ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময়

পানিতে নেমে বন্যার্তদের খোঁজ নিচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন। জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত। ১ হাজার ১৮টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পানি বেশি উঠেছে।

এদিকে, বন্যার্ত মানুষের খোঁজ নিতে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সিলেটের আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি নিজেই বন্যার পানিতে নেমে পড়েন। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে তিনি শুকনো খাবার সরবরাহ করেন।

বিষয়টি তিনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন। সুমন বলেন, শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সিলেটের বন‍্যা কবলিত এলাকায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পরিদর্শন ও শুকনো খাবার বিতরণ শেষে ১১ ঘটিকার সময় সিলেটের স্বাদ শোরুম থেকে ট্রাক ভর্তি খাবার নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার উদ্দেশ্য রওনা হবো।

সুমনের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা। স্থানীয়রাও প্রশংসা করছেন। একজন বলেছেন, সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ! সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের জন্য আপনার এই সাহায্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আমাদের এলাকা জৈন্তাপুর অনেক গ্রাম অঞ্চল এখনো পানি বন্দি দয়া করে আমাদের ও একটু খোঁজ খবর নিবেন ভাই।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পানি বেড়ে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব উপজেলায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। জেলার মোট ৫৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন, ব্যক্তিমালিকানা ভবনে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ১৮ হাজার ৪২৯ জন বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পানিতে নেমে বন্যার্তদের খোঁজ নিচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন

আপডেট সময় : ০৭:০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন। জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত। ১ হাজার ১৮টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পানি বেশি উঠেছে।

এদিকে, বন্যার্ত মানুষের খোঁজ নিতে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সিলেটের আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি নিজেই বন্যার পানিতে নেমে পড়েন। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে তিনি শুকনো খাবার সরবরাহ করেন।

বিষয়টি তিনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন। সুমন বলেন, শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সিলেটের বন‍্যা কবলিত এলাকায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পরিদর্শন ও শুকনো খাবার বিতরণ শেষে ১১ ঘটিকার সময় সিলেটের স্বাদ শোরুম থেকে ট্রাক ভর্তি খাবার নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার উদ্দেশ্য রওনা হবো।

সুমনের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা। স্থানীয়রাও প্রশংসা করছেন। একজন বলেছেন, সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ! সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের জন্য আপনার এই সাহায্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আমাদের এলাকা জৈন্তাপুর অনেক গ্রাম অঞ্চল এখনো পানি বন্দি দয়া করে আমাদের ও একটু খোঁজ খবর নিবেন ভাই।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পানি বেড়ে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব উপজেলায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। জেলার মোট ৫৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন, ব্যক্তিমালিকানা ভবনে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ১৮ হাজার ৪২৯ জন বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।