজন ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে আসামিরা সুকৌশলে পালিয়ে যায়।

পরে বাদিনী ও সাক্ষীদের কাছ থেকে সকল আসামীরা ১০০ টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (নং: গক-৯১৯৫৮৮৬, গক-৯১৯৫৮৮৭ ও গক-৯১৯৫৮৮৮) জোরপূর্বক বাবলুর রহমান ফজর আলী ও কাউয়ুমকে স্ট্যাম্পে সাক্ষর করে নেয়।

বাদিনীর আইনজীবী, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন জানান, আদালত।