হোমনায় নার্সের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০১:০৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনায় নার্সের অবহেলায় ফাতেমা নামে ২১ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয় ।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ নার্স আফরোজা আক্তার ও আকলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সেবায় অবহেলার অভিযোগ তুলে নার্সদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী হয়ে উঠে। পরে তাদের চিৎকার চেঁচামেছিতে হাসপাতালে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শিশু ফাতেমা হোমনা পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের ফকির বাড়ির আবদুর রহিমের মেয়ে।
শিশু ফাতেমার বাবা আঃ রহিম জানান, ফাতেমা জ্বরে আক্রান্ত হলে ডক্টরস হসপিটালে ডাঃ জালাল হোসেনকে দেখাই। কিন্ত রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত নার্স শিশু ফাতেমাকে স্যালাইন পুশ করার পর থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বিষয়টি ডাক্তারকে জানাতে নার্সকে বারবার বলার পরও তিনি আমাদের কারো কথা পাত্তা দেননি। অবশেষে রাত ১১ টার দিকে শিশু ফাতেমার মৃত্যু হয়।
যথাসময়ে ডাক্তারকে অবহিত করলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটতো না। নার্সেদের অবহেলার কারনেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
স্টাফ নার্স আকরিমা আক্তার বলেন, শিশুটিকে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। গায়ে ভীষণ জ্বর থাকায় ওই সময় স্যালাইন দেওয়া হয়। রোগীর চাপ থাকায় তাদের কে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে বুঝিয়ে বলেছি। কিছুক্ষণ পরে স্যার এসে সেলাইন বন্ধ করে পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাদি মাহমুদ আল তোরাব বলেন, শিশুটিকে ডক্টরস হসপিটালে ডাঃ জালাল হোসেন চিকিৎসা করেছেন। এতে অবস্থার অবনতি হলে যখন শিশুটিকে এ হাসপাতলে নিয়ে আসে তখন অবস্থা খারাপ ছিল। তার সেই আলোকেই তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে নার্সের কিছু করার ছিল না। সেবার ক্ষেত্রে নার্সের হয়ত আন্তরিকতার অভাব থাকতে পারে।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, স্বজনদের অভিযোগ নার্সের বিরুদ্ধে। সেবার ক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার অভাব থাকতে পারে। তবে
শিশুটি মারা যাওয়ার পর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এবং খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।