
- আপডেট সময় : ০৯:১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ, স্টাফ রিপোর্টার,ফেনী:সোনাগাজীতে পাইপগান হাতে খেলায় মশগুল অবুঝ শিশুর ছবি।
ছোটবেলায় একটি শিশুর বিনোদনের প্রধান খোরাক বাজারের নানা রকমের খেলনা।খেলনার মধ্যে বন্দুক ও চাকু সাদৃশ খেলনা শিশুদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।সন্তানকে হাসি-খুশি রাখতে অভিভাবকরা নির্ধিদ্বায় শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছেন এসব।কিন্তু বন্দুক ও চাকুর মতো খেলনা সদৃশ অস্ত্রের বদলে সোনাগাজীর এক শিশুর হাতে দেখা মিলল আসল পাইপগান।পাইপগান হাতে খেলায় মত্ত শিশুর ছবি। ছোট শিশুর হাতে আসল অস্ত্র দেখে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। অনভিপ্রেত এমন ঘটনা ঘটেছে সোনগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের চরবদরপুর গ্রামে।
সস্প্রতি ওই গ্রামের হোসেন মাঝি বাড়ির সুজনের শিশু সন্তানের হাতে পাইপগানের একটি ছবি সামাজিক মাধমে প্রকাশের পর এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে শিশুটির সৌদি প্রবাসী মামা আসাদুর জামান নুর তার নিজ নামীয় ফেসবুক আইডিতে পাইপগান হাতে বাগিনার ছবি পোষ্ট করেন।তিনি ক্যাপসনে লিখেন ‘এটা আমার বড় বাগিনা,ওর হাতে থাকতো এ বয়সে খেলনার পিস্তল থাকার কথা,আর অথচ ওর হাতে এখন অরজিনিয়াল পিস্তল’।
সামাজিক মাধ্যমে পাইপগান হাতে শিশুর ছবি প্রকাশ হলে শুরু হয় তোলপাড়।
কয়েক ঘন্টা পর ফেসবুকের ওই পোষ্ট আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।তার আগে অনেকে ছবি ও স্কিনশর্ট সেভ করে নিজের ফাইলে সংরক্ষণ করে।
ঘটনার জানতে শিশুর পিতা সুজনের সাথে মুঠোফোনে কথা হয় প্রতিবেদকের।
তিনি বন্দুক হাতে শিশুকে তার সন্তান স্বীকার করে বলেন,আমার সন্তান তার নানার বাড়ি থাকতে কে বা কারা তার হাতে বন্দুক দিয়ে ছবি ধারণ করলেও সেটি জানা ছিলনা।
তার মামা পোষ্ট করার পর বিষয়টি জানতে পারি।
আমার শ্যালকের কাছে ফোন করলেও সে সাড়া দেয়নি।
তিনি ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে আরও বলেন আমার সন্তানের হাতে বন্দুক তুলে দিয়ে সেটি ফেসবুকে প্রচার করে তার স্বাভাবিক জীবন হুমকির মধ্যে পেলেছে।
তবে এলাকার অনেকে সুজনের রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানায় পাইপগানটি সুজনের,একাধিকবার তার হাতে অস্ত্রটি দেখা গেছে।
শ্বশুর পরিবিরের সাথে ঝামেলা বাঁধলে তার শ্যালক ক্ষোভ থেকে ছবিটি ফেসবুকে প্রচার করে।
এলাকাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে বক্তব্য জানতে চাইলে সুজন বলেন,আমার শ্যালকের মাথায় সমস্যা রয়েছে।
দেশে থাকতে অনেক পাগলামি করত,প্রবাসে গিয়েও পাগলামি বন্ধ হয়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আসাদুর জামান নুরের ম্যাসেঞ্জারে কল দিলেও সাড়া মিলেনি।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসেনি।
অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।