ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

এমপি আনার হত্যা:লাশে খন্ডি অংশ সরানোর দায়িত্ব ছিলো সিয়াম ও জিহাদের

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

কলকাতার ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুনের পর তাঁর লাশ খণ্ড খণ্ড করে কয়েক টুকরা বাইরে ফেলা হয় এবং কিছু অংশ কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়। বাইরে টুকরাগুলো ফেলেন কলকাতায় গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার ও নেপালে পলাতক ভোলার বোরহানউদ্দিনের মো. সিয়াম হোসেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) দেওয়া চিঠিতে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। ২৫ মের এই চিঠিতে বলা হয়, আনোয়ারুল আজীমকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরা টুকরা করা হয়। মাংসের টুকরাগুলো দুটি টয়লেটের কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়। হাড় ও মাথার টুকরাগুলো একটি লাগেজে ভরে জিহাদ ও সিয়ামকে দেওয়া হয়। তাঁরা ওই টুকরাগুলো কাছাকাছি থাকা বর্জ্য খালে ফেলে দেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরাগুলোই হয়তো কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়েছিল। এখন বাইরে ফেলে দেওয়া খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। এ জন্য জিহাদকে গ্রেপ্তারের পর কলকাতা পুলিশ তাঁকে নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে তাঁর দেওয়া তথ্যে লাশের কোনো অংশ উদ্ধার হয়নি। এ অবস্থায় কলকাতা ও ঢাকার পুলিশের ধারণা, সিয়ামকে গ্রেপ্তার করতে পারলে লাশের বাকি অংশগুলো উদ্ধার হতে পারে। এই সিয়ামকে নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. সিয়াম হোসেনের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। এলাকায় সবাই তাঁকে সাগর নামে চেনে। মূল বাড়ি বরিশালে হলেও বাবা মো. আলাউদ্দিন বালি ৪০-৪২ বছর আগে চাকরির সুবাদে বোরহানউদ্দিনে গিয়ে সেখানেই স্থায়ী হন। তাঁরা বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। চার–পাঁচ দিন আগে বাসা পরিবর্তন করে স্থানীয় কামাল কমিশনারের বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন।

সিয়াম এলাকায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত। সিয়ামের বাবার সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা বলেন, তাঁরা জানেন, সিয়াম ঢাকার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি করেন এবং চাকরির সুবাদে প্রায়ই ভারত ও নেপাল যান। বরিশাল, বোরহানউদ্দিন ও ঢাকায় সিয়াম প্রচুর জমি কিনেছেন। বোরহানউদ্দিন শহরে একটি জমি কেনার জন্য তাঁর বাল্যবন্ধুর এক আত্মীয়কে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি এলাকায় আলোচিত হয়। সম্প্রতি ২২ লাখ টাকা দিয়ে বরিশালে একটি জমি কিনেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিয়ামের এক বাল্যবন্ধু বলেন গত দু-তিন বছরে সিয়ামের জীবনযাপনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এই সময়ে সে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে। কয়েক দিন পরপরই সে ভারত ও নেপালে যেতে থাকে। ঢাকায় কী করে জানতে চাইলে একেক সময় একেক উত্তর দিত। কিছুদিন আগেও ৪০ লাখ টাকার জমি কিনেছে বলে জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

এমপি আনার হত্যা:লাশে খন্ডি অংশ সরানোর দায়িত্ব ছিলো সিয়াম ও জিহাদের

আপডেট সময় : ১০:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

কলকাতার ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুনের পর তাঁর লাশ খণ্ড খণ্ড করে কয়েক টুকরা বাইরে ফেলা হয় এবং কিছু অংশ কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়। বাইরে টুকরাগুলো ফেলেন কলকাতায় গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার ও নেপালে পলাতক ভোলার বোরহানউদ্দিনের মো. সিয়াম হোসেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) দেওয়া চিঠিতে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। ২৫ মের এই চিঠিতে বলা হয়, আনোয়ারুল আজীমকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরা টুকরা করা হয়। মাংসের টুকরাগুলো দুটি টয়লেটের কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়। হাড় ও মাথার টুকরাগুলো একটি লাগেজে ভরে জিহাদ ও সিয়ামকে দেওয়া হয়। তাঁরা ওই টুকরাগুলো কাছাকাছি থাকা বর্জ্য খালে ফেলে দেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরাগুলোই হয়তো কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়েছিল। এখন বাইরে ফেলে দেওয়া খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। এ জন্য জিহাদকে গ্রেপ্তারের পর কলকাতা পুলিশ তাঁকে নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে তাঁর দেওয়া তথ্যে লাশের কোনো অংশ উদ্ধার হয়নি। এ অবস্থায় কলকাতা ও ঢাকার পুলিশের ধারণা, সিয়ামকে গ্রেপ্তার করতে পারলে লাশের বাকি অংশগুলো উদ্ধার হতে পারে। এই সিয়ামকে নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. সিয়াম হোসেনের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। এলাকায় সবাই তাঁকে সাগর নামে চেনে। মূল বাড়ি বরিশালে হলেও বাবা মো. আলাউদ্দিন বালি ৪০-৪২ বছর আগে চাকরির সুবাদে বোরহানউদ্দিনে গিয়ে সেখানেই স্থায়ী হন। তাঁরা বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। চার–পাঁচ দিন আগে বাসা পরিবর্তন করে স্থানীয় কামাল কমিশনারের বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন।

সিয়াম এলাকায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত। সিয়ামের বাবার সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা বলেন, তাঁরা জানেন, সিয়াম ঢাকার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি করেন এবং চাকরির সুবাদে প্রায়ই ভারত ও নেপাল যান। বরিশাল, বোরহানউদ্দিন ও ঢাকায় সিয়াম প্রচুর জমি কিনেছেন। বোরহানউদ্দিন শহরে একটি জমি কেনার জন্য তাঁর বাল্যবন্ধুর এক আত্মীয়কে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি এলাকায় আলোচিত হয়। সম্প্রতি ২২ লাখ টাকা দিয়ে বরিশালে একটি জমি কিনেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিয়ামের এক বাল্যবন্ধু বলেন গত দু-তিন বছরে সিয়ামের জীবনযাপনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এই সময়ে সে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে। কয়েক দিন পরপরই সে ভারত ও নেপালে যেতে থাকে। ঢাকায় কী করে জানতে চাইলে একেক সময় একেক উত্তর দিত। কিছুদিন আগেও ৪০ লাখ টাকার জমি কিনেছে বলে জানিয়েছে।