ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময়

শিশুর দৃষ্টিত্রুটির চিকিৎসায় যা করণীয়

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

স্বাভাবিক দৃষ্টি বলতে আমরা বুঝি যখন কোনো বস্তু থেকে আলো এসে চোখের মধ্যে প্রবেশ করে সরাসরি রেটিনায় পড়ে এবং বস্তুটিকে স্পষ্ট দেখা যায়।

প্রতিসরণজনিত বা পাওয়ারজনিত দৃষ্টিত্রুটি কী?

যখন কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মি চোখে প্রবেশ করে রেটিনার সামনে বা পেছনে পড়ে, তখন বস্তুটিকে ঝাপসা বা অস্পষ্ট দেখা যায়। এ অবস্থাকে দৃষ্টিত্রুটি বলা হয়।

প্রতিসরণজনিত (পাওয়ারজনিত) দৃষ্টিত্রুটি কেন হয়?

চোখের দৈর্ঘ্য যদি স্বাভাবিক চোখের চেয়ে ছোট বা বড় হয়।
চোখের লেন্সের কোনো পরিবর্তন হলে।
চোখের কর্নিয়ার আকার যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সমতল অথবা বেশি বাঁকা থাকে।

প্রতিসরণজনিত দৃষ্টিত্রুটি কয় ধরনের? শিশুদের দৃষ্টিত্রুটি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে।

হাইপারমেট্রোপিয়া বা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন : এ ধরনের দৃষ্টিত্রুটিতে চোখের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট থাকে। ফলে কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মি এসে রেটিনার পেছনে এর প্রতিবিম্ব পড়ে।
মাইওপিয়া বা হ্রস্বদৃষ্টিসম্পন্ন : এ ধরনের দৃষ্টিত্রুটিতে কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মি এসে রেটিনার সামনে প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে চোখের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় থাকে অথবা কর্নিয়া বেশি বাঁকা থাকে।
এসটিগমেটিজম বা ঝাপসা দৃষ্টি : চোখের কর্নিয়ার আকৃতিগত পরিবর্তনের জন্য এ ধরনের দৃষ্টিত্রুটি হয়ে থাকে।

প্রতিসরণজনিত দৃষ্টিত্রুটির লক্ষণ। দৃষ্টিত্রুটি থাকলে শিশুদের নিম্নোক্ত লক্ষণ থাকবে—

শিশুদের ব্ল্যাকবোর্ডের বা হোয়াইট বোর্ডের লেখা দেখতে সমস্যা হয়।
টেলিভিশন বা বোর্ডের লেখাপড়ার সময় চোখ ছোট করে দেখে।
কাছ থেকে টেলিভিশন দেখা।
বই পড়ার সময় মুখের কাছে এনে ধরে।
বই পড়ার সময় চোখে ব্যথা হয়।
চোখ ট্যারা অথবা বাঁকা হতে পারে।
চোখের পাতায় গোটা অথবা অঞ্জলি হওয়া।
মাথা ব্যথা হয়।
কপাল ও চোখ কুঁচকে দেখে।
এসব লক্ষণ দেখামাত্রই চক্ষু বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে।

প্রতিসরণজনিত দৃষ্টিত্রুটির চিকিৎসা কী? সময়মতো সঠিক পাওয়ারের চশমা ব্যবহার।

লক্ষণীয়

সময়মতো চশমা ব্যবহার করলে স্বাভাবিক দৃষ্টি বজায় থাকে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চশমার পাওয়ারও পরিবর্তন হয়।
ছয় মাস অন্তর একবার চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করাতে হবে।
১৫ বছরের অধিক বয়সের শিশুরা চশমার পরিবর্তে চোখে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারে। ১৮ বছরের বেশি বয়স হলে ল্যাসিক বা অন্যান্য লেজার চিকিৎসার মাধ্যমেও দৃষ্টিত্রুটির চিকিৎসা করা যায়।
চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুম ও গোসলের সময় ছাড়া সার্বক্ষণিক চশমা ব্যবহার করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শিশুর দৃষ্টিত্রুটির চিকিৎসায় যা করণীয়

আপডেট সময় : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

স্বাভাবিক দৃষ্টি বলতে আমরা বুঝি যখন কোনো বস্তু থেকে আলো এসে চোখের মধ্যে প্রবেশ করে সরাসরি রেটিনায় পড়ে এবং বস্তুটিকে স্পষ্ট দেখা যায়।

প্রতিসরণজনিত বা পাওয়ারজনিত দৃষ্টিত্রুটি কী?

