ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

অর্ধশতাধিক প্রবাসীর লাগেজ বুঝিয়ে না দিয়েই বিদায় ইউএস বাংলার

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:
ওমানের মাস্কট থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট যাত্রীদের লাগেজ বুঝিয়ে না দিয়েই বিদায় দিয়েছে। ইউএস বাংলার চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরতদের মধ্যে এক কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বর দিয়ে দুই দিন পর যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৮.৫০টায় চট্টগ্রাম অবতরণ করে ইউএস বাংলার বিএস-০৩২২ ফ্লাইট। এটি মাস্কট থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে দেশে আসে।

মরুর দেশ ওমান প্রবাসী এসব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কেউ দুই বছর, কেউ তিন বছর বা আরও বেশী সময় পর দেশে ফিরেছেন। সঙ্গত কারণেই তাদের সন্তান, মা-বাবাসহ আত্মীয় স্বজনদের জন্য সখের জিনিষ নিয়েই তারা দেশে ফিরেন।

ওমান ফেরত রাফসান আহমেদ বলেন, আমি দেশে ফিরেছি তিন বছর পর। এতেই আমার মা খুশি। কিন্তু আমার লাগেজে মায়ের জন্য কাপড়, জুস, বাড়ির ছোটদের জন্য চকলেট এনেছিলাম। ভাগিনা-ভাতিজাদের জন্য কিছু গিফট এনেছি। ভাই-বোনদের জন্য কসমেটিকস ছিল। এখন শুধুমাত্র পাসপোর্টের হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছি। বাড়িতে যাওয়ার পর যখন প্রতিবেশীদের শিশুরা আসবে তখন একজন প্রবাসী হিসেবে লজ্জায় পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমিতো বৈধ ভিসায় প্রবাসে ছিলাম। ফেরার পথে নিয়ম মেনেই লাগেজ বুকিং দিয়েছি। ইউএস বাংলা যদি লাগেজ বুকিং না নিতো আমি অন্য ফ্লাইটে আসতাম। এখন লজ্জা লাগছে কেউ কেউ ভাববে অবৈধ ছিলাম বলে ধরা খেয়ে খালি হাতে ফিরেছি।

কুমিল্লার যাত্রী রাজু মিয়া বলেন, আত্মীয় স্বজন হাইচ মাইক্রো ভাড়া করে আমাকে রিসিভ করতে এসেছেন। তাদের চোখে মুখে আন্দন। লাগেজ নিতে হবে বলে বড় মাইক্রোতে উনারা এসেছেন। এখন দুই দিনপর যদি লাগেজ নিতে বিমানবন্দরে আসি আবার নিজের গাড়ি ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে লাগেজ পরিবহণের খরচ। এটা ইউএস বাংলার অপেশাদার আচরণ।

কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, ঘরে ফেরার আনন্দটা ইউএস বাংলা মাটি করে দিলো। একটা বিব্রতকর অবস্থা পড়লাম। এলাকার লোকজন কী ভাববে সেই চিন্তায় আছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এক সঙ্গে তিনজন এসেছি। তিনজনেরই দুটি করে লাগেজ ছিল। একজনের একটা এসেছে। আমাদের দুইজনের দুটো এবং উনার একটাসহ পাঁচটা আসেনি।

যাত্রীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া মুঠোফোনে ফোন করলে প্রথমে ইউএস বাংলার রিয়াদ নামের কর্মকর্তা বিষয়টি জানেন না বলে জানান। পরে আরও কিছু তথ্য দিলে তিনি বলেন-বিমান ছোট হওয়াতে লাগেজ আনা যায়নি। পরের যে কোনো ফ্লাইটে লাগেজগুলো এনে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পৌঁছে দেয়া হবে।

রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সঙ্গে ইউএস বাংলার এমন অপেশাদার আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আমরা কমিটেড। বিষটি আমরা দেখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

