ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

হাসির উপকারিতা জানেন?

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

হাসিখুশি থাকার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনার দেখাদেখি আরও অনেকের মুখেই হাসি ফুটে উঠবে। একজন ইতিবাচক মানুষের প্রভাব কিন্তু বেশ বড়। তাকে দেখে অনেকেই তার মতো হতে চায়। হাসি মানেই ইতিবাচকতা। জীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি আসবেই। সবকিছু ভুলে আপনাকে হাসতে জানতে হবে। হাসির রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রক্তচাপ কমায়: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, হাসার সময় আমাদের সারা শরীরে রক্ত চলাচলের গতি বৃদ্ধি পায়। আমাদের শরীরের রক্তনালীগুলি প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ দ্রুত কমতে থাকে। তাই যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মোক্ষম দাওয়াই হাসির ‘ডোজ’।
হাসলে ভাল থাকে হার্ট: প্রাণ খুলে হাসলে রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় হার্টের কার্যক্ষমতাও। সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ মাত্রা বেড়ে গিয়ে চাঙ্গা হয়ে ওটে আমাদের হৃদযন্ত্র। ফলে কমে যায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও।

স্ট্রেস কমায়: হাসির সময় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। এটি কর্টিজল হরমোনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। ফলে মানসিক, শারীরিক চাপ বা অবসাদ বোধ দ্রুত ক্ষিণ হয়ে আসে।
ফুসফুস স্বাস্থ্য ভাল থাকে: যখন আমরা হাসি, তখন ফুসফুস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসারিত হয়। ফলে আমাদের ফুসফুস বিশুদ্ধ অক্সিজেনে ভরে ওঠে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধি পায় ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও।
হাসি মন ও শরীরের ব্যায়াম: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাসার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি দ্রুত বার্ন হতে থাকে। হাসার সময় চাপ পড়ে পেটেও খুব। ফলে পেটের মেদ দ্রুত ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এই হাসি। গবেষকদের মতে, ১০০ বার হাসলে তা ১০ মিনিট দ্রুত নৌকা চালানো অথবা ১৫ মিনিট জোরে সাইকেল চালানোর সমান।
হাসি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়: রাগ, হতাশা বা দুঃখ কমিয়ে দ্রুত মন ভাল করতে হাসির বিকল্প মেলা ভার। মানসিক চাপ বা অবসাদ কমাতে বিশেষজ্ঞরা তাই হাসির দাওয়াইয়ের কথাই বলে থাকেন।
হাসি টি-সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: টি-সেল বা এই বিশেষ কোষের শক্তি যত বাড়ে, তত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে কমে যায় অসুখ-বিসুখে ভোগার আশঙ্কা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

হাসির উপকারিতা জানেন?

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

হাসিখুশি থাকার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনার দেখাদেখি আরও অনেকের মুখেই হাসি ফুটে উঠবে। একজন ইতিবাচক মানুষের প্রভাব কিন্তু বেশ বড়। তাকে দেখে অনেকেই তার মতো হতে চায়। হাসি মানেই ইতিবাচকতা। জীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি আসবেই। সবকিছু ভুলে আপনাকে হাসতে জানতে হবে। হাসির রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রক্তচাপ কমায়: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, হাসার সময় আমাদের সারা শরীরে রক্ত চলাচলের গতি বৃদ্ধি পায়। আমাদের শরীরের রক্তনালীগুলি প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ দ্রুত কমতে থাকে। তাই যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মোক্ষম দাওয়াই হাসির ‘ডোজ’।
হাসলে ভাল থাকে হার্ট: প্রাণ খুলে হাসলে রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় হার্টের কার্যক্ষমতাও। সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ মাত্রা বেড়ে গিয়ে চাঙ্গা হয়ে ওটে আমাদের হৃদযন্ত্র। ফলে কমে যায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও।

স্ট্রেস কমায়: হাসির সময় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। এটি কর্টিজল হরমোনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। ফলে মানসিক, শারীরিক চাপ বা অবসাদ বোধ দ্রুত ক্ষিণ হয়ে আসে।
ফুসফুস স্বাস্থ্য ভাল থাকে: যখন আমরা হাসি, তখন ফুসফুস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসারিত হয়। ফলে আমাদের ফুসফুস বিশুদ্ধ অক্সিজেনে ভরে ওঠে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধি পায় ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও।
হাসি মন ও শরীরের ব্যায়াম: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাসার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি দ্রুত বার্ন হতে থাকে। হাসার সময় চাপ পড়ে পেটেও খুব। ফলে পেটের মেদ দ্রুত ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এই হাসি। গবেষকদের মতে, ১০০ বার হাসলে তা ১০ মিনিট দ্রুত নৌকা চালানো অথবা ১৫ মিনিট জোরে সাইকেল চালানোর সমান।
হাসি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়: রাগ, হতাশা বা দুঃখ কমিয়ে দ্রুত মন ভাল করতে হাসির বিকল্প মেলা ভার। মানসিক চাপ বা অবসাদ কমাতে বিশেষজ্ঞরা তাই হাসির দাওয়াইয়ের কথাই বলে থাকেন।
হাসি টি-সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: টি-সেল বা এই বিশেষ কোষের শক্তি যত বাড়ে, তত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে কমে যায় অসুখ-বিসুখে ভোগার আশঙ্কা।