ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্বের সেরা জুলুসে জনস্রোতে চট্টগ্রাম পৌনে ১কোটি জনতার রেকর্ড শ্যামনগরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে কৃষকদলের সভাপতি বহিষ্কৃত কৃষক দলের নেতার বিরুদ্ধে থানায়  জিডি  সোনাগাজীতে প্রবাসী পরিবারের উপর হামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঝিনাইদহে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ১১ তম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত তানোরে জামায়াতের আয়োজনে সিরাতে রাসুল (স:) সেমিনার অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত জমি বিক্রির নামে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ঝিনাইদহে চিহ্নিত প্রতারক পরিবারের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত এক গৃহবধু রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের লাশ কবর থেকে তুলে জ্বালিয়ে দিলো তৌহিদি জনতা

চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য, ৭ জনকে জরিমানা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-বরিশালে চাকরির প্রলোভনে দুই তরুণীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার মামলায় এক আবাসিক হোটেলে মালিকসহ সাতজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার (৩ জুন) বরিশালের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডিতরা হলেন- নগরীর দক্ষিণ চকবাজার এলাকার আবাসিক হোটেল পায়েলের মালিক মনির হোসেন, হোটেল কর্মচারী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেউলি গ্রামের সেলিম চৌকিদার, একই উপজেলার দত্তরাবাদ গ্রামের আনোয়ার হোসেন, একই উপজেলার পশ্চিম দাড়িয়াল গ্রামের ছেলে মন্টু হাওলাদার, নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু গাজী, নগরীর বাঘিয়া এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন এবং বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গীবাড়িয়া গ্রামের বাদশা বেপারী। মামলার বরাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, ২০২০ সালের ২ অগাস্ট চাকরির প্রলোভনে দুই তরুণীকে নগরীর এক আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ পায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ওই হোটেলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় পায়েল হোটেলের কর্মচারী সেলিম, আনোয়ার হোসেন ও মিন্টু গাজীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক তিনজনসহ হোটেলের আরও চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ১৬ জুন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দেলোয়ার সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাদের তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। পরে দণ্ডিতরা জরিমানার অর্থ জমা দিয়ে মুক্ত হয়েছেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী তুহিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য, ৭ জনকে জরিমানা

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-বরিশালে চাকরির প্রলোভনে দুই তরুণীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার মামলায় এক আবাসিক হোটেলে মালিকসহ সাতজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার (৩ জুন) বরিশালের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডিতরা হলেন- নগরীর দক্ষিণ চকবাজার এলাকার আবাসিক হোটেল পায়েলের মালিক মনির হোসেন, হোটেল কর্মচারী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেউলি গ্রামের সেলিম চৌকিদার, একই উপজেলার দত্তরাবাদ গ্রামের আনোয়ার হোসেন, একই উপজেলার পশ্চিম দাড়িয়াল গ্রামের ছেলে মন্টু হাওলাদার, নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু গাজী, নগরীর বাঘিয়া এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন এবং বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গীবাড়িয়া গ্রামের বাদশা বেপারী। মামলার বরাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, ২০২০ সালের ২ অগাস্ট চাকরির প্রলোভনে দুই তরুণীকে নগরীর এক আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ পায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ওই হোটেলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় পায়েল হোটেলের কর্মচারী সেলিম, আনোয়ার হোসেন ও মিন্টু গাজীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক তিনজনসহ হোটেলের আরও চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ১৬ জুন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দেলোয়ার সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাদের তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। পরে দণ্ডিতরা জরিমানার অর্থ জমা দিয়ে মুক্ত হয়েছেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী তুহিন।