ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কোয়েপাড়ায় সর্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহোৎসব অনুষ্ঠিত জাতীয় রক্তদাতা দিবসে ফেনীর সেরা রক্তদাতা সংগঠক হিসেবে নুর নবীকে সম্মাননা অসহায় এক ভাইয়ের জন্য ইলেকট্রিক হুইলচেয়ার সহায়তার আবেদন জাতীয় পার্টির কাধে ভর দিয়ে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে আসতে চায় -আলতাফ হোসেন চৌধুরী রাণীশংকৈলে ভাংবাড়ী ফুটকিবাড়ী বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নির্মল পরিবেশে পাঠদান শ্যামনগরে প্যাথলজী গুলোতে অভিযান ২ টিতে জরিমানা, ১ টি বন্ধ শাল্লায় মরণফাঁদে চাকুয়া-মিলনবাজার রাস্তা : প্রায় ৩ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত  ঠাকুরগায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু সাবেক এমপি ফজলে করিমের সহযোগী হিসাবে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব করেছেন কাজী বশর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে চরম বিপদে, সহযোগিতা কামনা

আবদুল্লাহ আল নোমান না ফেরার দেশে: শোকাহত রাজনীতিঙ্গন দেশবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ:-

ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধে একুশে পদকপ্রাপ্ত,বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ,বিএনপির ১৫ বছর যুগ্ম মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রামের বিএনপির রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা ও বটবৃক্ষ, জাতীয় ও জননেতা খ্যাত আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া-ইন্নাইলাইহি রাজিয়ূন)

আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোর ৬:০০ টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

বিএনপির অন্যতম রাজনীতিবিদ চট্টগ্রামের বিএনপি’ অভিভাবক পথ প্রদর্শক দিকনির্দেশক এর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে স্থানীয় এলাকায়। সারা চট্টগ্রাম বিএনপি সহ দেশের সকল রাজনীতি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে।

বর্ষীয়ান এই জননেতার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে উনার রূহের মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন সকলে।মহান রাব্বুল আলামিন ভাইকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন।

উল্লেখ্য : আবদুল্লাহ আল নোমান জন্ম (১৯৪৫-২০২৫)
রাজনীতির শুরুটা করেছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র ইউনিয়ন’ এর নেতৃত্ব দিয়ে। ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন।

ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ১৯৮১ সালে যোগ দেন দলটিতে। চট্টগ্রামের রাউজান ও কোতোয়ালি আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি সরকারের মন্ত্রিসভায় খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন।

একুশে পদক প্রাপ্ত, ১৫ বছর যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব,পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। ১৯৪৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন বর্ষীয়ান নেতা নোমান। এরপর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ১৯৬২ সালের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের ১১ দফাসহ নানা ইস্যুতে। ১৯৭০ সালে স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় ইয়াহিয়ার সামরিক আদালতে নোমানকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১৪ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে ভাসানীর ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন এই জাতীয় নেতা।

ভাষা সৈনিক আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী রাষ্ট্রভাষা বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের তৎকালীন আহবায়ক ছিলেন। আরেক চাচা মাহবুবুল আলম চৌধুরী একুশের প্রথম কবিতার রচয়িতা। আমাদের পুরো পরিবার ‘৫২ হতে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রত্যকটি প্রগতিশীল ‍আন্দোলনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আবদুল্লাহ আল নোমান না ফেরার দেশে: শোকাহত রাজনীতিঙ্গন দেশবাসী

আপডেট সময় : ০১:১৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোহাম্মদ মাসুদ:-

ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধে একুশে পদকপ্রাপ্ত,বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ,বিএনপির ১৫ বছর যুগ্ম মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রামের বিএনপির রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা ও বটবৃক্ষ, জাতীয় ও জননেতা খ্যাত আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া-ইন্নাইলাইহি রাজিয়ূন)

আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোর ৬:০০ টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

বিএনপির অন্যতম রাজনীতিবিদ চট্টগ্রামের বিএনপি’ অভিভাবক পথ প্রদর্শক দিকনির্দেশক এর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে স্থানীয় এলাকায়। সারা চট্টগ্রাম বিএনপি সহ দেশের সকল রাজনীতি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে।

বর্ষীয়ান এই জননেতার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে উনার রূহের মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন সকলে।মহান রাব্বুল আলামিন ভাইকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন।

উল্লেখ্য : আবদুল্লাহ আল নোমান জন্ম (১৯৪৫-২০২৫)
রাজনীতির শুরুটা করেছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র ইউনিয়ন’ এর নেতৃত্ব দিয়ে। ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন।

ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ১৯৮১ সালে যোগ দেন দলটিতে। চট্টগ্রামের রাউজান ও কোতোয়ালি আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি সরকারের মন্ত্রিসভায় খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন।

একুশে পদক প্রাপ্ত, ১৫ বছর যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব,পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। ১৯৪৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন বর্ষীয়ান নেতা নোমান। এরপর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ১৯৬২ সালের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের ১১ দফাসহ নানা ইস্যুতে। ১৯৭০ সালে স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় ইয়াহিয়ার সামরিক আদালতে নোমানকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১৪ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে ভাসানীর ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন এই জাতীয় নেতা।

ভাষা সৈনিক আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী রাষ্ট্রভাষা বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের তৎকালীন আহবায়ক ছিলেন। আরেক চাচা মাহবুবুল আলম চৌধুরী একুশের প্রথম কবিতার রচয়িতা। আমাদের পুরো পরিবার ‘৫২ হতে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রত্যকটি প্রগতিশীল ‍আন্দোলনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ’