ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

হেসে খেলে জিতে টিকে রইলো বাংলাদেশ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সুপার এইট খেলতে হলে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই দু’দলের সামনে। এমন ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত বোলারদের কল্যাণে ২৫ রানের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এ জয়ের ফলে সুপার এইটের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল টিম টাইগার্স। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সাকিব সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ ও তানজিদ হাসান তামিম করেন ৩৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট।

বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩২ রানে দুই উইকেট হারায় ডাচরা। তৃতীয় উইকেটে বিক্রমজিতকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা চালান এঙ্গেলব্রেখট। দলীয় ৬৯ রানে বিক্রমজিত আউট হলে ভাঙে জুটি। চতুর্থ উইকেটে এঙ্গেলব্রেখট ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস উইকেট আটকে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন। এ দু’জন ৪৪ রান সংগ্রহ করার পর এঙ্গেলব্রেখটকে রিশাদ প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। পরের বলেই বাস ডি লিডকেও তুলে নেন রিশাদ। এতে করে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ডাচরা।

শেষ দিকে জোর চেষ্টা চালালেও তা আর জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৮ উইকেট হারিয়ে নেদারল্যান্ডস শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ ৩টি, তাসকিন ২টি ও মুস্তাফিজ, তানজিম, মাহমুদউল্লাহ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আরিয়ান দত্তকে রিভার্স সুইপ করতেক গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। ৩ বলে ১ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। শান্তর বিদায়ের পর উইকেটে এসে দ্রুতই ফেরেন আরেক টপঅর্ডার ব্যাটার লিটন দাস। এই উইকেটও তুলে নেন আরিয়ান। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে আরিয়ানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন। ২ বলে ১ রান করেন তিনি।

দলীয় ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে সাকিব এবং তানজিদ তামিম। ৩২ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত এই জুটি ভাঙে দলীয় ৭১ রানে তানজিদ তামিম ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরায়। নবম ওভারে ফন মিকেরেনের বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তানজিদ। এরপর বাইশগজে ব্যাট হাতে আসেন তাওহিদ হৃদয়।

তাকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব। তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে হৃদয় আউট হলে ভাঙে এই জুটি, তখন দলীয় রান ৮৯। এরপর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে এগুতে থাকেন সাকিব। একই সঙ্গে নিজের অর্ধশতকও তুলে নেন টাইগার অলরাউন্ডার। এটি ছিল সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। ৫ম উইকেটে রিয়াদ ও সাকিব ৪১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৩০ রানে ২১ বলে ২৫ করে আউট হন রিয়াদ।

শেষ দিকে জাকের আলীর অপরাজিত ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। নেদারল্যান্ডসের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত ও পল ফন মিকিরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

হেসে খেলে জিতে টিকে রইলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১১:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সুপার এইট খেলতে হলে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই দু’দলের সামনে। এমন ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত বোলারদের কল্যাণে ২৫ রানের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এ জয়ের ফলে সুপার এইটের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল টিম টাইগার্স। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সাকিব সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ ও তানজিদ হাসান তামিম করেন ৩৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট।

বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩২ রানে দুই উইকেট হারায় ডাচরা। তৃতীয় উইকেটে বিক্রমজিতকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা চালান এঙ্গেলব্রেখট। দলীয় ৬৯ রানে বিক্রমজিত আউট হলে ভাঙে জুটি। চতুর্থ উইকেটে এঙ্গেলব্রেখট ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস উইকেট আটকে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন। এ দু’জন ৪৪ রান সংগ্রহ করার পর এঙ্গেলব্রেখটকে রিশাদ প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। পরের বলেই বাস ডি লিডকেও তুলে নেন রিশাদ। এতে করে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ডাচরা।

শেষ দিকে জোর চেষ্টা চালালেও তা আর জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৮ উইকেট হারিয়ে নেদারল্যান্ডস শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ ৩টি, তাসকিন ২টি ও মুস্তাফিজ, তানজিম, মাহমুদউল্লাহ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আরিয়ান দত্তকে রিভার্স সুইপ করতেক গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। ৩ বলে ১ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। শান্তর বিদায়ের পর উইকেটে এসে দ্রুতই ফেরেন আরেক টপঅর্ডার ব্যাটার লিটন দাস। এই উইকেটও তুলে নেন আরিয়ান। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে আরিয়ানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন। ২ বলে ১ রান করেন তিনি।

দলীয় ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে সাকিব এবং তানজিদ তামিম। ৩২ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত এই জুটি ভাঙে দলীয় ৭১ রানে তানজিদ তামিম ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরায়। নবম ওভারে ফন মিকেরেনের বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তানজিদ। এরপর বাইশগজে ব্যাট হাতে আসেন তাওহিদ হৃদয়।

তাকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব। তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে হৃদয় আউট হলে ভাঙে এই জুটি, তখন দলীয় রান ৮৯। এরপর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে এগুতে থাকেন সাকিব। একই সঙ্গে নিজের অর্ধশতকও তুলে নেন টাইগার অলরাউন্ডার। এটি ছিল সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। ৫ম উইকেটে রিয়াদ ও সাকিব ৪১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৩০ রানে ২১ বলে ২৫ করে আউট হন রিয়াদ।

শেষ দিকে জাকের আলীর অপরাজিত ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। নেদারল্যান্ডসের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত ও পল ফন মিকিরেন।