ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গাংনীতে বিদেশি পিস্তল গুলি ও ম্যাগজিন সহ আটক-১ কালিগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামি গৌরপদ মন্ডলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার কৃষিগুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাকৃবির বিশেষ বাস সার্ভিস এলাকার প্রভাবশালী নেতার কারণে বলি হতে যাচ্ছে নবদম্পতির নতুন জীবন মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল  সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার গ্রেফতার-০১জন চাঞ্চল্যকর অপহরণ পলাতক আসামী গ্রেফতার: ভিকটিম উদ্ধার রাণীশংকৈলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শাপলা রানীর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঝিনাইদহে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার পেলেন ৮’শত কৃষক

ব্যাংকে টাকা রাখায় খরচ বাড়ছে ধনীদের

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

ব্যাংকে ধনীদের জমানো টাকায় খরচ বাড়তে যাচ্ছে। ব্যাংকে রাখা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের স্তর ও হারে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশের সময় তিনি এ প্রস্তাব করেন।

বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

বর্তমানে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতিতে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হয় না। এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় ১৫০ টাকা এবং পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। এই দুটি স্তরে কোনো পরিবর্তন আসছে না।

ব্যাংক হিসাবের টাকা বছরে অন্তত একবার এসব স্তর স্পর্শ করলে আবগারি শুল্ক দিতে হয়।

বর্তমানে ১০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত যে স্তরটি রয়েছে, সেটি ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে তিনি ১০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গচ্ছিত টাকায় আগের মতোই তিন হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে রাখার প্রস্তাব করেন। আর ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত তিন হাজার টাকার পরিবর্তে পাঁচ হাজার টাকা, এক কোটি টাকা থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা এবং দুই কোটি টাকা থেকে পাঁচ কোটি পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।

বর্তমানে এক কোটি টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক বসে।

কারো ব্যাংক হিসাবে বছরে একবার যদি স্থিতি পাঁচ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে অতিক্রম করে, তাহলে সেই আমানতের ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ আগের মতো ৪০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কোনও ব্যাংক হিসাবে আমানতের পরিমাণ যদি একবার এক লাখ টাকা বা তার ওপরের স্তরগুলোর সীমা স্পর্শ করে, তাহলে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। একাধিকবার স্পর্শ করলেও একবারই আবগারি শুল্ক কাটা হয়। কোনো হিসাবে এক লাখ টাকার কম থাকলে কোনও আবগারি শুল্ক কাটা হয় না।

২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বশেষ ব্যাংকে থাকা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ বাড়ানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ব্যাংকে টাকা রাখায় খরচ বাড়ছে ধনীদের

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

ব্যাংকে ধনীদের জমানো টাকায় খরচ বাড়তে যাচ্ছে। ব্যাংকে রাখা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের স্তর ও হারে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশের সময় তিনি এ প্রস্তাব করেন।

বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

বর্তমানে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতিতে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হয় না। এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় ১৫০ টাকা এবং পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। এই দুটি স্তরে কোনো পরিবর্তন আসছে না।

ব্যাংক হিসাবের টাকা বছরে অন্তত একবার এসব স্তর স্পর্শ করলে আবগারি শুল্ক দিতে হয়।

বর্তমানে ১০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত যে স্তরটি রয়েছে, সেটি ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে তিনি ১০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গচ্ছিত টাকায় আগের মতোই তিন হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে রাখার প্রস্তাব করেন। আর ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত তিন হাজার টাকার পরিবর্তে পাঁচ হাজার টাকা, এক কোটি টাকা থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা এবং দুই কোটি টাকা থেকে পাঁচ কোটি পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।

বর্তমানে এক কোটি টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক বসে।

কারো ব্যাংক হিসাবে বছরে একবার যদি স্থিতি পাঁচ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে অতিক্রম করে, তাহলে সেই আমানতের ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ আগের মতো ৪০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কোনও ব্যাংক হিসাবে আমানতের পরিমাণ যদি একবার এক লাখ টাকা বা তার ওপরের স্তরগুলোর সীমা স্পর্শ করে, তাহলে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। একাধিকবার স্পর্শ করলেও একবারই আবগারি শুল্ক কাটা হয়। কোনো হিসাবে এক লাখ টাকার কম থাকলে কোনও আবগারি শুল্ক কাটা হয় না।

২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বশেষ ব্যাংকে থাকা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ বাড়ানো হয়।