ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময় বিদায়ের সুরে শ্যামনগরের পূজা মণ্ডপগুলো পটুয়াখালীতে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ‎ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আসিফ কাজলের আজ জন্মদিন

ফেসবুকে বক্তব্য ভারাইল জেলা পুলিশে ক্ষোভ শৈলকুপার ওসিকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়ণের হুমকী পৌর মেয়রের

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

মো: রাসেল হোসেন,নিজস্ব প্রতিনিধি৷

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পেলসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকী দেন। এ সময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরো বলেন, এই দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই অতিস্বত্তর দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা নাহলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করবো”। পৌর মেয়রের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শৈলকুপা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় ওসির বিরুদ্ধে এমন হুমকীমুলক বক্তব্য প্রদান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, একজন ওসির বিরুদ্ধে পৌর মেয়র এভাবে জনসভায় হুমকী দিতে পারেন না। তাছাড়া তার ছেলেও এই পুলিশেরই একজন পদস্থ কর্মকর্তা। এই বয়সে তাকে আরো সংযত আচরণ করা উচিৎ বলে তারা মন্তব্য করেন।
ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দার জানান, মেয়র সাহেবের বক্তব্যকে আমি সমর্থন করতে পারছিনা। হাজার হাজার নেতাকর্মীর সামনে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ কর্মকর্তাকে এভাবে হেনস্তা করা তার ঠিক হয়নি।
শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন শনিবার বিকালে জানান, ওসির কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে পৌর মেয়র এমন কথা বললেন বা তিনি ক্ষুদ্ধ হলেন তা আমার জানা নেই। তবে এমন পাবলিক প্লেসে এমন ভাবে বলা তার মতো বয়স্ক মানুষের ঠিক হয়নি।
মেয়রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন জানান, এখনো আমরা তেমন কিছু ভাবছি না।
উল্লেখ্য শৈলকুপা পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের ছেলে কাজী আশরাফুল আজিম বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ফেসবুকে বক্তব্য ভারাইল জেলা পুলিশে ক্ষোভ শৈলকুপার ওসিকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়ণের হুমকী পৌর মেয়রের

আপডেট সময় : ০৫:০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

মো: রাসেল হোসেন,নিজস্ব প্রতিনিধি৷

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পেলসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকী দেন। এ সময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরো বলেন, এই দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই অতিস্বত্তর দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা নাহলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করবো”। পৌর মেয়রের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শৈলকুপা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় ওসির বিরুদ্ধে এমন হুমকীমুলক বক্তব্য প্রদান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, একজন ওসির বিরুদ্ধে পৌর মেয়র এভাবে জনসভায় হুমকী দিতে পারেন না। তাছাড়া তার ছেলেও এই পুলিশেরই একজন পদস্থ কর্মকর্তা। এই বয়সে তাকে আরো সংযত আচরণ করা উচিৎ বলে তারা মন্তব্য করেন।
ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দার জানান, মেয়র সাহেবের বক্তব্যকে আমি সমর্থন করতে পারছিনা। হাজার হাজার নেতাকর্মীর সামনে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ কর্মকর্তাকে এভাবে হেনস্তা করা তার ঠিক হয়নি।
শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন শনিবার বিকালে জানান, ওসির কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে পৌর মেয়র এমন কথা বললেন বা তিনি ক্ষুদ্ধ হলেন তা আমার জানা নেই। তবে এমন পাবলিক প্লেসে এমন ভাবে বলা তার মতো বয়স্ক মানুষের ঠিক হয়নি।
মেয়রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন জানান, এখনো আমরা তেমন কিছু ভাবছি না।
উল্লেখ্য শৈলকুপা পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের ছেলে কাজী আশরাফুল আজিম বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন।