ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে উদয়ন দুর্গা মন্দিরে ৮৪ তম দুর্গোৎসব ও অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহোৎসব উদযাপিত আলমডাঙ্গায় জমি বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৩ চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা ঝালের কেজি ৩২০ টাকা দিশেহারা ক্রেতা ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম

নামেই হাজী, করতেন চুরি” নীলফামারীতে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উৎঘাটন: আসামী গ্রেফতার

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

নীলফামারী প্রতিনিধি: মফিজুল ইসলাম ওরফে হাজী। নামের শেষে হাজী থাকলেও, তিনি এবং তার সহযোগিরা মিলে, যাত্রীবেশে ভ্যানে উঠে ভ্যান চালককে চেতনানাশক ওষুধের মাধ্যমে অচেতন করে চুরি করতো ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ভ্যান। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুল্যা (৬০) ক্লুলেস হত্যার মামলার রহস্য উদঘাটনের পর এমন তথ্য দিয়েছে নীলফামারী পুলিশ প্রশাসন। আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারসহ পুলিশের নানা কৌশলের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ও ছিনতাই মামলাও রয়েছে।সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (সদ্য পদন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর, ও নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তানভিরুল ইসলামসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে গত রবিবার (১৪ জুলাই) রফিকুল ইসলাম (২৮) ও ফারুক হোসেনকে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকদিহি গ্রাম থেকে এবং বাবু মিয়া (৩০) ও মফিজুল ইসলাম ওরফে হাজিকে জেলা সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের সুটিপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চেতনা নাশক ঔষুধসহ চুরি যাওয়া অটোচার্জার ভ্যান উদ্ধার করে নীলফামারী থানা পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার টুপামারি ইউনিয়নের নিত্যানন্দী বর্মতল গ্রামের পিতা মৃত্যু খট্টু মামুদের ছেলে আব্দুল্যা ঘটনার দিন গত ৮ জুলাই অজ্ঞাতনামা অজ্ঞানপাটির ক্ষপ্পরে পড়েন। গ্রেফতার আসামিরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জেলার ডোমার উপজেলার ধরণীগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত বাবু মিয়া ও মফিজুল ইসলাম ফ্রুটো জুসের মাধ্যমে চেতনানাশক ঔষুধ খাওয়ায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে ডোমার থানাধীন কলমদার ব্রীজের পশ্চিম পার্স্বে স্বশান ঘরে অচেতন অবস্থায় ভ্যান চালক আব্দুল্যাকে ফেলে তার ভ্যানটি নিয়ে যায়।ওই দিন সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে আব্দুল্যাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রমেক) কে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। একদিন পর (৯ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে ভ্যান চালক আব্দুল্যার মৃত্যু হয়। এঘটনায় সদর থানার ওসি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল এর নির্দেশে পুলিশের চারটি চৌকস টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যেই ওই ক্লুলেস মামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও চার্জার ভ্যানটি উদ্ধার করতে সামর্থ হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, আজ (১৫ জুলাই) বিকেলে গ্রেফতারক আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হবে এবং রিমান্ড চাওয়ার আবেদন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নামেই হাজী, করতেন চুরি” নীলফামারীতে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উৎঘাটন: আসামী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৫:২০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

নীলফামারী প্রতিনিধি: মফিজুল ইসলাম ওরফে হাজী। নামের শেষে হাজী থাকলেও, তিনি এবং তার সহযোগিরা মিলে, যাত্রীবেশে ভ্যানে উঠে ভ্যান চালককে চেতনানাশক ওষুধের মাধ্যমে অচেতন করে চুরি করতো ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ভ্যান। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুল্যা (৬০) ক্লুলেস হত্যার মামলার রহস্য উদঘাটনের পর এমন তথ্য দিয়েছে নীলফামারী পুলিশ প্রশাসন। আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারসহ পুলিশের নানা কৌশলের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ও ছিনতাই মামলাও রয়েছে।সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (সদ্য পদন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর, ও নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তানভিরুল ইসলামসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে গত রবিবার (১৪ জুলাই) রফিকুল ইসলাম (২৮) ও ফারুক হোসেনকে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকদিহি গ্রাম থেকে এবং বাবু মিয়া (৩০) ও মফিজুল ইসলাম ওরফে হাজিকে জেলা সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের সুটিপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চেতনা নাশক ঔষুধসহ চুরি যাওয়া অটোচার্জার ভ্যান উদ্ধার করে নীলফামারী থানা পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার টুপামারি ইউনিয়নের নিত্যানন্দী বর্মতল গ্রামের পিতা মৃত্যু খট্টু মামুদের ছেলে আব্দুল্যা ঘটনার দিন গত ৮ জুলাই অজ্ঞাতনামা অজ্ঞানপাটির ক্ষপ্পরে পড়েন। গ্রেফতার আসামিরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জেলার ডোমার উপজেলার ধরণীগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত বাবু মিয়া ও মফিজুল ইসলাম ফ্রুটো জুসের মাধ্যমে চেতনানাশক ঔষুধ খাওয়ায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে ডোমার থানাধীন কলমদার ব্রীজের পশ্চিম পার্স্বে স্বশান ঘরে অচেতন অবস্থায় ভ্যান চালক আব্দুল্যাকে ফেলে তার ভ্যানটি নিয়ে যায়।ওই দিন সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে আব্দুল্যাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রমেক) কে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। একদিন পর (৯ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে ভ্যান চালক আব্দুল্যার মৃত্যু হয়। এঘটনায় সদর থানার ওসি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল এর নির্দেশে পুলিশের চারটি চৌকস টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যেই ওই ক্লুলেস মামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও চার্জার ভ্যানটি উদ্ধার করতে সামর্থ হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, আজ (১৫ জুলাই) বিকেলে গ্রেফতারক আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হবে এবং রিমান্ড চাওয়ার আবেদন করা হবে।