ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

প্রশ্নফাঁসে জড়িত নোমান চলেন স্ত্রীর কথায়

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

সারাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ১৭ জন হোতার মধ্যে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার হন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সাবেক সেনা সদস্য মো.নোমান সিদ্দিকী। বিয়ের পর থেকে অপকর্মে জড়ান এমন দাবি পরিবার ও এলাকাবাসীর। তিনি সবসময় স্ত্রীর কথায় চলেন বলেও জানায় এলাকাবাসী।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নোমান সিদ্দিকী উপজেলার চর মেহের আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে এসএসসি পাশ করে ১৯৯৮ সালে সেনাবাহিনীতে সাধারণ সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯ বছর চাকরি জীবনে লাইবেরিয়াতে মিশন শেষ করেন। এবং চাকরি থেকে অবসরে যান।

২০০৭ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা শহরের ওয়াবদা (বিদ্যুৎ) কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিনের মেয়ে সাফিয়া সুলতানা স্বর্নাকে বিয়ে করেন। স্ত্রী সাফিয়া সুলতানা স্বর্না ঢাকার মিরপুরে শিক্ষা অধিদপ্তরে চাকরি করতেন। তিনিও চাকরি ছেড়ে দেন। বিয়ের পর থেকে পরিবারের কারো সাথে তার সম্পর্ক ছিল না। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন।

জানা যায়, নোমান যা কিছু করেছেন সবই স্ত্রীর কথায় করেছেন। স্ত্রীর কথা ছাড়া কোনো কাজই করেন না। সেনাবাহিনীতে চাকরি অবস্থায় তেমন কোন অর্থ বা সম্পত্তি ছিল না। অবসরে গিয়ে অপকর্মে জড়িয়ে এসব করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরও জানা যায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর আত্মীয় নোমান সিদ্দিকীর স্ত্রী সাফিয়া সুলতানা স্বর্না।

স্থানীয়রা জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকা নোমান সিদ্দিকী মাঝে-মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। তবে স্বাভাবিক চলাফেরা করতেন। গ্রামে তেমন কিছু করেননি। তার বাবা মৃত আবু তাহের ছিলেন সাধারণ মানুষ। তিনি কৃষি কাজ করতেন। তারা তিন ভাই। বড় ভাই মো. ওমর ফারুক রামদয়াল বাজারে ফার্মেসি ব্যবসা করেন, মেঝো ভাই মো.সালাউদ্দিন সেনাবাহিনীতে ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। নোমান সিদ্দিকী ভাইদের মধ্যে ছোট।

নোমান সিদ্দিকী রামগতির চর আলগী ইউনিয়নের চর মেহের গ্রামে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবু তাহের মিয়ার বাড়ি মৃত আবু তাহের মিয়ার ছোট ছেলে।

তার ভাই ওমর ফারুক জানান, পারিবারিকভাবে নোমানের সাথে পরিবারের কারও যোগাযোগ নেই। বিয়ের পর থেকে সে ঢাকায় থাকেন। তার তিন সন্তান রয়েছে। তার বাবা মারা যাওয়ার আগ থেকে পারিবারিক সম্পর্ক বিছিন্ন রয়েছে। কখনো বাড়িতে আসলে সে একা থাকেন। পরিবারের কারও সাথে কথা বা যোগাযোগ করেন না। গ্রামে তার তেমন কোনো সম্পত্তি নেই। যা কিছু রয়েছে বাবার অর্পিত সম্পত্তি। তার ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না। তবে খবরে দেখেছি সে প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পিএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সারাদেশে পুলিশের অভিযানে ১৭ জন মূলহোতা গ্রেপ্তার হন। তাদের মধ্যে গাড়ির ড্রাইভার আবেদ আলীর কাছ থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে বেচা-বিক্রি করতেন নোমান সিদ্দিকী। তিনি সাধারণ সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিক থেকে অবসরে গিয়ে বনে যান ও গড়ে তোলেন অঢেল টাকা ও সম্পদের মালিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

