ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে কৃষক দলের উদ্বেগে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

বরিশালেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ ২০৯ বার পড়া হয়েছে

বরিশালেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম।

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ- রমজানকে কেন্দ্র করে বরিশালেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলা, ডাল ও আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।আর গত বছরের রমজানের আগ মুহূর্তের তুলনায় এ বছর খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে।ভোক্তারা বলছেন, অভিযান হচ্ছে, তবে তা যেন কোনো কাজেই আসছে না।তাই অভিযানগুলো শুধু লোক দেখানোই কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন তারা।বরিশাল নগরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা সুজন হাওলাদার বলেন, টেলিভিশন এবং পত্র-পত্রিকায় দেখছি বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে।তবে কার্যত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলা, শশা, টমেটো, বেগুন, খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম বেড়েই চলেছে। তাহলে অভিযান কি কাজে আসলো!খুচরা বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯৫ টাকার ছোলা ঠেকেছে ১১০ টাকায়, এক লাফে ৪০ টাকা বেড়ে মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, খেসাড়ির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।এছাড়া মুড়িতে কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। চিড়া বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা এবং চিনি ১৪০ টাকা।এদিকে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে ফলের দাম। পাঁচ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ৩৫ টাকা। তবে দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। ১৭৩ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ১৬২ টাকায়।যদিও পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু কাঁচা পণ্যের দাম উৎপাদন পর্যায়ে বেড়েছে। তবে ছোলা-চিড়াসহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম তুলনামূলক ঠিক আছে। তবে খুচরা বাজারে কেউ বেশি দামে বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে পাইকারদের কিছু করার থাকে না।এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তাদেরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান ক্যাব বরিশালের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত।আর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘরাই জানিয়েছেন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে তৎপর প্রশাসন আছে। সেইসঙ্গে নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে বাজার মনিটরিং অভিযান।রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ককর কমানোর ঘোষণা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তবে, বরিশালের বাজারে তেল ব্যতীত অন্য পণ্যের দাম না কমায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বরিশালেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

আপডেট সময় : ১২:০৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

বরিশালেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম।

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ- রমজানকে কেন্দ্র করে বরিশালেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলা, ডাল ও আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।আর গত বছরের রমজানের আগ মুহূর্তের তুলনায় এ বছর খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে।ভোক্তারা বলছেন, অভিযান হচ্ছে, তবে তা যেন কোনো কাজেই আসছে না।তাই অভিযানগুলো শুধু লোক দেখানোই কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন তারা।বরিশাল নগরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা সুজন হাওলাদার বলেন, টেলিভিশন এবং পত্র-পত্রিকায় দেখছি বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে।তবে কার্যত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলা, শশা, টমেটো, বেগুন, খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম বেড়েই চলেছে। তাহলে অভিযান কি কাজে আসলো!খুচরা বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯৫ টাকার ছোলা ঠেকেছে ১১০ টাকায়, এক লাফে ৪০ টাকা বেড়ে মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, খেসাড়ির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।এছাড়া মুড়িতে কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। চিড়া বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা এবং চিনি ১৪০ টাকা।এদিকে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে ফলের দাম। পাঁচ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ৩৫ টাকা। তবে দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। ১৭৩ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ১৬২ টাকায়।যদিও পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু কাঁচা পণ্যের দাম উৎপাদন পর্যায়ে বেড়েছে। তবে ছোলা-চিড়াসহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম তুলনামূলক ঠিক আছে। তবে খুচরা বাজারে কেউ বেশি দামে বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে পাইকারদের কিছু করার থাকে না।এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তাদেরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান ক্যাব বরিশালের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত।আর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘরাই জানিয়েছেন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে তৎপর প্রশাসন আছে। সেইসঙ্গে নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে বাজার মনিটরিং অভিযান।রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ককর কমানোর ঘোষণা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তবে, বরিশালের বাজারে তেল ব্যতীত অন্য পণ্যের দাম না কমায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।