ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

কোন সাহসে আ.লীগ গনতন্ত্রের কথা বলে, প্রশ্ন ফখরুলের

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ নেতারা এখন কোন সাহসে গণতন্ত্রের কথা বলেন, জানতে চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৯ জুন) জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ এখন মুখে গণতন্ত্রের বুলি আড়রাচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিরোধী দল, গণতন্ত্র সবকিছুকেই দেউলিয়া করেছে ক্ষমতাসীনরা। এখন কোন সাহসে আওয়ামী লীগ নেতারা গণতন্ত্রের কথা বলেন?
এসময় তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশকে বিদেশিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, কাউকে সহ্য করতে না পারা আওয়ামী লীগের চরিত্র। দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন ব্যক্তিদের তারা পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করছে। একদলীয় শাসন কায়েম করাই তাদের লক্ষ্য।
জনগণের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে চাইতো না বলেই বিএনপির বাজেট ছোট ছিল মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, মানুষকে ঋণে ডোবাতেই জনবিরোধী বাজেট দিয়েছে সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিজের সততা দিয়ে দেশের আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন জিয়াউর রহমান। জাতীয় প্রেসক্লাব তো জিয়াউর রহমানের অবদান। অথচ তার নামই উচ্চারণ করতে চায় না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকাল তো জিয়াউর রহমানের নাম নেওয়া যায় না। পরবর্তী প্রজন্ম তো তাকে স্মরণ করতে পারবে না। এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ পাঠ্যপুস্তকে তার সম্পর্কে কোনো কিছু লেখা নেই। এটা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। যে লোকটি স্বাধীনতার ঘোষণা দিল তার নামই নাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বাইরে যেতে পারে না। তাদের কেমিস্ট্রিতে এটা নাই। আওয়ামী লীগের চরিত্র হচ্ছে কাউকে সহ্য করতে না পারা। তারা প্রথমত সহিষ্ণুতায় বিশ্বাস করে না। পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান সবার কথা শুনতেন। তিনি কথা কমই বলতেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তি সবার সঙ্গে কথা বলে যে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন তা বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করেছেন। তিনি দেশের মানুষের মনের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলেন। তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে তিনি মানুষকে কাছে টানতেন। আজকে তার সম্পর্কে আমরা ঠিকভাবে বলতে পারি না। এতো সৎ মানুষ ছিলেন। কোনো স্বজনপ্রীতি ছিল না। নিকটাত্মীয়রাও কম আসতেন বাসায়। তার সততার ধারে কাছেও কেউ যেতে পারবে না। যে কারণে তার কফিন ঢাকায় আনা হলে বন্যার পানির মতো মানুষ ভিড় জমাতে থাকলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কোন সাহসে আ.লীগ গনতন্ত্রের কথা বলে, প্রশ্ন ফখরুলের

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ নেতারা এখন কোন সাহসে গণতন্ত্রের কথা বলেন, জানতে চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৯ জুন) জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ এখন মুখে গণতন্ত্রের বুলি আড়রাচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিরোধী দল, গণতন্ত্র সবকিছুকেই দেউলিয়া করেছে ক্ষমতাসীনরা। এখন কোন সাহসে আওয়ামী লীগ নেতারা গণতন্ত্রের কথা বলেন?
এসময় তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশকে বিদেশিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, কাউকে সহ্য করতে না পারা আওয়ামী লীগের চরিত্র। দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন ব্যক্তিদের তারা পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করছে। একদলীয় শাসন কায়েম করাই তাদের লক্ষ্য।
জনগণের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে চাইতো না বলেই বিএনপির বাজেট ছোট ছিল মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, মানুষকে ঋণে ডোবাতেই জনবিরোধী বাজেট দিয়েছে সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিজের সততা দিয়ে দেশের আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন জিয়াউর রহমান। জাতীয় প্রেসক্লাব তো জিয়াউর রহমানের অবদান। অথচ তার নামই উচ্চারণ করতে চায় না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকাল তো জিয়াউর রহমানের নাম নেওয়া যায় না। পরবর্তী প্রজন্ম তো তাকে স্মরণ করতে পারবে না। এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ পাঠ্যপুস্তকে তার সম্পর্কে কোনো কিছু লেখা নেই। এটা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। যে লোকটি স্বাধীনতার ঘোষণা দিল তার নামই নাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বাইরে যেতে পারে না। তাদের কেমিস্ট্রিতে এটা নাই। আওয়ামী লীগের চরিত্র হচ্ছে কাউকে সহ্য করতে না পারা। তারা প্রথমত সহিষ্ণুতায় বিশ্বাস করে না। পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান সবার কথা শুনতেন। তিনি কথা কমই বলতেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তি সবার সঙ্গে কথা বলে যে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন তা বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করেছেন। তিনি দেশের মানুষের মনের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলেন। তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে তিনি মানুষকে কাছে টানতেন। আজকে তার সম্পর্কে আমরা ঠিকভাবে বলতে পারি না। এতো সৎ মানুষ ছিলেন। কোনো স্বজনপ্রীতি ছিল না। নিকটাত্মীয়রাও কম আসতেন বাসায়। তার সততার ধারে কাছেও কেউ যেতে পারবে না। যে কারণে তার কফিন ঢাকায় আনা হলে বন্যার পানির মতো মানুষ ভিড় জমাতে থাকলো।