ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

৫০ ক্যারেট হীরা, ১৪ কোটির ব্রোচ পছন্দ আম্বানি পুত্রের

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
বিয়ে বাড়ির সাজগোজ বলতে প্রথমে মহিলাদের কথাই মনে হয়। তবে পুরুষেরাও আজকাল সাজগোজের বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। তা যদি হয় আম্বানি বাড়ির বিয়ে, তাহলে তো কথাই নেই। সেই অনুষ্ঠান যে আর পাঁচটা বিয়ে বাড়ির চেয়ে আলাদা হবে, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সাজগোজ, গয়নার কথা বললে আম্বানি বাড়ির মেয়ে-বৌরা সব দিক থেকে এগিয়ে। তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা দেশ। তবে পুরুষদেরও তো কিছু শখ-শৌখিনতা থাকে। আংটি, গলার হার, ব্রেসলেট নয়, মুকেশ এবং নীতা অম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের শখ ব্রোচের।

পোশাক যেমনই হোক, তার সঙ্গে চাই মানানসই ব্রোচ। অনন্তের ব্রোচের সংগ্রহ দেখলে রীতিমতো তাক লেগে যেতে পারে সকলের। প্রাক-বিবাহ, বিয়ে এবং বিবাহ-পরবর্তী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বহুমূল্য পাথর, রত্ন এবং ধাতু দিয়ে তৈরি একাধিক ব্রোচ পরতে দেখা গেছে তাকে।

তবে সেই সব ব্রোচের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এসব ক’টি ব্রোচেই রয়েছে কোনও না কোনও প্রাণীর মোটিফ। পশু সংরক্ষণ ও তাদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে ‘বনতারা’ উদ্যোগ চালু করেছেন অনন্ত। পশুদের প্রতি তার এই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয় ব্রোচগুলি। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ব্রোচগুলোর সম্পর্কে।

লরেন স্কোয়ার্টজ ইয়েলো লায়ন ব্রোচ: এমন ব্রোচ ভারতে আর কারও নেই। একমাত্র রয়েছে ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর ছোট ছেলে অনন্তের সংগ্রহে। প্রাক্-বিবাহ পর্বে ‘হস্তাক্ষর’ অনুষ্ঠান পর্বে অনন্তর সাজে এই ব্রোচই সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল।

এই ব্রোচ তৈরি করেছেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন জহুরি লরেন শোয়ার্টজ। গোটা ব্রোচটিই তৈরি হয়েছে হলুদ রঙের হিরে দিয়ে। লরেন জানিয়েছেন, অনন্ত অম্বানীর পশুপ্রেমের কথা মাথায় রেখেই সিংহের আদলে ব্রোচটি তৈরি করা হয়েছে। সিংহের দুই চোখে তিনি বসিয়ে দিয়েছেন দামি পান্না। সিংহের মুখ থেকে ঝুলছে বিশাল একটি হিরে। ব্রোচটি প্রায় ৫০ ক্যারাট হিরে দিয়ে তৈরি।

দি এলিফ্যান্ট ব্রোচ: বিয়ের দিন কমলা রঙের যে শেরওয়ানি পরে অ্যান্টিলিয়া থেকে ‘লগন’ উৎসবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন অনন্ত, সেই পোশাকের উপরেই ছিল হাতির ব্রোচটি। যার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকার মতো।

দ্য প্যান্থার ডি কার্টিয়ার ব্রোচ: রাধিকার সঙ্গে বাগদানের দিন ভাই আকাশ অম্বানীর দেওয়া একটি ব্রোচ পরেছিলেন অনন্ত, যা তৈরি হয়েছিল ১৯১৪ সালে। রাজস্থানের শ্রীনাথজি মন্দিরে রাধিকার সঙ্গে ‘রোকা’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় অনন্তের। সেই অনুষ্ঠানে অনন্তের কালো গলাবন্ধ পোশাকের উপর শোভা পেয়েছিল এই ব্রোচটি।

