ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী দুমকিতে গণছুটির কারণে বিদ্যুৎ অফিস অচল, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ কবর জিয়ারত ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত পরিবারের খোঁজখবর নিলেন দুমকি  উপজেলা বিএনপি ১২ই রবিউল আউয়াল আসলে আশেকদের মন উৎফুল্লতায় ভরে উঠে- মাওলানা মনসুর পটুয়াখালীতে জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঝিনাইদহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কু পি য়ে জ-খ-ম চট্টগ্রামে ‘উত্তম বাবুর্চি ক্যাটারিং সার্ভিস’ মানসম্মত খাবার পরিবেশের অঙ্গীকার ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সোনাগাজী টিমের প্রস্তুতি দেখতে মাঠে নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার

৫৪ বছরেও ঝোড়পাড়া-মহিষাখোলা সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-কাঁধে করে রোগী পরিবহন, মাঠে নষ্ট হচ্ছে ফসল। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি মেহেরপুরের গাংনীর ঝোড়পাড়া-মহিষাখোলা ৪ কিলোমিটার সড়কে। কাঁচা এ সড়ক এখন জনদুর্ভোগের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যানবাহন তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কোনোভাবে চলাচল সম্ভব হলেও বর্ষায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে সম্প্রতি এলাকাবাসী ধানের চারা রোপণ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দ্রুত দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সমাজসেবক আবু সায়েম বলেন, বর্ষায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার মতো কোনো যানবাহন বা অ্যাম্বুলেন্স সড়ক দিয়ে যেতে পারে না। তাই রোগীকে কাঁধে করে কাদামাটির রাস্তা পার করতে হয়। দেরিতে হাসপাতালে নেওয়ার কারণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি কেউ মারা গেলে লাশ কবরস্থানে নিতেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মুসল্লিরাও মসজিদে যেতে পারেন না। তাই তিনি দ্রুত সড়কটি পাকা করার দাবি জানান।স্কুল শিক্ষক মিনহাজ উদ্দীন বলেন, এলাকায় প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদন হলেও রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকেরা সময়মতো তা বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। অনেক সময় কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে ফসল আনা-নেওয়া সম্ভব হয় না, মাঠেই নষ্ট হয়ে যায়। আবার অন্য পথ দিয়ে বাজারে নিতে গেলে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়।শিক্ষার্থী ইমন হোসেন বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারেন না। স্কুলে যেতে হলে জামাকাপড়ে কাদা লেগে যায়। অনেক সময় পুনরায় গোসল করে পোশাক পরিবর্তন করে ক্লাসে যেতে হয়।গৃহবধূ সাহানারা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরের পর বছর কষ্ট করলেও কোনো সরকার বা জনপ্রতিনিধি এ সড়কের খোঁজখবর নেননি। এমনকি বিয়ে-সাদীর মতো অনুষ্ঠানেও ছেলে-মেয়ের দুই পরিবারের লোকজন আসা-যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন। তাই তিনি সংকট থেকে মুক্তি পেতে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, এই সড়কের আগে কোনো আইডি নম্বর ছিল না। সম্প্রতি আইডি নম্বর হয়েছে। এখন অনুমোদনের জন্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

৫৪ বছরেও ঝোড়পাড়া-মহিষাখোলা সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া নেই

আপডেট সময় : ১০:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-কাঁধে করে রোগী পরিবহন, মাঠে নষ্ট হচ্ছে ফসল। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি মেহেরপুরের গাংনীর ঝোড়পাড়া-মহিষাখোলা ৪ কিলোমিটার সড়কে। কাঁচা এ সড়ক এখন জনদুর্ভোগের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যানবাহন তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কোনোভাবে চলাচল সম্ভব হলেও বর্ষায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে সম্প্রতি এলাকাবাসী ধানের চারা রোপণ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দ্রুত দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সমাজসেবক আবু সায়েম বলেন, বর্ষায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার মতো কোনো যানবাহন বা অ্যাম্বুলেন্স সড়ক দিয়ে যেতে পারে না। তাই রোগীকে কাঁধে করে কাদামাটির রাস্তা পার করতে হয়। দেরিতে হাসপাতালে নেওয়ার কারণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি কেউ মারা গেলে লাশ কবরস্থানে নিতেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মুসল্লিরাও মসজিদে যেতে পারেন না। তাই তিনি দ্রুত সড়কটি পাকা করার দাবি জানান।স্কুল শিক্ষক মিনহাজ উদ্দীন বলেন, এলাকায় প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদন হলেও রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকেরা সময়মতো তা বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। অনেক সময় কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে ফসল আনা-নেওয়া সম্ভব হয় না, মাঠেই নষ্ট হয়ে যায়। আবার অন্য পথ দিয়ে বাজারে নিতে গেলে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়।শিক্ষার্থী ইমন হোসেন বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারেন না। স্কুলে যেতে হলে জামাকাপড়ে কাদা লেগে যায়। অনেক সময় পুনরায় গোসল করে পোশাক পরিবর্তন করে ক্লাসে যেতে হয়।গৃহবধূ সাহানারা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরের পর বছর কষ্ট করলেও কোনো সরকার বা জনপ্রতিনিধি এ সড়কের খোঁজখবর নেননি। এমনকি বিয়ে-সাদীর মতো অনুষ্ঠানেও ছেলে-মেয়ের দুই পরিবারের লোকজন আসা-যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন। তাই তিনি সংকট থেকে মুক্তি পেতে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, এই সড়কের আগে কোনো আইডি নম্বর ছিল না। সম্প্রতি আইডি নম্বর হয়েছে। এখন অনুমোদনের জন্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।