ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে উদয়ন দুর্গা মন্দিরে ৮৪ তম দুর্গোৎসব ও অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহোৎসব উদযাপিত আলমডাঙ্গায় জমি বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৩ চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা ঝালের কেজি ৩২০ টাকা দিশেহারা ক্রেতা ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম

যশোরের পুলেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও দুই মেয়ে নিহত

সুলাইমান কবির রাব্বি, যশোর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দিকে যশোরের পুলেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও দুই মেয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নিহতের স্ত্রী ও এক পথচারী। দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নিহতরা হলেন খুলনার ‍মুজগুন্নীর রুবেল হোসেন (৩২), তার মেয়ে ঐশি (১০) ও তায়েবা (৪)। ঈদ উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন রুবেলের স্ত্রী জেসমিন (২৮) এবং যশোর কৃষ্ণবাটির ওসমান (১৯)।

জানা যায়, রুবেল হোসেন তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যশোর থেকে খুলনার মুজগুন্নীর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বিকেলে তারা যশোরের পুলেরহাট মাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি লোকাল বাস (ঢাকা মেট্রো ১৪-০২৫২) তাদের মোটরসাইকেলটিকে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এই সংঘর্ষে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে রুবেল হোসেন ও তার বড় মেয়ে ঐশী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিকভাবে মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ছোট মেয়ে তায়েবাকেও উদ্ধার করা হলেও পরে সেও মারা যায়। দুর্ঘটনার পর বাসচালক দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সামনে থাকা পথচারী ওসমানকে ধাক্কা দেয়, এতে তিনিও গুরুতর আহত হন।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনা এবং বাসচালকের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জনতা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা ধাওয়া করে বাসটিকে আটকানোর পর সেটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করেন। পুলিশ নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। গুরুতর আহত জেসমিন ও ওসমানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) কাজী বাবুল জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও তার সহকারী পলাতক রয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

যশোরের পুলেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও দুই মেয়ে নিহত

আপডেট সময় : ০৭:২২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দিকে যশোরের পুলেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও দুই মেয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নিহতের স্ত্রী ও এক পথচারী। দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নিহতরা হলেন খুলনার ‍মুজগুন্নীর রুবেল হোসেন (৩২), তার মেয়ে ঐশি (১০) ও তায়েবা (৪)। ঈদ উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন রুবেলের স্ত্রী জেসমিন (২৮) এবং যশোর কৃষ্ণবাটির ওসমান (১৯)।

জানা যায়, রুবেল হোসেন তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যশোর থেকে খুলনার মুজগুন্নীর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বিকেলে তারা যশোরের পুলেরহাট মাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি লোকাল বাস (ঢাকা মেট্রো ১৪-০২৫২) তাদের মোটরসাইকেলটিকে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এই সংঘর্ষে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে রুবেল হোসেন ও তার বড় মেয়ে ঐশী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিকভাবে মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ছোট মেয়ে তায়েবাকেও উদ্ধার করা হলেও পরে সেও মারা যায়। দুর্ঘটনার পর বাসচালক দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সামনে থাকা পথচারী ওসমানকে ধাক্কা দেয়, এতে তিনিও গুরুতর আহত হন।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনা এবং বাসচালকের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জনতা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা ধাওয়া করে বাসটিকে আটকানোর পর সেটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করেন। পুলিশ নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। গুরুতর আহত জেসমিন ও ওসমানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) কাজী বাবুল জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও তার সহকারী পলাতক রয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।