যখন কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মি চোখে প্রবেশ করে রেটিনার সামনে বা পেছনে পড়ে, তখন বস্তুটিকে ঝাপসা বা অস্পষ্ট দেখা যায়। এ অবস্থাকে দৃষ্টিত্রুটি বলা হয়।

প্রতিসরণজনিত (পাওয়ারজনিত) দৃষ্টিত্রুটি কেন হয়?

চোখের দৈর্ঘ্য যদি স্বাভাবিক চোখের চেয়ে ছোট বা বড় হয়।
চোখের লেন্সের কোনো পরিবর্তন হলে।
চোখের কর্নিয়ার আকার যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সমতল অথবা বেশি বাঁকা থাকে।

প্রতিসরণজনিত দৃষ্টিত্রুটি কয় ধরনের? শিশুদের দৃষ্টিত্রুটি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে।

হাইপারমেট্রোপিয়া বা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন : এ ধরনের দৃষ্টিত্রুটিতে চোখের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট থাকে। ফলে কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মি এসে রেটিনার পেছনে এর প্রতিবিম্ব পড়ে।
মাইওপিয়া বা হ্রস্বদৃষ্টিসম্পন্ন : এ ধরনের দৃষ্টিত্রুটিতে কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মি এসে রেটিনার সামনে প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে চোখের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় থাকে অথবা কর্নিয়া বেশি বাঁকা থাকে।
এসটিগমেটিজম বা ঝাপসা দৃষ্টি : চোখের কর্নিয়ার আকৃতিগত পরিবর্তনের জন্য এ ধরনের দৃষ্টিত্রুটি হয়ে থাকে।

প্রতিসরণজনিত দৃষ্টিত্রুটির লক্ষণ। দৃষ্টিত্রুটি থাকলে শিশুদের নিম্নোক্ত লক্ষণ থাকবে—

শিশুদের ব্ল্যাকবোর্ডের বা হোয়াইট বোর্ডের লেখা দেখতে সমস্যা হয়।
টেলিভিশন বা বোর্ডের লেখাপড়ার সময় চোখ ছোট করে দেখে।
কাছ থেকে টেলিভিশন দেখা।
বই পড়ার সময় মুখের কাছে এনে ধরে।
বই পড়ার সময় চোখে ব্যথা হয়।
চোখ ট্যারা অথবা বাঁকা হতে পারে।
চোখের পাতায় গোটা অথবা অঞ্জলি হওয়া।
মাথা ব্যথা হয়।
কপাল ও চোখ কুঁচকে দেখে।
এসব লক্ষণ দেখামাত্রই চক্ষু বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে।

প্রতিসরণজনিত দৃষ্টিত্রুটির চিকিৎসা কী? সময়মতো সঠিক পাওয়ারের চশমা ব্যবহার।

লক্ষণীয়

সময়মতো চশমা ব্যবহার করলে স্বাভাবিক দৃষ্টি বজায় থাকে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চশমার পাওয়ারও পরিবর্তন হয়।
ছয় মাস অন্তর একবার চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করাতে হবে।
১৫ বছরের অধিক বয়সের শিশুরা চশমার পরিবর্তে চোখে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারে। ১৮ বছরের বেশি বয়স হলে ল্যাসিক বা অন্যান্য লেজার চিকিৎসার মাধ্যমেও দৃষ্টিত্রুটির চিকিৎসা করা যায়।
চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুম ও গোসলের সময় ছাড়া সার্বক্ষণিক চশমা ব্যবহার করতে হবে।