ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপির ১১৩ আসনে প্রার্থী বদলে রেকর্ড: শীর্ষ আলোচিত সর্ব মহলে আগৈলঝাড়ায় সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ৬ বছরেরও উদ্বোধন হয়নি মডেল মসজিদ মনিরামপুরে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইফতেখার সেলিম অগ্নি — জনগণের আস্থার প্রতীক তৃণমূলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ঝিনাইদহ-২ আসন শরীকদের ছেড়ে দিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি কাঠালিয়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় গোলাম আজম সৈকত নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় 18 মাস বয়সের শিশুকন্যা আনহা বলাৎকারের শিকার সোনাগাজীর মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত এনামুল হক এনাম সভাপতি ফেনীতে বিএনপি’র তিন আসনের প্রার্থী ঘোষণা

মেয়ের বিয়ের ‌‘যৌতুক’ হিসেবে বিসিএস প্রশ্ন দেন পিএসসির সাবেক মেম্বার

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
এবার বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে নতুন তথ্য মিলেছে। টানা একযুগ ধরে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) অধীনে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এখন ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’। যত দিন যাচ্ছে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।

এবার গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে পিএসসির একজন সাবেক মেম্বারের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে দিবো, তবে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে, এই শর্তে তিনি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ওই সাবেক মেম্বার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতিও ছিলেন। শুধু জামাই নয়, জামাইয়ের বোনকেও প্রশ্ন দিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেছেন তিনি।

ফাঁস হওয়া প্রশ্নের মাধ্যমে ১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস পরীক্ষায় জামাই ও তার বোনকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। পিএসসির তৎকালীন ওই মেম্বারের জামাই ও বোন এখন সরকারের দুই জন শীর্ষ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকে পিএসসি প্রশ্ন সীমিত পরিসরে ফাঁস হলেও ২০০২ সাল থেকে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। প্রিলিমিনারি ও লিখিত দুই পরীক্ষার প্রশ্নই ফাঁস হতে থাকে। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন দলীয় নেতা থেকে শুরু করে রিকশাচালক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

তিনটি বিসিএস পরীক্ষা পর্যালোচনা করেছে সিআইডি। সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে ২৪টি ও ৪১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ১৬টি জেলার কোন প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি। ৪০তম বিসিএসে মোট ৭০ জন উত্তীর্ণ হন, যার মধ্যে ৭ জন নারী। ৪১তম বিসিএসে ৪ জন নারীসহ মোট ১০০ জন উত্তীর্ণ হয়। ৪৩তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ১৪ জেলায় কোনো প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়নি। মোট ১০০ জন উত্তীর্ণ হন, এর মধ্যে ৯ জন নারী। ফলে এখানে কোটা পূরণ করা হয়নি।

এই তিন বিসিএসে যেসব জেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, তারাই উত্তীর্ণ হয়েছেন। পুলিশ ক্যাডারসহ সকল ক্যাডারে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মেয়ের বিয়ের ‌‘যৌতুক’ হিসেবে বিসিএস প্রশ্ন দেন পিএসসির সাবেক মেম্বার

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
এবার বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে নতুন তথ্য মিলেছে। টানা একযুগ ধরে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) অধীনে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এখন ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’। যত দিন যাচ্ছে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।

এবার গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে পিএসসির একজন সাবেক মেম্বারের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে দিবো, তবে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে, এই শর্তে তিনি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ওই সাবেক মেম্বার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতিও ছিলেন। শুধু জামাই নয়, জামাইয়ের বোনকেও প্রশ্ন দিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেছেন তিনি।

ফাঁস হওয়া প্রশ্নের মাধ্যমে ১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস পরীক্ষায় জামাই ও তার বোনকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। পিএসসির তৎকালীন ওই মেম্বারের জামাই ও বোন এখন সরকারের দুই জন শীর্ষ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকে পিএসসি প্রশ্ন সীমিত পরিসরে ফাঁস হলেও ২০০২ সাল থেকে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। প্রিলিমিনারি ও লিখিত দুই পরীক্ষার প্রশ্নই ফাঁস হতে থাকে। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন দলীয় নেতা থেকে শুরু করে রিকশাচালক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

তিনটি বিসিএস পরীক্ষা পর্যালোচনা করেছে সিআইডি। সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে ২৪টি ও ৪১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ১৬টি জেলার কোন প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি। ৪০তম বিসিএসে মোট ৭০ জন উত্তীর্ণ হন, যার মধ্যে ৭ জন নারী। ৪১তম বিসিএসে ৪ জন নারীসহ মোট ১০০ জন উত্তীর্ণ হয়। ৪৩তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ১৪ জেলায় কোনো প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়নি। মোট ১০০ জন উত্তীর্ণ হন, এর মধ্যে ৯ জন নারী। ফলে এখানে কোটা পূরণ করা হয়নি।

এই তিন বিসিএসে যেসব জেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, তারাই উত্তীর্ণ হয়েছেন। পুলিশ ক্যাডারসহ সকল ক্যাডারে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।