সোনা এবং প্ল্যাটিনাম দিয়ে তৈরি এই ব্রোচে রয়েছে ৬০৫টি হিরা, ৪টি পান্না এবং ৫১টি পোখরাজ। কালো রঙের গোলাকৃতি অনিক্স পাথরের উপর বসে রয়েছে প্যান্থার। যার চোখে বসানো রয়েছে পান্না।

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ব্রোচ: অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের অনুষ্ঠানও ছিল চোখ ধাঁধানো। নীল রঙের গলাবন্ধ পোশাকের উপর আসল সোনা দিয়ে তৈরি জরির ঠাস বুনোট কাজের জ্যাকেট পরেছিলেন তিনি। বুকের বাঁ পাশে দেখা গিয়েছিল এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ব্রোচটি।

আকারে অনেকটা পায়রার ডিমের মতো, চুনির উপর সোনা এবং প্ল্যাটিনাম দিয়ে তৈরি বাংলার বাঘ বসানো হয়েছে ব্রোচটির উপর। তার চারদিকে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য হিরে। দাম কয়েক কোটি তো বটেই।

টাইগার ব্রোচ উইথ পিঙ্ক ফেদার: দীর্ঘ প্রাক-বিবাহ পর্ব শেষে ১২ জুলাই চার হাত এক হয়েছে অনন্ত-রাধিকার। রোববার অর্থাৎ ১৪ তারিখ ছিল বৌভাত বা ‘মঙ্গল উৎসব’। সেই অনুষ্ঠানেও অনন্ত বুকে দেখা গেল বিশেষ একটি ব্রোচ।

ক্রিস্টাল বসানো ফুলেল নকশা করা ঘন নীল রঙের শেরওয়ানি পরেছিলেন অনন্ত। সোনা দিয়ে তৈরি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, গায়ে বসানো কালো এবং সাদা বহুমূল্য পাথর। সঙ্গে গোলাপি রঙের পাথর বসানো একটি পালকের প্রতিকৃতি। নয় নয় করে সেই ব্রোচটির দামও কয়েক কোটির উপর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

৫০ ক্যারেট হীরা, ১৪ কোটির ব্রোচ পছন্দ আম্বানি পুত্রের

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
বিয়ে বাড়ির সাজগোজ বলতে প্রথমে মহিলাদের কথাই মনে হয়। তবে পুরুষেরাও আজকাল সাজগোজের বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। তা যদি হয় আম্বানি বাড়ির বিয়ে, তাহলে তো কথাই নেই। সেই অনুষ্ঠান যে আর পাঁচটা বিয়ে বাড়ির চেয়ে আলাদা হবে, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সাজগোজ, গয়নার কথা বললে আম্বানি বাড়ির মেয়ে-বৌরা সব দিক থেকে এগিয়ে। তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা দেশ। তবে পুরুষদেরও তো কিছু শখ-শৌখিনতা থাকে। আংটি, গলার হার, ব্রেসলেট নয়, মুকেশ এবং নীতা অম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের শখ ব্রোচের।

পোশাক যেমনই হোক, তার সঙ্গে চাই মানানসই ব্রোচ। অনন্তের ব্রোচের সংগ্রহ দেখলে রীতিমতো তাক লেগে যেতে পারে সকলের। প্রাক-বিবাহ, বিয়ে এবং বিবাহ-পরবর্তী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বহুমূল্য পাথর, রত্ন এবং ধাতু দিয়ে তৈরি একাধিক ব্রোচ পরতে দেখা গেছে তাকে।

তবে সেই সব ব্রোচের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এসব ক’টি ব্রোচেই রয়েছে কোনও না কোনও প্রাণীর মোটিফ। পশু সংরক্ষণ ও তাদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে ‘বনতারা’ উদ্যোগ চালু করেছেন অনন্ত। পশুদের প্রতি তার এই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয় ব্রোচগুলি। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ব্রোচগুলোর সম্পর্কে।

