ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন মেরুকরণের দিকে (৫ আগস্টের পর)

ডেক্স রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:০০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ২০৬ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ভোটের মাধ্যমে জনগনের রায় নিয়ে যদি বিএনপি সরকার গঠন করে তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান এবং রাষ্ট্রপ্রতি হবেন ড.ইউনূস।
রাজনীতির নতুন এই মেরুকরণের আওয়াজ ভাসছে সমাজের পাতা থেকে শুরুকরে মাঠে ময়দানে।
ছাত্রজনতার অভ্যুথানের পরে বিএনপির ধারা যেভাবে বদল হতে শুরু করেছে যা ধীরে ধীরে জনবান্ধব ও দেশের স্বার্থরক্ষার রাজনীতিতে পরিনত হচ্ছে।
বিএনপির ৩১ দফাও সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিএনপি শিবিরে গুনজন চলছে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান জনগনের প্রত্যাশা পূরণে একটি জাতীয় সরকার গঠনের চিন্তা করছেন।
আর সেই চিন্তা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।
এছাড়াও গনতন্ত্র পূর্ণপ্রতিষ্ঠায় বেশ কিছু চমক থাকবে যা তারেক রহমানের বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
রাজনীতির নতুন এ মেরুকরণে বেশ কিছু যুক্তি পাওয়া যাচ্ছে সচেতন মহল থেকে।
হাসিনা সরকার দেশকে এমন এক পরিস্থিতিতে রেখে গেছে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাকে একটি বড় চ্যালেন্জ নিতে হবে।
সেক্ষেত্রে আ.লীগ ছাড়া সকল ছোট বড় দলগুলোকে এক ছাতার নিচে থেকে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
ড.ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এরই ভেতর প্রকাশ পেয়েছে যা প্রমানিত।
অন্যদিকে ড.ইউনূসকে বলা হচ্ছে গনঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রজনতার প্রতিনিধি।সুতারাং তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকলে ছাত্রদের নতুন দল ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে বিএনপি সমর্থন করে চালাতে পারবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড। এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহলের মানুষ।
তবে নির্বাচন ইনক্লুসিভ করে প্রয়োজন সকল রাজনেতিক দলের ঐক্যমত প্রয়োজন।
আরো প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বিরোধীদল।সচেতন মহলে আওয়াজ রয়েছে জামায়াত ইসলামই হবে সেই শক্তিশালী বিরোধী দল।
তবে কেউ কেউ মনে করছে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন জাতীয়পার্টি যেভাবে ছিলো বিরোধী দল কিন্তু জাতীয়পার্টি বিরোধীদল হলেও তারা ছিলো আওয়ামী প্রশয়ে।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জামায়েতের ভূমিকাও তেমন হলে মন্দ হয় না।
বিএনপি এরই মধ্যে “সবার আগে বাংলাদেশ ” শ্লোগানে গনজাগরণের শুরু করেছে।
অনেকই মনে করছেন নতুন এই সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন নিশ্চিত হবে যা নতুন বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হতে পারে।
দেশের রাজনীতিতে বহুদিনের অনিশ্চিয়তা, আস্থাহীনতা, সংঘাত ঘনঘটায় যখন সাধারণ মানুষ দিশেহারা ঠিক তখনই বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক ইউনূস কনফিগারেশন গুনজনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থান, অর্থনৈতিক সংকট মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত ইস্যূগুলো নতুন নেতৃত্বের দাবী তুলেছে।
যেখানে তারেক রহমানের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ডক্টর ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা মিলিয়ে একটি হাইব্রিড নেতৃত্ব গঠনের সম্ভাবনার এসে দাড়াচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পরিসরেও বিষয়টি এড়িয়ে যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ একাধিক রাষ্ট্র আগেই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও ইনক্লুসিভ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।
আর তারেক রহমানের সাথে সরাসরি দীর্ঘদিন পরে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন পশ্চিমা কূটনৈতিক মহল।
বিএনপি এসব পরিবর্তি বাস্তবতা মাথায় রেখে কৌশল সাজাচ্ছে।

তবে এই রাজনৈতিক রুপরেখা বাস্তবে পরিণত হবে নির্ভর করছে বিএনপি কতটা সাহসিকতা ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রস্তাব দিতে পারে তার ওপর।
দলীয় পক্ষপাতিত্ব বাদ দিয়ে যদিদক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মানুষদেরকে নিয়ে সত্যিই তারা একটি উদার গণতান্ত্রিক এবং অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো দাঁড় করাতে পারে তবেই এই কনফিগারেশন শুধু গুঞ্জন থাকবেনা রূপ নিতে পারে একটি নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনায়।
এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।
এতক্ষণ শুনছিলেন আপনারা দৈনিক বাংলাদেশের চিত্রে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন।
কমেন্টে আপনার মতামতটি জানাতে ভুলবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন মেরুকরণের দিকে (৫ আগস্টের পর)

