ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময় বিদায়ের সুরে শ্যামনগরের পূজা মণ্ডপগুলো পটুয়াখালীতে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ‎ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আসিফ কাজলের আজ জন্মদিন

নবাব সলিমুল্লাহ’র জন্মদিন আজ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

পূর্ববঙ্গবাসীর স্বার্থ আদায়ে বিশ শতকের গোড়ার দিকে যিনি নেতৃত্বের হাল ধরেন, তিনি হলেন নওয়াব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ। জন্ম ৭ জুন ১৮৭১। তার বাবা ছিলেন নওয়াব স্যার আহসানুল্লাহ (১৮৪৬-১৯০১) এবং দাদা ছিলেন নওয়াব স্যার আবদুল গনি (১৮১৩-১৮৯৬)।

স্যার খাজা সলিমুল্লাহ ছিলেন নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বাংলার মুসলিমদের শিক্ষার পেছনে সলিমুল্লাহ বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ও বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এজন্য তিনি রমনা এলাকায় কিছু জমি ও দান করেন। এছাড়া আহসানউল্লাহ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং (বর্তমানে বুয়েট) প্রতিষ্ঠার পেছনেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

খাজা সলিমুল্লাহ বঙ্গভঙ্গের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন এবং ১৯০৭ সালে তিনি মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন। ১৯০১ সালে তার বাবার মৃত্যু হলে তিনি ঢাকার নবাব পদে অধিষ্ঠিত হন। এর আগে তিনি ময়মনসিংহে ব্যবসা করতেন। ১৯০৩ সালে লর্ড কার্জন এক সফরে ঢাকা আসেন। এ সফরে স্যার সলিমুল্লাহ লর্ড কার্জনকে পূর্ব বাংলার সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। এদিকে আসামের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের কথা ভাবছিল ব্রিটিশরা। ফলে নবাবের আবেদন ও ব্রিটিশদের বাণিজ্যিক স্বার্থে খুব অল্প সময়েই বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা আসে। এর ফলে বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

খাজা সলিমুল্লাহর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ঢাকার নবাব পরিবারকে ভারতীয় উপমহাদেশে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। ঢাকার এই নবাবের নামে বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানের নামকরণ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা; নবাব সলিমুল্লাহ রোড নারায়ণগঞ্জ।

মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন ঢাকার চতুর্থ নবাব খাজা সলিমুল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নবাব সলিমুল্লাহ’র জন্মদিন আজ

আপডেট সময় : ১১:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

পূর্ববঙ্গবাসীর স্বার্থ আদায়ে বিশ শতকের গোড়ার দিকে যিনি নেতৃত্বের হাল ধরেন, তিনি হলেন নওয়াব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ। জন্ম ৭ জুন ১৮৭১। তার বাবা ছিলেন নওয়াব স্যার আহসানুল্লাহ (১৮৪৬-১৯০১) এবং দাদা ছিলেন নওয়াব স্যার আবদুল গনি (১৮১৩-১৮৯৬)।

স্যার খাজা সলিমুল্লাহ ছিলেন নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বাংলার মুসলিমদের শিক্ষার পেছনে সলিমুল্লাহ বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ও বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এজন্য তিনি রমনা এলাকায় কিছু জমি ও দান করেন। এছাড়া আহসানউল্লাহ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং (বর্তমানে বুয়েট) প্রতিষ্ঠার পেছনেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

খাজা সলিমুল্লাহ বঙ্গভঙ্গের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন এবং ১৯০৭ সালে তিনি মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন। ১৯০১ সালে তার বাবার মৃত্যু হলে তিনি ঢাকার নবাব পদে অধিষ্ঠিত হন। এর আগে তিনি ময়মনসিংহে ব্যবসা করতেন। ১৯০৩ সালে লর্ড কার্জন এক সফরে ঢাকা আসেন। এ সফরে স্যার সলিমুল্লাহ লর্ড কার্জনকে পূর্ব বাংলার সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। এদিকে আসামের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের কথা ভাবছিল ব্রিটিশরা। ফলে নবাবের আবেদন ও ব্রিটিশদের বাণিজ্যিক স্বার্থে খুব অল্প সময়েই বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা আসে। এর ফলে বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

খাজা সলিমুল্লাহর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ঢাকার নবাব পরিবারকে ভারতীয় উপমহাদেশে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। ঢাকার এই নবাবের নামে বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানের নামকরণ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা; নবাব সলিমুল্লাহ রোড নারায়ণগঞ্জ।

মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন ঢাকার চতুর্থ নবাব খাজা সলিমুল্লাহ।