লরেন স্কোয়ার্টজ ইয়েলো লায়ন ব্রোচ: এমন ব্রোচ ভারতে আর কারও নেই। একমাত্র রয়েছে ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর ছোট ছেলে অনন্তের সংগ্রহে। প্রাক্-বিবাহ পর্বে ‘হস্তাক্ষর’ অনুষ্ঠান পর্বে অনন্তর সাজে এই ব্রোচই সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল।

এই ব্রোচ তৈরি করেছেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন জহুরি লরেন শোয়ার্টজ। গোটা ব্রোচটিই তৈরি হয়েছে হলুদ রঙের হিরে দিয়ে। লরেন জানিয়েছেন, অনন্ত অম্বানীর পশুপ্রেমের কথা মাথায় রেখেই সিংহের আদলে ব্রোচটি তৈরি করা হয়েছে। সিংহের দুই চোখে তিনি বসিয়ে দিয়েছেন দামি পান্না। সিংহের মুখ থেকে ঝুলছে বিশাল একটি হিরে। ব্রোচটি প্রায় ৫০ ক্যারাট হিরে দিয়ে তৈরি।

দি এলিফ্যান্ট ব্রোচ: বিয়ের দিন কমলা রঙের যে শেরওয়ানি পরে অ্যান্টিলিয়া থেকে ‘লগন’ উৎসবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন অনন্ত, সেই পোশাকের উপরেই ছিল হাতির ব্রোচটি। যার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকার মতো।

দ্য প্যান্থার ডি কার্টিয়ার ব্রোচ: রাধিকার সঙ্গে বাগদানের দিন ভাই আকাশ অম্বানীর দেওয়া একটি ব্রোচ পরেছিলেন অনন্ত, যা তৈরি হয়েছিল ১৯১৪ সালে। রাজস্থানের শ্রীনাথজি মন্দিরে রাধিকার সঙ্গে ‘রোকা’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় অনন্তের। সেই অনুষ্ঠানে অনন্তের কালো গলাবন্ধ পোশাকের উপর শোভা পেয়েছিল এই ব্রোচটি।

সোনা এবং প্ল্যাটিনাম দিয়ে তৈরি এই ব্রোচে রয়েছে ৬০৫টি হিরা, ৪টি পান্না এবং ৫১টি পোখরাজ। কালো রঙের গোলাকৃতি অনিক্স পাথরের উপর বসে রয়েছে প্যান্থার। যার চোখে বসানো রয়েছে পান্না।

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ব্রোচ: অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের অনুষ্ঠানও ছিল চোখ ধাঁধানো। নীল রঙের গলাবন্ধ পোশাকের উপর আসল সোনা দিয়ে তৈরি জরির ঠাস বুনোট কাজের জ্যাকেট পরেছিলেন তিনি। বুকের বাঁ পাশে দেখা গিয়েছিল এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ব্রোচটি।

আকারে অনেকটা পায়রার ডিমের মতো, চুনির উপর সোনা এবং প্ল্যাটিনাম দিয়ে তৈরি বাংলার বাঘ বসানো হয়েছে ব্রোচটির উপর। তার চারদিকে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য হিরে। দাম কয়েক কোটি তো বটেই।

টাইগার ব্রোচ উইথ পিঙ্ক ফেদার: দীর্ঘ প্রাক-বিবাহ পর্ব শেষে ১২ জুলাই চার হাত এক হয়েছে অনন্ত-রাধিকার। রোববার অর্থাৎ ১৪ তারিখ ছিল বৌভাত বা ‘মঙ্গল উৎসব’। সেই অনুষ্ঠানেও অনন্ত বুকে দেখা গেল বিশেষ একটি ব্রোচ।

ক্রিস্টাল বসানো ফুলেল নকশা করা ঘন নীল রঙের শেরওয়ানি পরেছিলেন অনন্ত। সোনা দিয়ে তৈরি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, গায়ে বসানো কালো এবং সাদা বহুমূল্য পাথর। সঙ্গে গোলাপি রঙের পাথর বসানো একটি পালকের প্রতিকৃতি। নয় নয় করে সেই ব্রোচটির দামও কয়েক কোটির উপর।