আপডেট সময় : ১১:০০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ভোটের মাধ্যমে জনগনের রায় নিয়ে যদি বিএনপি সরকার গঠন করে তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান এবং রাষ্ট্রপ্রতি হবেন ড.ইউনূস।
রাজনীতির নতুন এই মেরুকরণের আওয়াজ ভাসছে সমাজের পাতা থেকে শুরুকরে মাঠে ময়দানে।
ছাত্রজনতার অভ্যুথানের পরে বিএনপির ধারা যেভাবে বদল হতে শুরু করেছে যা ধীরে ধীরে জনবান্ধব ও দেশের স্বার্থরক্ষার রাজনীতিতে পরিনত হচ্ছে।
বিএনপির ৩১ দফাও সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিএনপি শিবিরে গুনজন চলছে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান জনগনের প্রত্যাশা পূরণে একটি জাতীয় সরকার গঠনের চিন্তা করছেন।
আর সেই চিন্তা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।
এছাড়াও গনতন্ত্র পূর্ণপ্রতিষ্ঠায় বেশ কিছু চমক থাকবে যা তারেক রহমানের বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
রাজনীতির নতুন এ মেরুকরণে বেশ কিছু যুক্তি পাওয়া যাচ্ছে সচেতন মহল থেকে।
হাসিনা সরকার দেশকে এমন এক পরিস্থিতিতে রেখে গেছে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাকে একটি বড় চ্যালেন্জ নিতে হবে।
সেক্ষেত্রে আ.লীগ ছাড়া সকল ছোট বড় দলগুলোকে এক ছাতার নিচে থেকে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
ড.ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এরই ভেতর প্রকাশ পেয়েছে যা প্রমানিত।
অন্যদিকে ড.ইউনূসকে বলা হচ্ছে গনঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রজনতার প্রতিনিধি।সুতারাং তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকলে ছাত্রদের নতুন দল ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে বিএনপি সমর্থন করে চালাতে পারবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড। এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহলের মানুষ।
তবে নির্বাচন ইনক্লুসিভ করে প্রয়োজন সকল রাজনেতিক দলের ঐক্যমত প্রয়োজন।
আরো প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বিরোধীদল।সচেতন মহলে আওয়াজ রয়েছে জামায়াত ইসলামই হবে সেই শক্তিশালী বিরোধী দল।
তবে কেউ কেউ মনে করছে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন জাতীয়পার্টি যেভাবে ছিলো বিরোধী দল কিন্তু জাতীয়পার্টি বিরোধীদল হলেও তারা ছিলো আওয়ামী প্রশয়ে।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জামায়েতের ভূমিকাও তেমন হলে মন্দ হয় না।
বিএনপি এরই মধ্যে “সবার আগে বাংলাদেশ ” শ্লোগানে গনজাগরণের শুরু করেছে।
অনেকই মনে করছেন নতুন এই সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন নিশ্চিত হবে যা নতুন বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হতে পারে।
দেশের রাজনীতিতে বহুদিনের অনিশ্চিয়তা, আস্থাহীনতা, সংঘাত ঘনঘটায় যখন সাধারণ মানুষ দিশেহারা ঠিক তখনই বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক ইউনূস কনফিগারেশন গুনজনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থান, অর্থনৈতিক সংকট মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত ইস্যূগুলো নতুন নেতৃত্বের দাবী তুলেছে।
যেখানে তারেক রহমানের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ডক্টর ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা মিলিয়ে একটি হাইব্রিড নেতৃত্ব গঠনের সম্ভাবনার এসে দাড়াচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পরিসরেও বিষয়টি এড়িয়ে যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ একাধিক রাষ্ট্র আগেই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও ইনক্লুসিভ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।
আর তারেক রহমানের সাথে সরাসরি দীর্ঘদিন পরে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন পশ্চিমা কূটনৈতিক মহল।
বিএনপি এসব পরিবর্তি বাস্তবতা মাথায় রেখে কৌশল সাজাচ্ছে।

তবে এই রাজনৈতিক রুপরেখা বাস্তবে পরিণত হবে নির্ভর করছে বিএনপি কতটা সাহসিকতা ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রস্তাব দিতে পারে তার ওপর।
দলীয় পক্ষপাতিত্ব বাদ দিয়ে যদিদক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মানুষদেরকে নিয়ে সত্যিই তারা একটি উদার গণতান্ত্রিক এবং অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো দাঁড় করাতে পারে তবেই এই কনফিগারেশন শুধু গুঞ্জন থাকবেনা রূপ নিতে পারে একটি নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনায়।
এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।
এতক্ষণ শুনছিলেন আপনারা দৈনিক বাংলাদেশের চিত্রে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন।
কমেন্টে আপনার মতামতটি জানাতে ভুলবেন না।