ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুমকিতে কৃষি ব্যাংকের উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন রাজনীতি অন্তিম শয্যায় সুনামগঞ্জ ছাতকে নিরাপত্তাহীনতায় কানাডা প্রবাসীর স্ত্রী সুমি বেগম,থানায় জিডি রাস্তার বেহাল অবস্থা চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসি বলুর মেলা থেকে ভুয়া হিজড়া আটক ৪ বৃহৎ জনস্বার্থে চট্টগ্রাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ফেনীতে মাদ্রাসা বোর্ড প্রধানের সাথে মাদ্রাসা প্রধানদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, সোনাগাজী পৌর শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন,ক্রাইম রিপোর্টার সাতক্ষীরা:-
‘জলবায়ু বিপন্ন উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও ন্যায্যতার দাবি জোরালো হোক, ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা শ্যামনগরের কাশিমাড়ি সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীতে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। ১৯৭০ এর ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় ভোলা আঘাতে প্রয়াত উপকূলবাসীকে স্মরণ করে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে কর্মসূচি থেকে।

১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) উপকূলীয় যুব সংগঠন কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক ও Socio Economic Development Alliance (SEDA) আয়োজিত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। জলবায়ু সুবিচার ও উপকূলবাসীর স্বার্থ সুরক্ষায় ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়। বক্তারা জানান উপকূলের বিপুল জনগোষ্ঠী জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। তা সত্ত্বেও উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু বিরূপ পরিবর্তনের ফলে এই ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলের বহু এলাকা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে যুগের পর যুগ।
তারা বলেন, উপকূলবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি দিবস ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। উপকূল দিবস ঘোষণা করা হলে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে উপকূলের গুরুত্ব বাড়বে। এর মাধ্যমে উপকূলের সুরক্ষা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর অধিকার ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

এ সময় কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্কের কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজ হোসেনর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাহফুজুর রহমান, নাজমুস শাহদাত, শাহারিয়ার নাফিজ প্রমূখ।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘ভোলা সাইক্লোন’ উপকূলে আঘাত হানে। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে ভোলা সাইক্লোন পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম প্রাণঘাতী একটি ঝড়।
তৎকালীন র্পূব পাকস্তিানরে (র্বতমান বাংলাদশে-এর) দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। এ পর্যন্ত রেকের্ডকৃত ঘূর্নিঝড় সমূহরে মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় এবং এটি সর্বকালরে সবচেয়ে ভঙ্করতম প্রাকৃতকি দূর্যোগের একটি। এ ঝড়ের কারণে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্নিঝড় মৌসুমরে ৬ষ্ঠ ঘূর্নিঝড় এবং মৌসুমরে সবচেয়ে শক্তশিালী ঘূর্নিঝড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ‘ক্যাটাগরি ৩’ মাত্রার র্ঘূণঝিড় ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি

আপডেট সময় : ১১:৪৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন,ক্রাইম রিপোর্টার সাতক্ষীরা:-
‘জলবায়ু বিপন্ন উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও ন্যায্যতার দাবি জোরালো হোক, ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা শ্যামনগরের কাশিমাড়ি সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীতে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। ১৯৭০ এর ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় ভোলা আঘাতে প্রয়াত উপকূলবাসীকে স্মরণ করে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে কর্মসূচি থেকে।

১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) উপকূলীয় যুব সংগঠন কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক ও Socio Economic Development Alliance (SEDA) আয়োজিত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। জলবায়ু সুবিচার ও উপকূলবাসীর স্বার্থ সুরক্ষায় ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়। বক্তারা জানান উপকূলের বিপুল জনগোষ্ঠী জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। তা সত্ত্বেও উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু বিরূপ পরিবর্তনের ফলে এই ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলের বহু এলাকা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে যুগের পর যুগ।
তারা বলেন, উপকূলবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি দিবস ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। উপকূল দিবস ঘোষণা করা হলে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে উপকূলের গুরুত্ব বাড়বে। এর মাধ্যমে উপকূলের সুরক্ষা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর অধিকার ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

এ সময় কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্কের কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজ হোসেনর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাহফুজুর রহমান, নাজমুস শাহদাত, শাহারিয়ার নাফিজ প্রমূখ।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘ভোলা সাইক্লোন’ উপকূলে আঘাত হানে। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে ভোলা সাইক্লোন পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম প্রাণঘাতী একটি ঝড়।
তৎকালীন র্পূব পাকস্তিানরে (র্বতমান বাংলাদশে-এর) দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। এ পর্যন্ত রেকের্ডকৃত ঘূর্নিঝড় সমূহরে মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় এবং এটি সর্বকালরে সবচেয়ে ভঙ্করতম প্রাকৃতকি দূর্যোগের একটি। এ ঝড়ের কারণে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্নিঝড় মৌসুমরে ৬ষ্ঠ ঘূর্নিঝড় এবং মৌসুমরে সবচেয়ে শক্তশিালী ঘূর্নিঝড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ‘ক্যাটাগরি ৩’ মাত্রার র্ঘূণঝিড় ছিল।