ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সদস্য

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর:-

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের এক মামলায় বিরোধপূর্ণ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেন আদালত। বিবাদীপক্ষের বাড়িতে সেই নোটিশ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এএসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন ভালুকা ফকিরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব।

মারধরের শিকার দুজন হলেন এএসআই মো. নিজাম এবং কনস্টেবল মো. রাশেদুল ইসলাম। তারা উপজেলার পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন অভিযুক্ত রফিকুল আলম (৫০) ও তার ছেলে শাকিল (২০)।

পুলিশ জানায়, কুমারখালী উপজেলার ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার শমসের আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে অভিযুক্ত রফিকুল আলমের শূন্য দশমিক ১৭৯ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন শাহীন।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারা জারি করেন বিরোধপূর্ণ জায়গাটির ওপর।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এএসআই নিজাম ও কনস্টেবল রাশেদুল সেই নোটিশ দিতে গিয়ে বিবাদী রফিক ও তার ছেলে শাকিলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন রফিক ও শাকিল।

তবে পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রফিকের স্ত্রী শাহিদা খাতুন। তার দাবি, পুলিশ প্রথমে বাদীর বাড়িতে নোটিশ দেয়। এরপর সেখান থেকে রফিকের বাড়িতে গিয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার ছেলেকে লাথি মারেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের মারধর করা হয়নি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব বলেন, ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গেলে বিবাদী ও তার ছেলে পুলিশের কাজে বাধা দেয় এবং মারধর করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সদস্য

আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর:-

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের এক মামলায় বিরোধপূর্ণ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেন আদালত। বিবাদীপক্ষের বাড়িতে সেই নোটিশ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এএসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন ভালুকা ফকিরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব।

মারধরের শিকার দুজন হলেন এএসআই মো. নিজাম এবং কনস্টেবল মো. রাশেদুল ইসলাম। তারা উপজেলার পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন অভিযুক্ত রফিকুল আলম (৫০) ও তার ছেলে শাকিল (২০)।

পুলিশ জানায়, কুমারখালী উপজেলার ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার শমসের আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে অভিযুক্ত রফিকুল আলমের শূন্য দশমিক ১৭৯ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন শাহীন।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারা জারি করেন বিরোধপূর্ণ জায়গাটির ওপর।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এএসআই নিজাম ও কনস্টেবল রাশেদুল সেই নোটিশ দিতে গিয়ে বিবাদী রফিক ও তার ছেলে শাকিলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন রফিক ও শাকিল।

তবে পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রফিকের স্ত্রী শাহিদা খাতুন। তার দাবি, পুলিশ প্রথমে বাদীর বাড়িতে নোটিশ দেয়। এরপর সেখান থেকে রফিকের বাড়িতে গিয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার ছেলেকে লাথি মারেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের মারধর করা হয়নি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব বলেন, ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গেলে বিবাদী ও তার ছেলে পুলিশের কাজে বাধা দেয় এবং মারধর করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।