অর্ধশতাধিক প্রবাসীর লাগেজ বুঝিয়ে না দিয়েই বিদায় ইউএস বাংলার

আপডেট সময় : ০৬:২১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:
ওমানের মাস্কট থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট যাত্রীদের লাগেজ বুঝিয়ে না দিয়েই বিদায় দিয়েছে। ইউএস বাংলার চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরতদের মধ্যে এক কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বর দিয়ে দুই দিন পর যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৮.৫০টায় চট্টগ্রাম অবতরণ করে ইউএস বাংলার বিএস-০৩২২ ফ্লাইট। এটি মাস্কট থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে দেশে আসে।

মরুর দেশ ওমান প্রবাসী এসব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কেউ দুই বছর, কেউ তিন বছর বা আরও বেশী সময় পর দেশে ফিরেছেন। সঙ্গত কারণেই তাদের সন্তান, মা-বাবাসহ আত্মীয় স্বজনদের জন্য সখের জিনিষ নিয়েই তারা দেশে ফিরেন।

ওমান ফেরত রাফসান আহমেদ বলেন, আমি দেশে ফিরেছি তিন বছর পর। এতেই আমার মা খুশি। কিন্তু আমার লাগেজে মায়ের জন্য কাপড়, জুস, বাড়ির ছোটদের জন্য চকলেট এনেছিলাম। ভাগিনা-ভাতিজাদের জন্য কিছু গিফট এনেছি। ভাই-বোনদের জন্য কসমেটিকস ছিল। এখন শুধুমাত্র পাসপোর্টের হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছি। বাড়িতে যাওয়ার পর যখন প্রতিবেশীদের শিশুরা আসবে তখন একজন প্রবাসী হিসেবে লজ্জায় পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমিতো বৈধ ভিসায় প্রবাসে ছিলাম। ফেরার পথে নিয়ম মেনেই লাগেজ বুকিং দিয়েছি। ইউএস বাংলা যদি লাগেজ বুকিং না নিতো আমি অন্য ফ্লাইটে আসতাম। এখন লজ্জা লাগছে কেউ কেউ ভাববে অবৈধ ছিলাম বলে ধরা খেয়ে খালি হাতে ফিরেছি।

কুমিল্লার যাত্রী রাজু মিয়া বলেন, আত্মীয় স্বজন হাইচ মাইক্রো ভাড়া করে আমাকে রিসিভ করতে এসেছেন। তাদের চোখে মুখে আন্দন। লাগেজ নিতে হবে বলে বড় মাইক্রোতে উনারা এসেছেন। এখন দুই দিনপর যদি লাগেজ নিতে বিমানবন্দরে আসি আবার নিজের গাড়ি ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে লাগেজ পরিবহণের খরচ। এটা ইউএস বাংলার অপেশাদার আচরণ।

কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, ঘরে ফেরার আনন্দটা ইউএস বাংলা মাটি করে দিলো। একটা বিব্রতকর অবস্থা পড়লাম। এলাকার লোকজন কী ভাববে সেই চিন্তায় আছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এক সঙ্গে তিনজন এসেছি। তিনজনেরই দুটি করে লাগেজ ছিল। একজনের একটা এসেছে। আমাদের দুইজনের দুটো এবং উনার একটাসহ পাঁচটা আসেনি।

যাত্রীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া মুঠোফোনে ফোন করলে প্রথমে ইউএস বাংলার রিয়াদ নামের কর্মকর্তা বিষয়টি জানেন না বলে জানান। পরে আরও কিছু তথ্য দিলে তিনি বলেন-বিমান ছোট হওয়াতে লাগেজ আনা যায়নি। পরের যে কোনো ফ্লাইটে লাগেজগুলো এনে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পৌঁছে দেয়া হবে।

রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সঙ্গে ইউএস বাংলার এমন অপেশাদার আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আমরা কমিটেড। বিষটি আমরা দেখছি।