প্রশ্নফাঁসে জড়িত নোমান চলেন স্ত্রীর কথায়

আপডেট সময় : ১১:০০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

সারাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ১৭ জন হোতার মধ্যে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার হন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সাবেক সেনা সদস্য মো.নোমান সিদ্দিকী। বিয়ের পর থেকে অপকর্মে জড়ান এমন দাবি পরিবার ও এলাকাবাসীর। তিনি সবসময় স্ত্রীর কথায় চলেন বলেও জানায় এলাকাবাসী।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নোমান সিদ্দিকী উপজেলার চর মেহের আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে এসএসসি পাশ করে ১৯৯৮ সালে সেনাবাহিনীতে সাধারণ সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯ বছর চাকরি জীবনে লাইবেরিয়াতে মিশন শেষ করেন। এবং চাকরি থেকে অবসরে যান।

২০০৭ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা শহরের ওয়াবদা (বিদ্যুৎ) কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিনের মেয়ে সাফিয়া সুলতানা স্বর্নাকে বিয়ে করেন। স্ত্রী সাফিয়া সুলতানা স্বর্না ঢাকার মিরপুরে শিক্ষা অধিদপ্তরে চাকরি করতেন। তিনিও চাকরি ছেড়ে দেন। বিয়ের পর থেকে পরিবারের কারো সাথে তার সম্পর্ক ছিল না। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন।

জানা যায়, নোমান যা কিছু করেছেন সবই স্ত্রীর কথায় করেছেন। স্ত্রীর কথা ছাড়া কোনো কাজই করেন না। সেনাবাহিনীতে চাকরি অবস্থায় তেমন কোন অর্থ বা সম্পত্তি ছিল না। অবসরে গিয়ে অপকর্মে জড়িয়ে এসব করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরও জানা যায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর আত্মীয় নোমান সিদ্দিকীর স্ত্রী সাফিয়া সুলতানা স্বর্না।

স্থানীয়রা জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকা নোমান সিদ্দিকী মাঝে-মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। তবে স্বাভাবিক চলাফেরা করতেন। গ্রামে তেমন কিছু করেননি। তার বাবা মৃত আবু তাহের ছিলেন সাধারণ মানুষ। তিনি কৃষি কাজ করতেন। তারা তিন ভাই। বড় ভাই মো. ওমর ফারুক রামদয়াল বাজারে ফার্মেসি ব্যবসা করেন, মেঝো ভাই মো.সালাউদ্দিন সেনাবাহিনীতে ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। নোমান সিদ্দিকী ভাইদের মধ্যে ছোট।

নোমান সিদ্দিকী রামগতির চর আলগী ইউনিয়নের চর মেহের গ্রামে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবু তাহের মিয়ার বাড়ি মৃত আবু তাহের মিয়ার ছোট ছেলে।

তার ভাই ওমর ফারুক জানান, পারিবারিকভাবে নোমানের সাথে পরিবারের কারও যোগাযোগ নেই। বিয়ের পর থেকে সে ঢাকায় থাকেন। তার তিন সন্তান রয়েছে। তার বাবা মারা যাওয়ার আগ থেকে পারিবারিক সম্পর্ক বিছিন্ন রয়েছে। কখনো বাড়িতে আসলে সে একা থাকেন। পরিবারের কারও সাথে কথা বা যোগাযোগ করেন না। গ্রামে তার তেমন কোনো সম্পত্তি নেই। যা কিছু রয়েছে বাবার অর্পিত সম্পত্তি। তার ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না। তবে খবরে দেখেছি সে প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পিএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সারাদেশে পুলিশের অভিযানে ১৭ জন মূলহোতা গ্রেপ্তার হন। তাদের মধ্যে গাড়ির ড্রাইভার আবেদ আলীর কাছ থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে বেচা-বিক্রি করতেন নোমান সিদ্দিকী। তিনি সাধারণ সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিক থেকে অবসরে গিয়ে বনে যান ও গড়ে তোলেন অঢেল টাকা ও সম্পদের মালিক।