আসন্ন ঈদ উল আযহায় ব্যস্ত নীলফামারীর পশু খামারীরা

- আপডেট সময় : ০১:০৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নাহীন, নীলফামারী:-আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে গরু মোটা-তাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার পশু খামারীরা । গেল কুরবানী ঈদের তুলনায় এবারের গরুর বাজার চড়া হওয়ায় লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা।
জেলার বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, দেশী গরুর পাশাপাশি শাহীওয়াল, আট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান, ক্রোস ও মুন্ডিসহ বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন করছেন খামারীরা। অপর দিকে, দেশী ছাগলের পাশাপাশি রয়েছে তোতাপুড়ি,রামছাগলসহ বিভিন্ন জাতের ছাগল। খামারের এসব পশু গুলোকে খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। রাজা-বাদশা, কালাচান-ধলাচানসহ খামারে লালন পালনকৃত পশুর বিভিন্ন নামও রাখা হয়েছে। টার্গেট, গেল কুরবানী ঈদের তুলনায় এবারে গরুর বাজার বেশ চড়া হওয়ায় লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন নীলফামারীর ছোট-বড় খামারীরা। তবে পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়া এবং স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তাদের থেকে গরুর চিকিৎসাসহ অন্যান্য পরামর্শ ঠিকমত না পাওয়ায় গরু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার কোরবানির ঈদের জন্য জেলায় বাণিজ্যিক ও পারিবারিক খামার রয়েছে ৩০ হাজার ৯৭২টি। এসব খামারে গরু-ছাগল রয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি। এ বছর জেলায় গরুর চাহিদা ১ লাখ ৪৩ হাজার ১০৯টি, যা চাহিদার চেয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯২ টি গরু-ছাগল বেশি। এর মধ্যে ষাঁড় ৪৮ হাজার ৩৮৫টি, বলদ ৩ হাজার ৮৪৯টি, গাভী ২৩ হাজার ৫৯৮টি, মহিষ ৩৩টি, ছাগল ১ লাখ ৮৬ হাজার ১৫১টি ও ভেড়া রয়েছে ১৪ হাজার ১৯৪টি।
জানতে চাইলে, সৈয়দপুর উপজেলার বিউটি এগ্রো ফার্মের মালিক আবির হোসেন জানান, “আমার বাবা-দাদারা শখের বসে গরু পালন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বড় পরিসরে বাণিজ্যিক ভাবে গরু পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে স্থানীয় প্রানী সম্পদ অফিস থেকে ঠিকমত সহায়তা না পাওয়া যায় না, যতটুকু পাওয়া যায়, সেটাও নাম মাত্র”। ভিজিট দিলে, আসে, ভিজিট ছাড়া আসে না”।
তিনি আরো বলেন, “আমার এই ফার্মে শাহীওয়াল, অস্ট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান, ক্রোস ও মুন্ডিসহ বিভিন্ন জাতের গরুসহ রয়েছে তোতাপুড়ি,রামছাগলসহ বিভিন্ন জাতের ছাগল। এক একটি শাহীওয়াল, অস্ট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান যাদেরকে রাজা-বাদশা ও কালা চান, ধলাচান বলে ডাকা হয়, এবার ঈদে এদের বাজার দর ন্যুনতম ১৫ লক্ষ টাকা হবে”।
সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের খামারী ফয়জুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছরই পারিবারিকভাবে দু’চারটি গরু পালন করি। এবারও ৪টি গরু লালন-পালন করছি। গরু ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে দর-দাম করছেন”।
ভিজিট নেয়ার বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায়’র অফিসে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে, অফিস আওয়ারে ভিজিট নেয়ার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, “আমি কষ্ট করে যাবো তেল খরচ দিবো না? আমি ভিজিট নিতে পারি”।
এ বিষয়ে, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, নীলফামারী ডা. মো. সিরাজুল হক জানান, “অফিস আওয়ারে ভিজিট নেয়ার কোন নিয়ম নেই”।
এদিকে, আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আযহায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পশুর হাট-বাজার গুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্ত ব্যবস্থা জোরদার করেছে নীলফামারী পুলিশ প্রশাসন।