ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে কৃষক দলের উদ্বেগে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

চুয়াডাঙ্গা সদরে হাসপাতালে একটি সেলাইয়ের জন্য ৩০০ টাকা বকশিশ গুনলেন ভ্যানচালক”

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ২১৫ বার পড়া হয়েছে

“চুয়াডাঙ্গা সদরে হাসপাতালে একটি সেলাইয়ের জন্য ৩০০ টাকা বকশিশ গুনলেন ভ্যানচালক”
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান তলানিতে ঠেকেছে। সাধারণ রোগীরা বিনা মূল্যে সরকারি চিকিৎসা সেবা পেতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও টাকা ছাড়া পাচ্ছে না কাক্সিক্ষত চিকিৎসা। গতকাল বুধবার ক্ষতস্থানে একটি মাত্র সেলাই দিয়ে ৩০০ টাকা বকশিশ গুনতে হয়েছে দরিদ্র এক ভ্যান চালককে। তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডবয় মাসুমবিল্লাহ টাকা ছাড়া কাজ করেন না। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসমিয়া খাতুনের সামনে মাসুমবিল্লাহ ৩০০ টাকা বকশিশ নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।জানা গেছে, গতকাল সকালে উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের নজীর আহাম্মদের ছেলে দরিদ্র পাখিভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম তার ডান হাতের আঙ্গুলের চিকিৎসা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যান। এসময় কর্তব্যরত ওয়ার্ডবয় মাসুমবিল্লা বলেন, ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে একটি সেলাই দেওয়া লাগবে। সেলাই দিতে খরচ হবে ৪০০ টাকা। টাকা না দিলে ওই রোগীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চলে যেতে বলেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম ৩০০ টাকার জোগাড় করে চিকিৎসা নেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, উপজেলার উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুমবিল্লাহ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কাজ করে আসছেন। তবে টাকা ছাড়া রোগীরা জরুরি বিভাগে সঠিক চিকিৎসা পায় না। টাকা দিলে মাসুমবিল্লাহ কাজ করেন, অন্যথায় রোগীদের সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বলেন। শুধু জরুরি বিভাগের মাসুমবিল্লা নয়, হাসপাতালের সব ওয়ার্ডেই রোগীদের চিকিৎসা নিতে ওয়ার্ডবয় ও আয়াদের টাকা দিতে হয়। স্থানীয়রা সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে বকশিশের নামে হয়রানি না করার দাবি জানান।পাখিভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। টাকা না থাকায় সরকারি হাসপাতালে এসেছি। এখানে এসে পড়েছি আরও বিপদে। টাকা ছাড়া ওয়ার্ডবয় চিকিৎসাই দেবে না বললে ৩০০ টাকা জোগাড় করে তাকে দিই। গরিব রোগীরা যেন বিনা মূল্যে চিকিৎসা পায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থা নিক।দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসমিয়া খাতুন বলেন, মাসুমবিল্লাহকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, ভুক্তভোগী লিখিতভাবে অভিযোগ করলে ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গা সদরে হাসপাতালে একটি সেলাইয়ের জন্য ৩০০ টাকা বকশিশ গুনলেন ভ্যানচালক”

আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

“চুয়াডাঙ্গা সদরে হাসপাতালে একটি সেলাইয়ের জন্য ৩০০ টাকা বকশিশ গুনলেন ভ্যানচালক”
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান তলানিতে ঠেকেছে। সাধারণ রোগীরা বিনা মূল্যে সরকারি চিকিৎসা সেবা পেতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও টাকা ছাড়া পাচ্ছে না কাক্সিক্ষত চিকিৎসা। গতকাল বুধবার ক্ষতস্থানে একটি মাত্র সেলাই দিয়ে ৩০০ টাকা বকশিশ গুনতে হয়েছে দরিদ্র এক ভ্যান চালককে। তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডবয় মাসুমবিল্লাহ টাকা ছাড়া কাজ করেন না। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসমিয়া খাতুনের সামনে মাসুমবিল্লাহ ৩০০ টাকা বকশিশ নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।জানা গেছে, গতকাল সকালে উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের নজীর আহাম্মদের ছেলে দরিদ্র পাখিভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম তার ডান হাতের আঙ্গুলের চিকিৎসা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যান। এসময় কর্তব্যরত ওয়ার্ডবয় মাসুমবিল্লা বলেন, ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে একটি সেলাই দেওয়া লাগবে। সেলাই দিতে খরচ হবে ৪০০ টাকা। টাকা না দিলে ওই রোগীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চলে যেতে বলেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম ৩০০ টাকার জোগাড় করে চিকিৎসা নেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, উপজেলার উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুমবিল্লাহ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কাজ করে আসছেন। তবে টাকা ছাড়া রোগীরা জরুরি বিভাগে সঠিক চিকিৎসা পায় না। টাকা দিলে মাসুমবিল্লাহ কাজ করেন, অন্যথায় রোগীদের সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বলেন। শুধু জরুরি বিভাগের মাসুমবিল্লা নয়, হাসপাতালের সব ওয়ার্ডেই রোগীদের চিকিৎসা নিতে ওয়ার্ডবয় ও আয়াদের টাকা দিতে হয়। স্থানীয়রা সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে বকশিশের নামে হয়রানি না করার দাবি জানান।পাখিভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। টাকা না থাকায় সরকারি হাসপাতালে এসেছি। এখানে এসে পড়েছি আরও বিপদে। টাকা ছাড়া ওয়ার্ডবয় চিকিৎসাই দেবে না বললে ৩০০ টাকা জোগাড় করে তাকে দিই। গরিব রোগীরা যেন বিনা মূল্যে চিকিৎসা পায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থা নিক।দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসমিয়া খাতুন বলেন, মাসুমবিল্লাহকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, ভুক্তভোগী লিখিতভাবে অভিযোগ করলে ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।